তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া ও চুম্বকত্ব | HSC পদার্থবিজ্ঞান Notes

পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র নোট
তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া ও চুম্বকত্ব নোট

চৌম্বক ক্ষেত্র

একটি গতিশীল আধান বা স্থায়ী চুম্বক তার চারপাশে চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে। একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকের সাথে সমকোণে একক বেগে চলমান একটি একক আধানের ওপর ক্রিয়াশীল বলকে ঐ চৌম্বক ক্ষেত্রের মান বলে।

টেসলা

কোনো চৌম্বক ক্ষেত্রে 1 কুলম্ব (C) আধান ক্ষেত্রের দিকের সাথে সমকোণে 1 ms-1 বেগে গতিশলি হলে যদি ক্ষেত্রটি আধানের 1N বল প্রয়োগ করে তাহলে ঐ চৌম্বক ক্ষেত্রের মানকে 1 টেসলা (T) বলে।

তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া

কোনো পরিবাহীর ভেতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। একে তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া বলে।

ফ্লেমিংয়ের ডানহস্ত সূত্র

একটি তড়িৎবাহী তারকে প্রবাহের অভিমুখে বৃদ্ধাঙ্গলী প্রসারিত করে ডান হাত দিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে ধরলে অন্যান্য আঙ্গুলগুলোর মাথা চৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখ নির্দেশ করে।

ফ্লেমিংয়ের বামহস্ত সূত্র

বাম হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও বৃদ্ধঙ্গলী পরস্পর সমকোণে প্রসারিত করে তর্জনীকে চৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখে এবং মধ্যমাকে প্রবাহের অভিমুখে স্থাপন করলে বৃদ্ধঙ্গলী পরিবাহীর ওপর প্রযুক্ত বলের অভিমুখ তথা পরিবাহীর গতির বা বিক্ষেপের দিকে নির্দেশ করে।

বিয়ো-স্যাভাঁর সূত্র

নির্দিষ্ট মাধ্যমে কোনো পরিবাহীর ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যের ভেতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলার ফলে এর আশে পাশে কোনো বিন্দুতে সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্রের মান পরিবাহীর ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক, তড়িৎ প্রবাহের সমানুপাতিক, পরিবাহীর ঐ অংশের মধ্যবিন্দু থেকে ঐ বিন্দুর দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক, পরিবাহী এবং পরিবাহীর ঐ অংশের মধ্যবিন্দু ও ঐ বিবেচিত বিন্দুর সংযোজক সরলরেখার অন্তর্ভূক্ত কোণের সাইনের সমানুপাতিক।

অ্যাম্পিয়ারের সূত্র

কোনো বদ্ধ পথ বরাবর কোনো চৌম্বক ক্ষেত্রকে রৈখিক যোগজ, পথটি দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্রফলের মধ্যে প্রবাহিত মোট তড়িৎ প্রবাহের μ গুণ।

হল প্রভাব ও হল ভোল্টেজ

কোনো তড়িৎবাহী পরিবাহীকে চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করলে তড়িৎপ্রবাহ ও চৌম্বক ক্ষেত্র উভয়ের সাথে লম্ব বরাবর একটি বিভব পার্থক্যের সৃষ্টি হয় তথা ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। এই ঘটনাকে হল প্রভাব বলে। এই বিভব পার্থক্য বা ভোল্টেজকে হল ভোল্টেজ বলে।

ভূ-চৌম্বকের মৌলিক উপাদান

যে সকল রাশির সাহায্যে কোনো স্থানে ভূ-চৌম্বকের চৌম্বক ক্ষেত্রকে সম্পূর্ণরূপে বর্ণনা করা যায় তাদেরকে ভূ-চুম্বকের মৌলিক উপাদান বলে।

বিচ্যুতি

কোনো স্থানে মুক্তভাবে স্থাপিত চুম্বক শলাকা ভৌগলিক উত্তর-দক্ষিণ থেকে যে কোণে বিচ্যুত হয় অর্থাৎ ভৌগলিক মধ্যতল ও চৌম্বক মধ্যতলের অন্তর্ভূক্ত কোণকে ঐ স্থানের বিচ্যুতি বলে।

বিনতি

কোনো স্থানে ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্র অনুভূমিকের সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে অর্থাৎ চৌম্বক মধ্যতলে মুক্তভাবে স্থাপিত চুম্বক শলাকা অনুভূমিক তল থেকে যে কোণে নত থাকে তাকে ঐ স্থানের বিনতি বলে।

ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্রের অনুভূমিক উপাংশ H 

কোন স্থানে অনুভূমিক বরাবর ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্রের যে উপাংশ থাকে তাকে ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্রের অনুভূমিক উপাংশ বলে।

ডায়াচৌম্বক পদার্থ

যে সকল পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করা হলে চুম্বকায়নকারী ক্ষেত্রের বিপরীত দিকে সামান্য চুম্বকত্ব লাভ করে তাদের ডায়াচৌম্বক পদার্থ বলে।

প্যারাচৌম্বক পদার্থ

যে সকল পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করা হলে চুম্বকায়নকারী ক্ষেত্রের দিকে সামান্য চুম্বকত্ব লাভ করে তাদেরকে প্যারাচৌম্বক পদার্থ বলে।

ফেরোচৌম্বক পদার্থ

যে সকল পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করা হলে চুম্বকায়নকারী ক্ষেত্রের দিকে শক্তিশালী চুম্বকত্ব লাভ করে তাদেরকে ফেরোচৌম্বক পদার্থ বলে।


পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র


অধ্যায় - ১ : তাপগতিবিদ্যা

অধ্যায় - ৭ : ভৌত আলোক বিজ্ঞান

No Comment
Add Comment
comment url