ইউরোক্রোম কি?
এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ যার উপস্থিতিতে মূত্র স্বাভাবিক হলুদ বা খড় রং প্রাপ্ত হয়।
এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ যার উপস্থিতিতে মূত্র স্বাভাবিক হলুদ বা খড় রং প্রাপ্ত হয়।
মানবদেহে পানির ভারসাম্য রক্ষা হয় বৃক্কের অসমোরেগুলেশনের মাধ্যমে। রেচন প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হলেও নেফ্রনের মাধ্যমে পুনঃশোষণ প্রক্রিয়ায় দেহে পানির সমতা বজায় থাকে। এক্ষেত্রে গ্লোমেরুলাসে পানি পরিস্রুত হয়।
কিডনি রোগের লক্ষণ হলো – শরীর ফুলে যাওয়া প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন যাওয়া রক্ত মিশ্রিত প্রস্রাব হওয়া প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ক্ষেত্রবিশেষে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া। কিডনি
মূত্রের উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৯০ ভাগই পানি। এছাড়া মূত্রের অন্যান্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন, বিভিন্ন ধরনের লবণ এবং ইউরোক্রোম নামক রঞ্জক পদার্থ।
রেচন পদার্থ বলতে মূলত নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থকে বোঝানো হয়। মূত্র হলো দেহের প্রধান রেচন পদার্থ। এতে প্রায় ৯০ ভাগই পানি। এছাড়া এতে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন ও বিভিন্ন ধরনের লবণ বিদ্যমান।
দেহে পানিসাম্য নিয়ন্ত্রণই হলো অসমোরেগুলেশন।
নেফ্রনের গঠন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নিকটবর্তী প্যাঁচানো নালিকার শেষ প্রান্ত সোজা হয়ে বৃক্কের মেডুলা অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং একটি U আকৃতির ফাঁস বা লুপ গঠন করে পুনরায় কর্টেক্স অঞ্চলে ফিরে আসে। আবিষ্কারক ফ্রেডরিখ হেনলির নামানুসারে একে হেনলির লুপ বলা হয়। এটি প্রকৃতপক্ষে রেনাল টিউব্যুলেরই একটি অংশ।
বৃ্ক্কের গ্লোমেরুলাসকে বেস্টনকারী দ্বিস্তর বিশিষ্ট পেয়ালার মতো অঙ্গটিই হলো বোম্যান্স ক্যাপসুল।