ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিকারে রেডিয়েশন থেরাপি প্রয়োগ করা হয় কেন?

রেডিয়েশন বা তেজষ্ক্রিয়তা প্রয়োগের মাধ্যমে কোন রোগ নিরাময়কে বলা হয় রেডিয়েশন থেরাপি। ক্যান্সার আক্রান্ত ফুসফুসে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্দিষ্ট সময় ধরে রেডিয়েশন প্রয়োগ করলে একসময় ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলো ধ্বংস হয়। এতে ক্যান্সার আক্রান্ত ফুসফুস ধীরে ধীরে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এ কারণেই ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিকারে রেডিয়েশন থেরাপি প্রয়োগ করা হয়।

ফুসফুসে ক্যান্সার কেন হয়?

বিভিন্ন কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়ে থাকে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ধূমপান, আয়নীয় বিকিরণ, ফুসফুসের পুরনো ক্ষত, দীর্ঘকাল স্থায়ী ফুসফুসীয় প্রতিবন্ধকতামূলক রোগ ইত্যাদি। তাছাড়াও তেজষ্ক্রিয় আকরিক উত্তোলনকারী, নিকেল শোধনকারী এবং ক্রোমেট ও কোলগ্যাস উৎপাদনে নিয়োজিত শ্রমিকরা ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

হাঁপানী প্রতিরোধে করণীয়

হাঁপানী প্রতিরোধে করণীয় নিম্নরূপ- স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা। বায়ু দূষণ, বাসস্থান বা কর্মক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে এমন বস্তুর সংস্পর্শ পরিহার করা। হাঁপানী রোগীর শ্বাসকষ্ট লাঘবের জন্য সবসময় সাথে ঔষধ রাখা এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করা।

নিউমোনিয়া হলে করণীয়

নিউমোনিয়া ফুসফুসের একটি রোগ। নিউমোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগ হয়। এ রোগ প্রতিকারের জন্য বেশি করে পানি পান করতে হবে। তরল ও গরম পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

রেনাল করপাসল কাকে বলে?

রেনাল করপাসল বা মালপিজিয়ান অঙ্গ হলো নেফ্রনের একটি অংশ। রেনাল করপাসল দুটি অংশে বিভক্ত- গ্লোমেরুলাস ও বোম্যান্স ক্যাপসুল। বোম্যান্স ক্যাপসুল গ্লোমেরুলাসকে বেষ্টন করে রাখে। বোম্যান্স ক্যাপসুল দ্বিস্তর বিশিষ্ট পেয়ালার মতো প্রসারিত অংশ। অন্যদিকে গ্লোমেরুলাস ছাঁকনির মতো কাজ করে রক্ত থেকে পরিস্রুত তরল উৎপন্ন করে।

আত্মীকরণকে গঠনমূলক প্রক্রিয়া বলা হয় কেন?

শোষিত খাদ্যবস্তুর প্রোটোপ্লাজমে পরিণত বা রূপান্তরিত করার পদ্ধতি হলো আত্মীকরণ। কোষের প্রোটোপ্লাজম নিঃসৃত এনজাইমের সহায়তায় অ্যামাইনো এসিড, গ্লুকোজ, ফ্যাটি এসিড এবং গ্লিসারল, আমিষ, স্নেহ ও শর্করা তৈরি হয়। ফলে কোষের ক্ষয়পূরণ, গঠন এবং দেহের বৃদ্ধি ঘটে। তাই আত্তীকরণকে গঠনমূলক বা উপচিতি প্রক্রিয়া বলা হয়।

পেরিস্ট্যালসিস কি?

পেরিস্ট্যালসিস হলো এক প্রকার শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যাতে পৌষ্টিকনালি গাত্রের পেশির পর্যায়ক্রমিক সংকোচন ও প্রসারণের ফলে খাদ্যদ্রব্য পৌষ্টিকনালির ভিতরে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।

এইডসকে কেন ঘাতক রোগ বলা হয়?

HIV-এর আক্রমণে AIDS রোগ হয়ে থাকে। HIV -শ্বেত রক্তকণিার ক্ষতি সাধন করে ও এন্টিবডি তৈরিতে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা ও এন্টিবডির পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। এই ভাইরাসের আক্রমণে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে রোগীর মৃত্যু যেহেতু অনিবার্য এবং এর কোনো ঔষধ নেই তাই একে বলা হয় ঘাতক রোগ।