সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেক্ট্রনিক্স | HSC পদার্থবিজ্ঞান Notes

পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র নোট
সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিক্স নোট

শক্তি ব্যান্ড কাকে বলে?

কোনো পদার্থ বিভিন্ন পরমাণুতে কিন্তু একই কক্ষপথে আবর্তনরত ইলেকট্রনগুলোর শক্তির সামান্য তারতম্য হয়। একই কক্ষপথে অবস্থিত এই সকল ইলেকট্রনের শক্তির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মানের মধ্যবর্তী পাল্লাকে শক্তি ব্যান্ড বলে।

যোজন ব্যান্ড কাকে বলে?

পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথে অবস্থিত ইলেকট্রনগুলোকে যোজন ইলেকট্রন বলে। যোজন ইলেকট্রনগুলোর শক্তি পাল্লা বা ব্যান্ডকে যোজন ব্যান্ড বলে।

পরিবহন ব্যান্ড কাকে বলে?

পরমাণুতে অবস্থিত মুক্ত যোজন ইলেকট্রন তড়িৎ পরিবহনে অংশগ্রহণ করে বলে এদের পরিবহন ইলেকট্রন বলে। পরিবহন ইলেকট্রনগুলোর শক্তির পাল্লা বা ব্যান্ডকে পরিবহন ব্যান্ড বলে।

নিষিদ্ধ শক্তি ব্যান্ড কাকে বলে?

শক্তি স্তর রৈখিক চিত্রে পরিবহন ব্যান্ড এবং যোজন ব্যান্ড-এর মধ্যবর্তী শক্তির পাল্লাকে নিষিদ্ধ শক্তি ব্যান্ড বলে।

অপরিবাহী বা অন্তরক কাকে বলে?

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলতে পারে না তাদেরকে অন্তরক বলে। যেমনঃ কাচ, কাঠ ইত্যাদি। এদের আপেক্ষিক রোধ 1012 Ωm ক্রমের।

পরিবাহী কাকে বলে?

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজে তড়িৎপ্রবাহ চলতে পারে তাদেরকে পরিবাহী বলে। যেমনঃ তামা, রূপা, এলুমিনিয়াম।

সেমিকন্ডাক্টর কাকে বলে?

যে সকল পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতাঙ্ক অন্তরক ও পরিবাহীর মাঝামাঝি এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে যাদের রোধ কম অর্থাৎ তড়িৎ পরিবাহিতাঙ্ক বাড়ে এবং সুবিধাজনক অপদ্রব্য বা ভেজাল যোগ করলে যাদের তড়িৎ পরিবাহিতাঙ্ক ধর্মের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে তাদের সেমিকন্ডাক্টর বলে। যেমনঃ জার্মেনিয়াম, সিলিকন।

p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর কাকে বলে?

কোনো বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজী অর্থাৎ পর্যায় সারণির তৃতীয় সারির মৌল অপদ্রব্য হিসেবে মেশানো হলে তাকে p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে। যেসব মৌলের বহির্খোলকে তিনটি যোজন ইলেকট্রন থাকে তাদের ভেজাল বা অপদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করলে ইনট্রিনসিক সেমিকন্ডাক্টর p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে রূপান্তরিত হয়। এসব পরমাণু সহযোজী অনুবন্ধ কোনো ইলেকট্রন প্রদান করে না, তাই এদের বলা হয় গ্রাহক পরমাণু। এদের বহির্খোলকে ইলেকট্রনের ঘাটতির জন্য একটি ফাঁকা জায়গা বা ধনাত্মক হোলের সৃষ্টি হয়। p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে পরিবহন ঘটে প্রধানত ধনাত্মক আধান বা হোলের মাধ্যমে। এখানে হোল গরিষ্ঠ বাহক এবং ইলেকট্রন লঘিষ্ঠ বাহক। p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর ধনাত্মক আধান বা হোলসমৃদ্ধ বস্তু।

n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর কাকে বলে?

যে সেমিকন্ডাক্টরে পরিবহন ঘটে প্রধানত ইলেকট্রনের মাধ্যমে তাকে n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে। এখানে গরিষ্ঠ বাহক হল ইলেকট্রন এবং লঘিষ্ঠ বাহক হল হোল। n-টাইপ ইলেকট্রনসমৃদ্ধ বস্তু।

সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড কাকে বলে?

একটি p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর ও একটি n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর পাশাপাশি জোড়া বা স্পর্শ লাগিয়ে p-n জাংশন ডায়োড তৈরি করা হয়। এই জাংশন তড়িৎপ্রবাহকে একদিকে প্রবাহিত করে তাই এর নাম সেমিকন্ডাক্টর রেকটিফায়ার। সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডকে বর্তনীতে দু'ভাবে সংযুক্ত করা যায় - সম্মুখী ঝোঁক ও বিমুখী ঝোঁক সংযোগ।

কেলাস কাকে বলে?

যে পদার্থ পরমাণু বা অণুগুলো একটি সুনির্দিষ্ট প্যাটার্নে সজ্জিত থাকে তাকে কেলাস বলে।

রেকটিফায়ার কাকে বলে?

যে ডিভাইস বা কৌশলের সাহায্যে তড়িৎ প্রবাহকে একমুখী করা যায় অর্থাৎ এসিকে ডিসি করা যায় তাকে রেকটিফায়ার বলে।

ট্রানজিস্টর কাকে বলে?

একটি n-টাইপ কেলাসের দুই পাশে একটি করে p-টাইপ কেলাস বা একটি p-টাইপ কেলাসের দুই পাশে একটি করে n-টাইপ কেলাস স্যান্ডউইচ করে p-n-p বা n-p-n জাংশন তৈরি করা হয়। এদের যথাক্রমে p-n-p ও n-p-n ট্রানজিস্টর বলে। এভাবে সজ্জিত কেলাসের প্রথমটিকে নিঃসারক, মাঝেরটিকে পীঠ এবং অন্য পাশেরটিকে সংগ্রাহক বলা হয়। ট্রানজিস্টরে দুটি জাংশন থাকে - নিঃসারক-পীঠ জাংশন ও সংগ্রাহক - পীঠ জাংশন।

অ্যাম্পলিফায়ার কাকে বলে?

যে যন্ত্র এর অন্তর্গামীতে প্রদত্ত সংকেতকে বহির্গামীতে বিবর্ধিত করে তাকে অ্যাম্পলিফায়ার বলা হয়। 

বাইনারি নম্বর পদ্ধতি কি?

বাইনারী নম্বর পদ্ধতিতে কোনো সংখ্যাকে বোঝাতে মাত্র দুটি ডিজিট বা অঙ্ক 0 এবং 1 ব্যবহৃত হয়।

অক্টাল নম্বর পদ্ধতি কি?

যে নম্বর পদ্ধতি বেস 8(eight) তাকে অক্টাল পদ্ধতি বলে। এই পদ্ধতির আটটি ডিজিট হচ্ছে 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7।

হেক্সাডেসিমাল পদ্ধতি কি?

এই পদ্ধতির বেস হচ্ছে 16। এই পদ্ধতির ডিজিটগুলো হচ্ছে 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, A, B, C, D, E, F। এখানে 10-15 ডিজিটকে A, B, C, D, E, F দ্বারা বোঝানো হয়। পূর্ণ সংখ্যার জন্য প্রত্যেক ডিজিটের স্থানীয় মান হলো 16 এর ঊর্ধ্বমুখ সূচক এবং ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে প্রতি ডিজিটের স্থানীয় মান হলো 16 এর নিম্নমুখী সূচক।

লজিক গেট কি?

যে বিশেষ ইলেকট্রিক বর্তনী দ্বারা বুলিয়ান অ্যালজেবরা বাস্তবায়ন করা যায় তাকে লজিক গেট বলে।

OR-গেট কি?

যে লজিক গেট এর দুই বা দুইয়ের অধিক ইনপুট থাকে কিন্তু একটি মাত্র আউটপুট থাকে এবং যে কোনো একটি ইনপুটে উচ্চ বিভব হলেই আউটপুটে উচ্চ বিভব হয়, তাছাড়া অন্য ক্ষেত্রে আউটপুট বিভব নিম্ন হয়, তাকে OR-গেট বলে।

AND-গেট কি?

যে লজিক গেট এর দুই বা দুইয়ের অধিক ইনপুট কিন্তু একটি মাত্র আউটপুট থাকে এবং এই দুই ইনপুট যখন উচ্চ বিভব থাকে, তখন আউটপুটে উচ্চ বিভব থাকবে তাছাড়া অন্য ক্ষেত্রে আউটপুট বিভব নিম্ন হবে তাকে AND গেট বলে।

NOT-গেট কি?

যে ইলেকট্রনিক বর্তনীতে একটি মাত্র ইনপুট ও একটি মাত্র আউটপুট থেকে এবং ইনপুটে উচ্চ বিভব প্রয়োগ করলে আউটপুটে নিম্ন বিভব এবং ইনপুটে নিম্নবিভব প্রয়োগ আউটপুটে উচ্চ বিভব পাওয়া যায় তাকে NOT - গেট বা ইনভার্টার বলে।

NAND-গেট কি?

AND-গেটের আউটপুট NOT-গেটের ইনপুটের সাথে সংযুক্ত করে NAND-গেট পাওয়া যায়।

NOR-গেট কি?

OR গেটের আউটপুটকে NOT গেটের ইনপুটের সাথে সংযুক্ত করে NOR-গেট পাওয়া যায়।

XOR-গেট কি?

OR-গেট, AND-গেট এবং NOT-গেট সংযুক্ত করে XOR গেট পাওয়া যায়।

XNOR-গেট কি?

XOR-গেটের সাথে NOT-গেট যোগ করে XNOR-গেট পাওয়া যায়।


পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র


অধ্যায় - ১ : তাপগতিবিদ্যা

অধ্যায় - ৭ : ভৌত আলোক বিজ্ঞান

No Comment
Add Comment
comment url