চল তড়িৎ | HSC পদার্থবিজ্ঞান Notes

পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র নোট
চল তড়িৎ নোট

রোধের ওপর তাপমাত্রার প্রভাব

রোধের উষ্ণতা সহগ

0°C তাপমাত্রায় একক রোধের কোন পরিবাহীর তাপমাত্রা প্রতি একক বৃদ্ধিতে তার রোধের যে বৃদ্ধি ঘটে তাকে ঐ পরিবাহীর উপাদানের রোধের উষ্ণতা সহগ বলে।

রোধের উষ্ণতা সহগের এককঃ রোধের উষ্ণতা সহগের একক হলো প্রতি কেলভিন (K-1) বা প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস (°C-1)।

অতিপরিবাহী

অতি নিম্ন তাপমাত্রায় কিছু কিছু পদার্থের রোধ শূন্যে নেমে আসে। এ সকল পদার্থকে অতিপরিবাহী বা Super Conductor বলে। পদার্থের এ ধর্মকে অতিপরিবাহীতা বলে। 4.2 K তাপমাত্রার নিচে পারদ অতিপরিবাহীতা প্রদর্শন করে।

জুলের তাপীয় ক্রিয়া

কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য থাকলে এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হয়। পরিবাহীর মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে ব্যয়িত তড়িৎ শক্তির কিছু অংশ পরিবাহীর রোধ অতিক্রম করার কাজে ব্যয়িত হয়। এই ব্যয়িত শক্তি পরিবাহীতে তাপ শক্তিরূপে প্রকাশ পায় এবং এর ফলে পরিবাহী উত্তপ্ত হয়। এই প্রক্রিয়াকে তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ক্রিয়া বলা হয়।

ক্যালরি

এক গ্রাম (1 g) বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস (1°C) বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপকে এক ক্যালরি (1 cal) বলে।

তাপের যান্ত্রিক সমতা

এক একক তাপ উৎপন্ন করতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয়, বা এক একক তাপ দ্বারা যে পরিমাণ কাজ করা যায়, তাকে তাপের যান্ত্রিক সমতা বলে।

হুইটস্টোন ব্রিজ

চারটি রোধ পর পর শ্রেণিবদ্ধভাবে যদি এমনভাবে সাজানো হয় যে, প্রথমটির প্রান্তের সাথে শেষটির শেষ প্রান্ত মিলে একটি বদ্ধ বর্তনী তৈরি হয় এবং যে কোনো দুটি রোধের সংযোগস্থল ও অপর দুটি রোধের সংযোগস্থলের মধ্যে একটি কোষ ও অন্য দুটি সংযোগস্থলের মধ্যে একটি গ্যালভানোমিটার যুক্ত থাকে সেই বর্তনীকে হুইটস্টোন ব্রিজ বলে।

শান্ট

অধিক পরিমাণ প্রবাহ গিয়ে যাতে গ্যালভানোমিটারকে নষ্ট করতে না পারে তার জন্য গ্যালভানোমিটারের সাথে সমান্তরালে যে অল্পমানের রোধ সংযুক্ত করা হয় তাকে শান্ট বলে।

মিটার ব্রিজ

যে যন্ত্রে এক মিটার লম্বা সুষম প্রস্থচ্ছেদের রোধ সম্পন্ন একটি তারকে কাজে লাগিয়ে হুইটস্টোন ব্রিজের নীতি ব্যবহার করে কোনো অজানা রোধ নির্ণয় করা হয় তাকে মিটার ব্রিজ বলে।

পোষ্ট অফিস বক্স

যে রোধ বাক্সের রোধগুলোকে হুইটস্টোন ব্রিজের তিনটি বাহু হিসেবে বিবেচনা করে এর সাহায্যে হুইস্টোন ব্রিজের নীতি ব্যবহার করে কোনো অজানা রোধ নির্ণয় করা যায়, তাকে পোস্ট অফিস বক্স বলে।

পটেনশিওমিটার

যে যন্ত্রের সাহায্যে বিভব পতন পদ্ধতিতে বিভব পার্থক্য ও তড়িচ্চালক শক্তি পরিমাপ করা হয় তাকে পটেনশিওমিটার বলে। পটেনশিওমিটারের তারের মধ্য দিয়ে ধ্রুব মাত্রার তড়িৎ প্রবাহ চললে তারের যে কোনো দুই অংশের বিভব পার্থক্য ঐ অংশের দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক হয়।

পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র


অধ্যায় - ১ : তাপগতিবিদ্যা

অধ্যায় - ৭ : ভৌত আলোক বিজ্ঞান

No Comment
Add Comment
comment url