ভৌত আলোকবিজ্ঞান | HSC পদার্থবিজ্ঞান Notes

পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র নোট
ভৌত আলোকবিজ্ঞান নোট

তাড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ

তাড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ হলো কোনো স্থান দিয়ে আলোর দ্রুতিতে গতিশীল তড়িৎ ও চৌম্বক আলোড়ন। এ তরঙ্গে তড়িৎ ও চৌম্বকক্ষেত্রে পরস্পরের সাথে সর্বদা সমকোণে থাকে। উভয়ক্ষেত্রই তরঙ্গের সঞ্চালন অভিমুখের সাথে সমকোণে থাকে। এ তরঙ্গ আড় তরঙ্গ।

তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালি

তাড়িতচৌম্বকীয় বিকিরণের দৃশ্যমান আলো, অবলোহিত বিকিরণ, বেতার তরঙ্গ, অতিবেগুনি বিকিরণ, এক্স-রে, গামারশ্মি ইত্যাদি যে বর্ণালির সৃষ্টি করে তাকে তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালি বলে।

তরঙ্গমুখ

কোনো তরঙ্গের ওপর অবস্থিত সমদশা সম্পন্ন কণাগুলোর গতিপথকে তরঙ্গমুখ বলে।

হাইগেনসের নীতি

কোনো তরঙ্গমুখের প্রতিটি বিন্দু এক একটি অণুতরঙ্গের উৎস হিসেবে গণ্য হয়। ঐ অণু তরঙ্গগুলো মূল তরঙ্গের সমান বেগ নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। যে কোনো মুহূর্তে এ অণুতরঙ্গগুলোকে স্পর্শ করে যে সাধারণ স্পর্শক তল পাওয়া যায় তাই ঐ সময়ে নতুন তরঙ্গমুখের অবস্থান নির্দেশ করে।

ব্যতিচার

দুটি সুসঙ্গত উৎস থেকে নিঃসৃত কিন্তু একই তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং সমান বা প্রায় সমান বিস্তারবিশিষ্ট দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে কোনো বিন্দুর আলোক তীব্রতা বৃদ্ধি পায় আবার কোনো বিন্দুর তীব্রতা হ্রাস পায়। এর ফলে কোনো তলে পরপর আলোকজ্জ্বল ও অন্ধকার অবস্থার সৃষ্টি হয়। কোনো স্থানে বিন্দু থেকে বিন্দুতে আলোর তীব্রতার এই পর্যায়ক্রমিক তারতম্যকে আলোর ব্যতিচার বলে।

ব্যতিচারের শর্ত

১) আলোর উৎস দুটি সুসঙ্গত হতে হবে।

২) যে দুটি তরঙ্গ ব্যতিচার ঘটাবে তাদের বিস্তার সমান বা প্রায় সমান হতে হবে।

৩) উৎসগুলো খুব কাছাকাছি অবস্থিত হতে হবে।

৪) উৎসগুলো খুব সূক্ষ্ম হতে হবে।

অপবর্তন

কোনো প্রতিবন্ধকের ধার ঘেঁষে বা সরু চিরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় জ্যামিতিক ছায়া অঞ্চলের মধ্যে আলোর বেঁকে যাওয়ার ঘটনাকে অপবর্তন বলা হয়।

সমবর্তন

কোনো তরঙ্গের কম্পনের ওপর যদি এমন শর্ত আরোপ করা হয় যে কম্পন কেবল একটা নির্দিষ্ট দিকে বা তলেই সীমাবদ্ধ থাকে তবে সেই প্রক্রিয়াকে সমবর্তন বলে।


পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র


অধ্যায় - ১ : তাপগতিবিদ্যা

অধ্যায় - ৭ : ভৌত আলোক বিজ্ঞান

No Comment
Add Comment
comment url