জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান | SSC পদার্থবিজ্ঞান Notes

পদার্থবিজ্ঞান

অধ্যায় - ১৪ : জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান

👉 সকল অধ্যায়ের সূচিপত্র 👈


  • 14.1  জীবপদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি (Background of Biophysics)
  • 14.2  জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান (Contribution of Jagadish Chandra Bose)
  • 14.3  মানবদেহ এবং যন্ত্র (Human Bodies and Machines)
  • 14.4  রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি (Diagnostic Instruments)
  • 14.5  রোগ নিরাময়ে পদার্থবিজ্ঞান (Physics in Treatment)

জীবপদার্থবিজ্ঞান

জীবপদার্থবিজ্ঞান হলো জীববিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে সেতুবন্ধ স্বরূপ। এটি এমন এক বিজ্ঞান যা বিজ্ঞানের অনেকগুলো শাখার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত এবং যাতে জীববিজ্ঞানের কোনো ব্যবস্থাকে অধ্যয়নের জন্য ভৌতবিজ্ঞানের তত্ত্ব ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

অথবা,

পদার্থবিজ্ঞানের সাথে জীব বিজ্ঞানের সম্পর্ক স্থাপন করে একটি নতুন বিষয়ের বিকাশ ঘটেছে তার নাম জীবপদার্থবিজ্ঞান।

জীবজগতের নিয়ম ও ভৌত জগতে নিয়ম

দীর্ঘদিন একটি ধারণা বিজ্ঞানীরা পোষণ করে এসেছেন যে জীবজগতের নিয়ম ও ভৌতজগতের নিয়ম আলাদা। কিন্তু ভৌতবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের অগ্রগতির ভিতর দিয়ে এই দুই আপাত ভিন্ন শৃঙ্খলার মধ্যে গভীর মিল পাওয়া গেছে। প্রথমে পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান দুইটি ভিন্ন বিষয় হিসেবে বিকাশ লাভ করেছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির মধ্য দিয়ে এই দুই বিষয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমন্বয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে মনে করা হতো প্রাণিজগৎ ভিন্ন এক নিয়মে চলে এবং জড় পদার্থের ক্ষেত্রে শুধু ভৌতবিজ্ঞানের নিয়মগুলো প্রযোজ্য। কিন্তু আমরা জানি, প্রাণিদেহকে অনেক দিক থেকে যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করা যায় এবং প্রাণিদেহের অনেক আচরণকে ভৌত নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। কাজেই জীবজগতের নিয়ম ও ভৌতজগতের নিয়মে ভিন্নতা থাকলেও সম্পূর্ণ ভিন্ন নয়।

জীবপদার্থবিজ্ঞানের সূচনা যেভাবে

জীবপদার্থবিজ্ঞান হলো জীববিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে সেতুবন্ধ স্বরূপ। জীবপদার্থবিজ্ঞানে জীববিজ্ঞানের কোনো ব্যবস্থাকে অধ্যয়নের জন্য ভৌতবিজ্ঞানের তত্ত্ব ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। জীববিজ্ঞান সাধারণত উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য আহরণ প্রক্রিয়া, যোগাযোগ রক্ষার করার প্রক্রিয়া, পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের প্রক্রিয়া এবং বংশবৃদ্ধির নিয়মগুলো বর্ণনা করে। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান আলোচনা করে আমাদের প্রকৃতি যেসকল গাণিতিক নিয়ম মেনে চলে। দীর্ঘদিন বিজ্ঞানীরাও মনে করেছেন, জীবজগতের নিয়ম ও ভৌতজগতের নিয়ম সম্পূর্ণ আলোদা। আর বিজ্ঞানীরা এখন লক্ষ্য করছেন জীবজগতের নিয়ম ও ভৌতজগতের নিয়মের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। প্রাণিজগতকেও অনেকক্ষেত্রে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হচ্ছে। এই সকল কারণেই জীবপদার্থবিজ্ঞানের সূচনা হলো।

জীবপদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি

জীবপদার্থবিজ্ঞান হলো জীববিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে সেতুবন্ধ স্বরূপ। জীবপদার্থবিজ্ঞানে জীববিজ্ঞানের কোনো ব্যবস্থাকে অধ্যয়নের জন্য ভৌতবিজ্ঞানের তত্ত্ব ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। জীববিজ্ঞান সাধারণত উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য আহরণ প্রক্রিয়া, যোগাযোগ রক্ষার করার প্রক্রিয়া, পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের প্রক্রিয়া এবং বংশবৃদ্ধির নিয়মগুলো বর্ণনা করে। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান আলোচনা করে আমাদের প্রকৃতি যেসকল গাণিতিক নিয়ম মেনে চলে। দীর্ঘদিন বিজ্ঞানীরাও মনে করেছেন, জীবজগতের নিয়ম ও ভৌতজগতের নিয়ম সম্পূর্ণ আলোদা। আর বিজ্ঞানীরা এখন লক্ষ্য করছেন জীবজগতের নিয়ম ও ভৌতজগতের নিয়মের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। যেহেতু প্রাণিজগতকেও অনেকক্ষেত্রে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হচ্ছে। তাই এটিকেই জীবপদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। 

জীবপদার্থবিজ্ঞানের চ্যালেঞ্জ

জীবপদার্থবিজ্ঞানের চ্যালেঞ্জ হলো কীভাবে জীবনের নানা জটিলতাকে পদার্থবিজ্ঞানের সহজ নিয়মের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করা যায়। গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহার করে জীবনের নানাবিধ রহস্য অনুসন্ধান ও বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর গভীরে প্রবেশ করার শক্তিশালী মাধ্যম হলো জীবপদার্থবিজ্ঞান। 

ক্রেস্কোগ্রাফ

স্যার জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদ শারীরতত্ত্বের উপর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার করেন। যেমন- উদ্ভিদের বৃদ্ধি রেকর্ড করার জন্য ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার করেন।

জগদীশচন্দ্র বসু

জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একাধারে একজন প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, অন্যদিকে একজন জীববিজ্ঞানী।

উপমহাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী?

উপমহাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু।

জগদীশচন্দ্র বসু কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর জগদীশচন্দ্র বসু ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন।

জগদীশচন্দ্র বসুর শিক্ষাজীবন

জগদীশচন্দ্র বসুর পিতা ভগবানচন্দ্র বসু ফরিদপুর জেলার একজন ডেপুটি মেজিস্ট্রেট ছিলেন। তাই তিনি প্রথমে ফরিদপুরের গ্রামীণ বিদ্যালয়ে মাতৃভাষায় লেখাপড়া শুরু করেন। পরে কলকতার হেয়ার স্কুল ও সেন্ট জেভিয়ার স্কুল ও কলেজে তাঁর ছাত্রজীবন অতিবাহিত হয়। ১৮৮০ সালে বি.এ পাশ করার পর ঐ বছরই তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যান। ইংল্যান্ডে তাঁর শিক্ষা জীবন ছিল ১৮৮০-১৮৮৪ সাল পর্যন্ত। ঐ সময়ে তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বি.এ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৮৮৫ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে গবেষণার তেমন সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও তিনি সেখানে গবেষণার কাজ চালিয়ে যান। ১৮৯৫ সালে তিনি ইতিহাসে প্রথম বারের মতো দূরবর্তী স্থানে বিনা তারে রেডিও সংকেত প্রেরণে সমর্থ হন।

পদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান

বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৯৫ সালে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দূরবর্তী স্থানে বিনা তারে রেডিও সংকেত প্রেরণ করে জনসমক্ষে দেখান। মাইক্রোওয়েভ গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনিই প্রথম উৎপন্ন তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে মিলিমিটার (প্রায় ৫ মিলিমিটার) পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন। তিনিই প্রথম রেডিও সংকেত সনাক্ত করার কাজে অর্ধপরিবাহী জংশনের ব্যবহার করেন। এই আবিষ্কার থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা নেওয়ার পরিবর্তে তিনি তাঁর আবিষ্কারকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন, যেন অন্যরা এই গবেষণাকে আরো সমৃদ্ধ করার সুযোগ পায়।

কোন বিজ্ঞানী তারের সাহায্য ছাড়া দূরবর্তী স্থানে রেডিও সংকেতকে প্রেরণ করেন?

বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু তারের সাহায্য ছাড়া দূরবর্তী স্থানে রেডিও সংকেতকে প্রেরণ করেন। 

জগদীশচন্দ্র বসু উৎপন্ন তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে কত পর্যন্ত নামিয়ে আনতে সক্ষম হন?

জগদীশচন্দ্র বসু উৎপন্ন তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে প্রায় ৫ মিলিমিটার পর্যন্ত নামিয়ে আনতে সক্ষম হন।

উদ্ভিদের বৃদ্ধি রেকর্ড করার জন্য জগদীশচন্দ্র বসু কী আবিষ্কার করেন?

উদ্ভিদের বৃদ্ধি রেকর্ড করার জন্য জগদীশচন্দ্র বসু ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার করেন।

জীবপদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান

জগদীশচন্দ্র বসু একাধারে একজন প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, অন্যদিকে একজন জীববিজ্ঞানী ছিলেন। জীবপদার্থবিজ্ঞানে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান হলো উদ্ভিদ কীভাবে উদ্দীপকের প্রতি সাড়া দেয়, এর পরিবহনের প্রকৃতি নিয়ে। আগে ধারণা করা হতো বিভিন্ন উদ্দীপনায় উদ্ভিদের সাড়া দেওয়ার প্রকৃতি রাসায়নিক কিন্তু তিনি দেখাতে সমর্থ হলেন যে এর প্রকৃতি বৈদ্যুতিক।

জগদীশচন্দ্র বসুর বাংলা ভাষায় রচিত রচনাবলী কোন্ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে?

জগদীশচন্দ্র বসুর বাংলা ভাষায় রচিত রচনাবলী ‘অব্যক্ত’ নামক গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।

কে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন?

বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতায় ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন।

জগদীশচন্দ্র বসু কী কারণে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন?

১৯১৭ সালে উদ্ভিদ-শরীরতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতায় ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন।

জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও সংকেত সনাক্ত করার কাজে কী ব্যবহার করেন?

জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও সংকেত সনাক্ত করার কাজে অর্ধপরিবাহী জাংশনের ব্যবহার করেন।

‘Response in the Living and Non-Living’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?

 জগদীশচন্দ্র বসু।

মানবদেহ মানবসৃষ্ট জটিল যন্ত্রের চেয়েও বিস্ময়কর - বুঝিয়ে লিখ।

মানবদেহ একটি জৈবযন্ত্র স্বরূপ। যন্ত্র দ্বারা কাজ করার জন্য শক্তির প্রয়োজন। বিভিন্ন ইঞ্জিনে আমরা পেট্রোল ডিজেল, সি.এন.জি ইত্যাদি জ্বালানি ব্যবহার করে রাসায়নিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করি। ঠিক তেমনিভাবে খাদ্য গ্রহণ ও শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহেও রাসায়নিক শক্তিকে তাপশক্তি ও যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। সুতরাং মানবদেহ আসলে একটি জৈবিক যন্ত্রের মতো।

মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে

মানবদেহকে অনেকে একটি যন্ত্ররূপে অভিহিত করে থাকেন। যদিও মানবদেহ আসলে যন্ত্র নয়, তবু এটি অনেকাংশে যন্ত্রের ন্যায় আচরণ করে। যন্ত্র যেমন অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের সমন্বয়ে গঠিত মানবদেহেরও এমন অংশ রয়েছে যেমন- হৃৎপিন্ড, বৃক্ক, ফুসফুস, যকৃত ইত্যাদি। যন্ত্রের প্রত্যেকটি অংশ যেমনিভাবে বিশেষ কাজ সম্পন্ন করে, তেমনি ভাবে মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ আলাদা আলাদা কাজে নিয়োজিত থাকে। যন্ত্রের যেমন কোনো একটি অংশ বিকল হলে সম্পূর্ণ অংশটি বিকল হয়ে যায়। তেমনি কখনো কখনো শরীরের একটি মাত্র অংশ বিকল হলে সমগ্র মানবদেহের কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যায়। মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ একে অন্যের সাথে আন্তসম্পর্কিত, প্রত্যেকটি অঙ্গের কাজ সুনির্দিষ্ট এবং পূর্বনির্ধারিত থাকে। এ কারণেই মানবদেহ সবচেয়ে জটিল যন্ত্রের সমতূল্য।

রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির নাম

রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো নিম্নরূপ-

১. এক্সরে

২. আল্ট্রাসনোগ্রাফি

৩. সিটিস্ক্যান

৪. এমআরআই

৫. ইসিজি

৬. এন্ডোসকোপি

৭. রেডিওথেরাপি

৮. ইটিটি

৯. এনজিওগ্রাফি

এক্সরে

এক্সরে হলো এক ধরনের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। এক্সরে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সাধারণ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে চেয়ে অনেক কম। এই রশ্মির দৈর্ঘ্য 10-10m এর কাছাকাছি। ১৮৯৫ সালে উইল হেম রন্টজেন্ট এক্সরে আবিষ্কার করেন। এর ভেদন ক্ষমতা অনেক বেশি।

দ্রুতগতি সম্পন্ন ইলেকট্রন কোনো ধাতুকে আঘাত করলে তা থেকে অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে এবং উচ্চ ভেদনক্ষমতা সম্পন্ন অজানা প্রকৃতির এক প্রকার বিকিরণ উৎপন্ন হয়। এ বিকিরণকে এক্সরে বা এক্স রশ্মি বলে।

এক্সরে নল

এটি একটি বায়ু শূন্য কাচ নল। এক্সরে নলে এক্সরে উৎপন্ন হয়। কাচ নলের দু’প্রান্তে দুটি তড়িৎদ্বার লাগানো থাকে। এদের নাম ক্যাথোড এবং অ্যানোড। উচ্চতর বিভব পার্থক্যে ক্যাথোড থেকে ইলেকট্রন মুক্ত হয়ে অ্যানোডকে আঘাত করলে এক্সরে উৎপন্ন হয়।

এক্সরে কে আবিষ্কার করেন?

১৮৯৫ সালে উহ্লহেলোম রন্টজেন এক্সরে আবিষ্কার করেন।

ফিলামেন্ট

এক্সরে নলের ভেতরে দু’প্রান্তে দুটি ইলেকট্রোড লাগানো থাকে। এদের একটির নাম ক্যাথোড এবং অপরটির নাম অ্যানোড। ক্যাথোডে টাংস্টেন ধাতুর একটি কুন্ডলী থাকে এই কুন্ডলীটিকে ফিলামেন্ট বলে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক্সরের ব্যবহার

চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক্সরের নিম্নরূপ ব্যবহারগুলো লক্ষ্য করা যায়-

১. স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড় ইত্যাদি এক্সরের সাহায্যে খুব সহজে সনাক্ত করা যায়।

২. দাঁতের গোড়ায় ঘা এবং ক্ষয় নির্ণয়ে এক্সরে ব্যবহৃত হয়।

৩. পেটের এক্সরের সাহায্যে অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা সনাক্ত করা যায়।

৪. এক্সরের সাহায্যে পিত্তথলি ও কিডনির পাথরকে সনাক্ত করা যায়।

৫. বুকের এক্সরের সাহায্যে ফুসফুসের রোগ যেমন- নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি নির্ণয় করা যায়।

৬. এক্সরে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে পারে। রেডিওথেরাপি প্রয়োগ করে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়।

এক্সরে ব্যবহারে সতর্কতা

এক্সরে করার সময় যেসকল সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত সেগুলো হলো-

১. এক্সরে করার সময় রোগীকে সীসা নির্মিত এপ্রোন দ্বারা আচ্ছাদিত করতে হবে।

২. খুব জরুরী না হলে গর্ভবতী মহিলাদের উদর এবং পেলভিক অঞ্চলের এক্সরে করা উচিত নয়।

৩. রোগী ছাড়া অন্যদের এক্সরে রুমের বাহিরে অবস্থান করতে হবে।

আল্ট্রাসনোগ্রাফি

আল্ট্রাসনোগ্রাফি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দের প্রতিফলনের উপর নির্ভরশীল। উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ যখন শরীরের গভীরের কোনো অঙ্গ বা পেশি থেকে প্রতিফলিত হয় তখন প্রতিফলিত তরঙ্গের সাহায্যে ঐ অঙ্গের অনুরূপ একটি প্রতিবিম্ব মনিটরের পর্দায় গঠন করা হয়।

আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত শব্দের কম্পাঙ্ক

আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত শব্দের কম্পাঙ্ক 1 - 10 মেগাহার্টজ হয়ে থাকে।

ভ্রূণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভে আল্ট্রাসনোগ্রাফির ভূমিকা

আল্ট্রাসনোগ্রাফি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দের প্রতিফলনের উপর নির্ভরশীল। উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ যখন শরীরের গভীরের কোনো অঙ্গ বা পেশি থেকে প্রতিফলিত হয় তখন প্রতিফলিত তরঙ্গের সাহায্যে ঐ অঙ্গের অনুরূপ একটি প্রতিবিম্ব মনিটরের পর্দায় গঠন করা হয়। এতে কোনো প্রকার তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ নেই। ফলে প্রসূতিবিদ্যায় এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য কৌশল।

আল্ট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতিবিজ্ঞানে লক্ষ করা যায়। এর সাহায্যে ভ্রুণের আকার, পূর্ণতা, ভ্রুণের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থা জানা যায়। ভ্রুণের বয়স ৫ সপ্তাহ থেকে ৬ সপ্তাহ পার হতেই আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে ভ্রুণের অবস্থান ধরা পড়ে।

পেলভিক মাস

মানুষের উদরের নিম্নভাগে জরায়ু এবং আশে পাশে টিউমার বা অস্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি হলে তাকে পেলভিক মাস বলে। আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে পেলভিক মাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা যায়।

ইকোকার্ডিওগ্রাফি

হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করার জন্য যখন আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয় তখন এ পরীক্ষাকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে।

আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় পদ্ধতি

আল্ট্রাসনোগ্রাফি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দের প্রতিফলনের উপর নির্ভরশীল। উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ যখন শরীরের গভীরের কোনো অঙ্গ বা পেশি থেকে প্রতিফলিত হয় তখন প্রতিফলিত তরঙ্গের সাহায্যে ঐ অঙ্গের অনুরূপ একটি প্রতিবিম্ব মনিটরের পর্দায় গঠন করা হয়। রোগ নির্ণয়ের জন্য যে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয় সেই শব্দের কম্পাঙ্ক 1 - 10 মেগাহার্টজ হয়ে থাকে। আল্ট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রে ট্রান্সডিউসার নামক একটি স্ফটিককে বৈদ্যুতিকভাবে উত্তেজিত বা উদ্দীপিত করে উচ্চ কম্পাঙ্কের আল্ট্রাসনেক তরঙ্গগুলোকে একটি সরু বীম এ পরিণত করা হয়। পরে এই বীমকে যে অঙ্গের প্রতিবিম্ব রেকর্ড করতে হবে তার দিকে প্রেরণ করা হয়। যে অঙ্গের দিকে এটি নির্দেশ করা হয় সেই তলের প্রকৃতি অনুযায়ী বীমটি প্রতিফলিত, শোষিত বা সংবাহিত হয়। যখন বীমটি বিভিন্ন ঘনত্বের পেশির (যেমন- মাংসপেশি, রক্ত) বিভেদতলে আপতিত হয় তখন তরঙ্গের একটি অংশ প্রতিধ্বনি হিসাবে পুনরায় ট্রান্সডিউসারে ফিরে আসে। পরে এই প্রতিধ্বনিগুলোকে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত করা হয়। এই তড়িৎ সংকেতগুলো একত্রে মনিটরের পর্দায় পরীক্ষণীয় বস্তু বা পেশির একটি প্রতিবিম্ব গঠন করা হয়।

আল্ট্রাসনোগ্রাফির নির্ভরতা

আল্ট্রাসনোগ্রাফি প্রক্রিয়াটি উচ্চ কম্পাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল।

ইকোকার্ডিওগ্রাফি

আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে হৃদপিণ্ড পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলে।

আল্ট্রাসনোগ্রাফির ব্যবহার

আল্ট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতিবিজ্ঞানে লক্ষ্য করা যায়-

১. ভ্রুণের আকার, পূর্ণতা, ভ্রুণের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থান জানা যায়।

২. প্রসূতিবিদ্যায় এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কৌশল।

৩. জরায়ুর টিউমার সনাক্ত করা যায়।

৪. পেলভিক মাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা যায়।

সিটি স্ক্যান

সিটি স্ক্যান ইংরেজি Computed Tomography Scan এর সংক্ষিপ্ত প্রক্রিয়া এ যন্ত্রে এক্সরে ব্যবহৃত হয়।

সিটি স্ক্যান যেভাবে কাজ করে

সিটিস্ক্যান যন্ত্র ডিজিটাল জ্যামিতিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে কোনো বস্তুর অভ্যন্তরের ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব গঠন করে। একটি ঘূর্ণন অক্ষের সাপেক্ষে অনেকগুলো দ্বিমাত্রিক এক্সরে প্রতিবিম্ব নেওয়ার পর এগুলোকে একত্রিত করে ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব গঠন করা হয়। এ কাজটি কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। বৃত্তাকার পথে ঘুরার সময় সিটিস্ক্যান যন্ত্র পরপর অনেকগুলো সরু এক্সরে বীম রোগীর শরীরের মধ্য দিয়ে প্রেরণ করে। অথচ এক্সরে করার সময় রোগীর দেহে শুধুমাত্র একবার এক্সরে বীমটি অতিক্রম করে। ফলে এক্সরের তুলনায় সিটিস্ক্যানের চিত্র অনেক নিখুঁত এবং বিস্তৃত হয়। সিটিস্ক্যান যন্ত্রে ব্যবহৃত এক্সরে ডিটেকটরটির সাহায্যে রোগীর দেহের বিভিন্ন ঘনত্বের শত শত স্তর শনাক্ত করা যায়। ডিটেকটর দ্বারা সংগৃহীত ডাটা কম্পিউটারে প্রেরণ করা হয়। কম্পিউটার পরে শরীরের কোনো অংশের ত্রিমাত্রিক ছবি গঠন করে এবং পর্দায় ডিসপ্লে করে।

সিটি স্ক্যানের সাহায্যে জানা যায়

সিটিস্ক্যানের সাহায্যে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ জানা যায়-

১. শরীরের নরম টিস্যু, রক্তবাহী শিরা বা ধমনী, ফুসফুস, ব্রেণ ইত্যাদির ত্রিমাত্রিক ছবি পাওয়া যায়।

২. যকৃত ফুসফুস এবং অগ্নাশয়েল ক্যান্সার সনাক্ত করার কাজে সিটিস্ক্যান ব্যবহৃত হয়।

৩. টিউমার সনাক্তকরণ, টিউমারের আকার, অবস্থান এবং টিউমারটি পাশ্ববর্তী অন্য টিস্যুকে কী পরিমাণ আক্রান্ত করেছে তা নির্ধারণেও সাহায্য করে।

৪. মাথার সিটিস্ক্যানের সাহায্যে মস্তিষ্কের ভেতরে কোনো ধরণের রক্তপাত, ধমনীর ফুলা এবং টিউমারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়।

৫. রক্তসঞ্চালনে সমস্যা আছে কিনা তাও জানা যায়।

এমআরআই

এমআরআই ইংরেজি Magnetic Resonance Imaging এর সংক্ষিপ্তরূপ। এ যন্ত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের কোনো স্থানের বিস্তৃত প্রতিবিম্ব গঠন করে।

এমআরআই এর কাজ করার ভিত্তি

Nuclear Magnetic Resonance বা নিউক্লীয় চৌম্বক অনুনাদ এর ভৌত এবং রাসায়নিক নীতির ওপর ভিত্তি করে এমআরআই কাজ করে।

এমআরআই করার কারণ

চিকিৎসাক্ষেত্রে এম.আর.আই একটি অত্যন্ত মূল্যবান পরীক্ষা-

১. পায়ের গোড়ালির মচকালে আঘাতের তীব্রতা জানা যায়।

২. পিঠের ব্যথায় ব্যথার তীব্রতা পরিমাপে ব্যবহার করা হয়।

৩. মেরু রজ্জুর বিস্তৃত প্রতিবিম্ব তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়।

ইসিজি

ইসিজি হলো ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ইসিজি এমন একটি রোগ নির্ণয় পদ্ধতি যার সাহায্যে নিয়মিতভাবে কোনো ব্যক্তির হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যায়। হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের হার, ছন্দময়তা ইত্যাদি নির্ণয় করা যায়।

ইসিজি এর সাহায্যে হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহের প্রমাণ পাওয়া যায়

ইসিজি এমন একটি রোগ নির্ণয় পদ্ধতি যার সাহায্যে নিয়মিতভাবে কোনো ব্যক্তির হৃৎপিন্ডের বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যায়। আমাদের হৃদপিন্ড বাহিরের কোনো উদ্দীপনা ছাড়াই ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক সংকেত উৎপন্ন করতে পারে। এই বৈদ্যুতিক সংকেত হৃৎযন্ত্রের পেশির মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে, এর ফলে হৃদযন্ত্র সংকুচিত হয়। ইসিজি যন্ত্র হৃৎপিন্ডের এই বৈদ্যুতিক সংকেতকে সনাক্ত করতে পারে। আমরা জানি, হৃৎপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণের কারনেই রক্ত প্রবাহিত হয়। এভাবেই ইসিজির মাধ্যমে আমরা হৃৎপিন্ডের স্পন্দনের হার এবং ছন্দময়তা পরিমাপ করতে পারি। যা হৃৎপিন্ডের রক্তপ্রবাহের পরোক্ষ প্রমাণ দেয়।

ইসিজি যেভাবে করা হয়

ইসিজি এর সাহায্যে আমরা হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের হার ও ছন্দময়তা পরিমাপ করতে পারি। আর এই সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয় তড়িৎসংকেতরূপে। হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন দিক থেকে আগত বৈদ্যুতিক সংকেতকে সংগ্রহ করার জন্য ব্যবহৃত হয় ইলেকট্রোড বা তড়িৎদ্বার। হৃদপিন্ডের একটি সম্পূর্ণ ছবি পাবার জন্য দশটি ইলেকট্রোড ব্যবহার করে বারোটি বৈদ্যুতিক সংকেতকে সনাক্ত করা হয়। প্রত্যেকটি হাতে এবং পায়ে একটি করে মোট চারটি এবং বাকী ছয়টি ইলেকট্রোড হৃৎপিন্ডের প্রাচীর বরাবর স্থাপন করা হয়। প্রত্যেকটি ইলেকট্রোড দ্বারা সংগৃহীত তড়িৎ সংকেত রেকড করা হয়। সুস্থ মানুষের জন্য প্রত্যেক ইলেকট্রোড থেকে প্রাপ্ত তড়িৎ সংকেতের একটি স্বাভাবিক নকশা থাকে। যদি কোনো ব্যক্তির হৃৎপিন্ডের কোনো ধরনের অস্বাবাভিক অবস্থা লক্ষ করা যায় তখন ইলেকট্রোডসমূহ থেকে প্রাপ্ত নকশা স্বাভাবিক নকশা থেকে ভিন্নতর হবে। এভাবেই ইসিজি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়।

ইসিজির সাহায্যে নির্ণীত রোগের নাম

ইসিজি মূলত হৃৎপিন্ডের বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করার একটি পদ্ধতি। এর সাহায্যে হৃৎপিন্ডের নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়-

১. হৃৎপিন্ডের অস্বাভাবিক স্পন্দন যেমন- হৃৎপিন্ডের স্পন্দনের হার বেশি বা কম বা অনিয়মিত ইত্যাদি।

২. হার্ট অ্যাটাক বা সম্প্রতি বা কিছুদিন পূর্বে সংঘটিত হয়েছে।

৩. সম্প্রসারিত হৃৎপিন্ড অর্থাৎ হৃৎপিন্ডের আকার বড় হয়ে যাওয়া।

ইলেকট্রোড

শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত তড়িৎদ্বার বা ইলেকট্রোড সমূহ হৃৎযন্ত্রের বিভিন্ন দিক থেকে আগত বৈদ্যুতিক সংকেতগুলোকে সনাক্ত করে। হৃৎপিণ্ডের একটি সম্পূর্ণ ছবি পাবার জন্য দশটি ইলেকট্রোড ব্যবহার করে বারোটি বৈদ্যুতিক সংকেতকে সনাক্ত করা হয়।

এন্ডোসকোপি

এন্ডোসকোপি বলতে বুঝায় চিকিৎসাজনিত কারণে বা প্রয়োজনে দেহের অভ্যন্তরস্থ কোনো অঙ্গ বা গহ্বরকে বাহির থেকে পর্যবেক্ষণ। এন্ডোসকোপির মাধ্যমে ফুসফুস, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, কোলন, কান প্রভৃতি অঙ্গসমূহের ক্ষত, প্রদাহ এবং স্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি পরীক্ষা করা যায়।

রেডিও থেরাপি

রেডিও থেরাপি শব্দটি ইংরেজি Radiation Therapy শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। সাধারণত রেডিও থেরাপি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন এক্সরে ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। মূলত এটি হলো কোনো রোগের চিকিৎসায় আয়ন সৃষ্টিকারী বিকিরণের ব্যবহার।

রেডিও থেরাপির প্রকারভেদ

রেডিও থেরাপি দুই ধরনের হয়। যথা-

১) বাহ্যিক বীম বিকিরণ বা বাহ্যিক রেডিওথেরাপি।

২) অভ্যন্তরীণ রেডিওথেরাপি।

বাহ্যিক রেডিওথেরাপি

বাহ্যিক রেডিও থেরাপির ক্ষেত্রে শরীরের বাহির থেকে উচ্চ শক্তি সম্পন্ন এক্সরে, কোবাল্ট বিকিরণ, ইলেকট্রন বা প্রোটন বীম ব্যবহার করা হয়। শরীরের যে স্থানে টিউমারটি অবস্থিত সেই দিকে তাক করে বীমটি প্রয়োগ করা হয়।

অভ্যন্তরীণ রেডিওথেরাপি

অভ্যন্তরীণ রেডিও থেরাপির ক্ষেত্রে রোগী তেজষ্ক্রিয় তরল পদার্থ পানীয় হিসেবে গ্রহণ করে অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগীর দেহে তেজষ্ক্রিয় তরল পদার্থ প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। যেমনÑ রক্তের ক্যান্সারে তেজষ্ক্রিয় ফসফরাস এবং থাইরয়েড ক্যান্সারে তেজষ্ক্রিয় আয়োডিন ব্যবহৃত হয়। এটাকে ব্রাকিথেরাপিও বলা হয়।

ব্রাকিওথেরাপি

যে প্রক্রিয়ায় রোগীর শরীরে তেজষ্ক্রিয় তরল পদার্থ পানীয় হিসেবে অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ প্রবেশ করিয়ে দিয়ে চিকিৎসা করা হয় তাকে ব্রাকি থেরাপি বলে। যেমন: থাইরয়েড ক্যান্সারে তেজষ্ক্রিয় আয়োডিন (I131) ব্যবহার করা হয়।

ইসিজি কাকে বলে?

ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম একটি রোগ নির্ণয় পদ্ধতি যার সাহায্যে নিয়মতিভাবে কোনো ব্যক্তির হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষেণ করা যায়।

এনালগ সংকেত কাকে বলে?

যেসব সংকেতের মান নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিবর্তিত হয় এবং নিম্নতম থেকে উচ্চতম যেকোনো মান গ্রহণ করতে পারে তাদের এনালগ সংকেত বলে।

ডাই কাকে বলে?

এনজিওগ্রাম করার সময় চিকিৎসক রোগীর দেহে একটি সরু ও নমনীয় নলের মধ্য দিয়ে যে তরল পদার্থ প্রবেশ করান, সেই তরল পদার্থটিকে ডাই বলে।

সমন্বিত বর্তনী কাকে বলে?

সমন্বিত বর্তনী বা আইসি হলো সিলিকনের মতো অর্ধপরিবাহী ব্যবহার করে তৈরি এমন একটি নির্মাণ, যাতে আমাদের আঙুলের নখের সমান জায়গায় লাখ লাখ আণুবীক্ষণিক তড়িৎ বর্তনী সংযুক্ত থাকে।

তড়িৎ মোটর কী?

যে যন্ত্র তড়িৎশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে তড়িৎ মোটর বলে।

অর্ধায়ু কী?

যে সময়ে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থের মোট পরমাণুর ঠিক অর্ধেক পরিমাণ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় তাকে ঐ পদার্থের অর্ধায়ু বলে।

তেজস্ক্রিয়তা কী?

কোনো তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় কণা বা রশ্মি নির্গমনের ঘটনাকে তেজস্ক্রিয়তা বলে।

CT স্ক্যান কী?

CT স্ক্যান শব্দটি ইংরেজি Computed Tomography Scan এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রতিবিম্ব তৈরির একটি প্রক্রিয়া।

সমন্বিত বর্তনী কাকে বলে?

সমন্বিত বর্তনী বা আইসি হলো সিলিকনের মতো অর্ধপরিবাহী ব্যবহার করে তৈরি এমন একটি নির্মাণ যাতে আমাদের আঙুলের নখের সমান জায়গায় লাখ লাখ আণুবীক্ষণিক তড়িৎ বর্তনী সংযুক্ত থাকে।

কঠিন এক্সরে কাকে বলে?

এক্স-রে যন্ত্রে বেশি বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করে যে এক্স-রে পাওয়া যায় তাকে কঠিন এক্স-রে বলে।

এনজিওগ্রাফি কী?

এনজিওগ্রাফি হলো এমন একটি প্রতিবিম্ব তৈরির পরীক্ষা যেখানে শরীরের রক্তনালিকাসমূহ দেখার জন্য এক্স-রে ব্যবহার করা হয়।

এনজিওগ্রাফি করার নিয়ম

এনজিওগ্রাম করার সময় চিকিৎসক রোগীর দেহে একটি তরল পদার্থ একটি সরু ও নমনীয় নলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দেন। তরল পদার্থটিকে ‘ডাই’ এবং নলটিকে ক্যাথেটার বলে। এই ডাই ব্যবহারের ফলে রক্তবাহী নালিকাগুলো এক্সরের সাহায্যে দৃশ্যমান হয়। এই ডাই পরে কিডনী এবং মূত্রের মাধ্যেমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট প্রবেশ বিন্দুর মধ্য দিয়ে ক্যাথেটারটিকে নির্দিষ্ট ধমনী বা শিরার মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। প্রবেশ বিন্দুটি শরীরের যেকোনো স্থানের রক্তনালিতে হতে পারে।

এনজিওগ্রাফি হলো এমন একটি প্রতিবিম্ব তৈরির পরীক্ষা যেখানে শরীরের রক্তনালিকাসমূহ দেখার জন্য এক্সরে ব্যবহার করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তবাহী শিরা বা ধমনীগুলো সরু, বøক ও প্রসারিত হয়েছে কী-না তা নির্ণয় করা যায়। রক্তনালিতে বøক এবং রক্তনালি সরু এবং অপ্রস্থ হলে শরীরে রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। এনজিওগ্রাম করার সময় চিকিৎসক রোগীর দেহে একটি তরল পদার্থ একটি সরু ও নমনীয় নলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দেন। তরল পদার্থটিকে ‘ডাই’ এবং নলটিকে ক্যাথেটার বলে। এই ডাই ব্যবহারের ফলে রক্তবাহী নালিকাগুলেঅ এক্সরের সাহায্যে দৃশ্যমান হয়। এই ডাই পরে কিডনী এবং মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট প্রবেশ বিন্দুর মধ্য দিয়ে ক্যাথেটারটিকে নির্দিষ্ট ধমনী বা শিরার মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। প্রবেশ বিন্দুটি শরীরের যে কোনো স্থানের রক্তনালিতে হতে পারে। ব্যবহৃত ডাইটিকে কখনো কখনো বৈসাদৃশ্য হিসেবে অভিহিত করা হয়।

চিকিৎসকগণ এনজিওগ্রাফি করার পরামর্শ দেন কারণ

চিকিৎসকগণ যেসকল কারণে এনজিওগ্রাফি করার পরামর্শ দেন তা নিম্নরূপ-

১. হৃৎপিণ্ডের বাহিরে ধমনীতে ব্লকেজ হলে।

২. ধমনী প্রসারিত হলে।

৩. কিডনির ধমনীর অবস্থা বুঝার জন্য।

৪. শিরার কোনো সমস্যা হলে।

এনজিওপ্লাস্টি

চিকিৎসকগণ অনেক সময় এনজিওগ্রাম করার সময়ে সার্জারী ছাড়াই রক্তনালীর ব্লকের চিকিৎসা করে থাকেন। যে কৌশলে বা প্রক্রিয়ায় এনজিওগ্রাম করার সময় ধমনীর ব্লক মুক্ত করা হয় তাকে এনজিওপ্লাস্টি বলে।

আইসোটোপ কী?

যেসব মৌলের প্রোটিন সংখ্যা সমান, কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা বিভিন্ন হয় তাকে আইসোটোপ বলে।

চিকিৎসাক্ষেত্রে আইসোটোপের ব্যবহার

চিকিৎসাক্ষেত্রে ‘পরমাণু চিকিৎসায়’ তেজষ্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। তেজষ্ক্রিয় আইসোটোপ রোগ নির্ণয়ে এবং রোগ নিরাময়ে এই দুই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে সাধারণত নিম্নরূপ ব্যবহারগুলো লক্ষ করা যায়-

১. শরীরে কোনো স্থানে বা অঙ্গে ক্ষতিকর ক্যান্সার টিউমারের উপস্থিতি তেজষ্ক্রিয় আইসোটোপের সাহায্যে সনাক্ত করা যায়।

২. ক্যান্সার চিকিৎসায় কোবাল্ট-60 আইসোটোপ থেকে নির্গত গামা রশ্মি ব্যবহৃত হয়।

৩. অপারেশনের যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণে উক্ত গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়।

৪. থাইরয়েড গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ডের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জনিত রোগের চিকিৎসায় আয়োডিন-131 ব্যবহৃত হয়।

৫. পরমাণু চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ের জন্য টেকনিশিয়াম-99m  ব্যবহৃত হয়।

৬. টেকনিশিয়াম-99m  এর সাহায্যে ব্রেন, লিভার, প্লীহা এবং হাড়ের ইমেজিং বা স্ক্যানিং করা হয়।

৭. রক্তের শ্বেত কণিকা বৃদ্ধির ফলে রক্তাল্পতা রোগের চিকিৎসায় ফসফরাস-32 এর ফসফেট ব্যবহৃত হয়।



প্রশ্নব্যাংক

14.1  জীবপদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি (Background of Biophysics)

  • জীবপদার্থবিজ্ঞান কি বুঝিয়ে লিখ।
  • জীবজগতের নিয়ম ও ভৌতজগতের নিয়ম কি আলাদা বুঝিয়ে লিখ।
  • জীবপদার্থবিজ্ঞানের সূচনা হলো কিভাবে?
  • জীবপদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি কি?
  • প্রাণিজগতকেও পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করা সম্ভব - বুঝিয়ে লিখ।

14.2  জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান (Contribution of Jagadish Chandra Bose)

  • জগদীশচন্দ্র বসু কে ছিলেন?
  • জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান বর্ণনা কর।
  • জীবপদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান বর্ণনা কর।
  • জগদীশচন্দ্র বসুর বাংলা ভাষায় রচিত রচনাবলী কোন্ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে?
  • কে 'বসু বিজ্ঞান মন্দির' প্রতিষ্ঠা করেন?

14.3  মানবদেহ এবং যন্ত্র (Human Bodies and Machines)

  • মানবদেহ মানবসৃষ্ট সবচেয়ে জটিল যন্ত্রের সমতুল্য - বুঝিয়ে লিখ।
  • মানবদেহ একটি জৈব যন্ত্র - বুঝিয়ে লিখ।
  • মানবদেহ মানবসৃষ্ট জটিল যন্ত্রের চেয়েও বিস্ময়কর - বুঝিয়ে লিখ।
  • মানবদেহ কখনো কখনো যন্ত্রের মতো আচরণ করে ব্যাখ্যা কর।

14.4  রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি (Diagnostic Instruments)

  • রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলোর নাম লিখ।
  • এক্সরে কে আবিষ্কার করেন?
  • এক্সরে কি? রোগ নির্ণয়ে ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক্সরের ব্যবহার লিখ।
  • এক্সরের উৎপাদন প্রক্রিয়া আলোচনা কর।
  • এক্সরের ব্যবহার বর্ণনা কর।
  • এক্সরে এবং সাধারণ আলোর তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
  • এক্সরের মাধ্যমে পেটের টিউমার কিভাবে সনাক্ত করা হয় বর্ণনা কর।
  • এক্সরের সাহায্যে স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড় ইত্যাদি খুব সহজেই সনাক্ত করা যায় বুঝিয়ে লিখ।
  • আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত শব্দের কম্পাঙ্ক কত হয়?
  • আল্ট্রাসনোগ্রাফি কি? আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে কিভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করা হয় আলোচনা কর।
  • ইকোকার্ডিওগ্রাফি বলতে কি বুঝ?
  • আল্ট্রাসনোগ্রাফির ব্যবহার লিখ।
  • সিটিস্ক্যান কি? সিটিস্ক্যান কিভাবে করা হয়?
  • টমোগ্রাফি কি?
  • এমআরআই কি? এমআরআই কিভাবে কাজ করে - ব্যাখ্যা কর।
  • এমআরআই এর সাহায্যে প্রাপ্ত প্রতিবিম্বের বর্ণনা দাও।
  • ইসিজি কি? ইসিজি কিভাবে করা হয়?
  • ইসিজি এর ব্যবহার লিখ।
  • ইসিজির সাহায্যে কোন কোন রোগ নির্ণয় করা যায়?
  • এন্ডোসকোপি কি? এন্ডোসকোপি কিভাবে কাজ করে?
  • এন্ডোসকোপির সাহায্যে কি করা যায়?

14.5  রোগ নিরাময়ে পদার্থবিজ্ঞান (Physics in Treatment)

  • রেডিও থেরাপি কি? রেডিও থেরাপি কিভাবে করা হয়?
  • রেডিও থেরাপির ব্যবহার লিখ।
  • রেডিও থেরাপি কয় ধরনের ও কি কি?
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি কেন ব্যবহার করা হয়?
  • ইটিটি কি? ইটিটি কিভাবে করা হয়?
  • ইটিটি এক ধরনের ইসিজি পরীক্ষা বর্ণনা কর।
  • এনজিওগ্রাফি কি? কিভাবে এনজিওগ্রাফি করা হয়?
  • এনজিওগ্রাফি করা হয় কেন?
  • কোন কোন ক্ষেত্রে এনজিওগ্রাম করা হয়?
  • আইসোটোপ কি? বিভিন্ন আইসোটোপের ব্যবহার লিখ।


এসএসসি পদার্থবিজ্ঞান || SSC Physics


অধ্যায় - ০১ : ভৌত রাশি ও পরিমাপ

অধ্যায় - ০২ : গতি

অধ্যায় - ০৩ : বল

অধ্যায় - ০৪ : কাজ, ক্ষমতা ও শক্তি

অধ্যায় - ০৫ : পদার্থের অবস্থা ও চাপ

অধ্যায় - ০৬ : বস্তুর উপর তাপের প্রভাব

অধ্যায় - ০৭ : তরঙ্গ ও শব্দ

অধ্যায় - ০৮ : আলোর প্রতিফলন

অধ্যায় - ০৯ : আলোর প্রতিসরণ

অধ্যায় - ১০ : স্থির বিদ্যুৎ

অধ্যায় - ১১ : চল তড়িৎ

অধ্যায় - ১২ : তড়িতের চৌম্বক ক্রিয়া

অধ্যায় - ১৩ : আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স

অধ্যায় - ১৪ : জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞান

No Comment
Add Comment
comment url