আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা | HSC পদার্থবিজ্ঞান Notes

পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র নোট
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা নোট

আপেক্ষিকতা কাকে বলে?

চিরায়ত বলবিজ্ঞান মতে স্থান, কাল ও ভর ধ্রুবক, এগুলো আপেক্ষিক নয়। আইনস্টাইন বলেন যে, স্থান, কাল ও ভর ধ্রুবক বা পরম কিছু নয়-এগুলো আপেক্ষিক। আইনস্টাইনের এই তত্ত্বকে বলা হয় আপেক্ষিকতা তত্ত্ব।

প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে?

যে দৃঢ় বস্তুর সাপেক্ষে ত্রিমাত্রিক স্থানে কোনো বিন্দুকে সুনির্দিষ্ট করা হয় তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

জড় প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে?

জড় প্রসঙ্গ কাঠামো হলো সে প্রসঙ্গ কাঠামো যার মধ্যে নিউটনের গতিসূত্র অর্জন করা যায়। এরা পরস্পর ধ্রুব বেগে গতিশীল।

আপেক্ষিক তত্ত্বের স্বীকার্য

প্রথম স্বীকার্যঃ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলোর একই গাণিতিক রূপ থাকে।

দ্বিতীয় স্বীকার্যঃ শূন্যস্থানে সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে আলোর দ্রুতি c এর মান একই।

কালদীর্ঘায়ন কাকে বলে?

কোনো পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে গতিশীল অবস্থায় সংঘটিত দুটি ঘটনার মধ্যবর্তী কাল ব্যবধান ঐ পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে নিশ্চল অবস্থায় সংঘটিত ঐ একই ঘটনাদ্বয়ের মধ্যবর্তী কাল ব্যবধানের চেয়ে বেশি হয়, এই প্রভাবকে কাল দীর্ঘায়ন বলে।

দৈর্ঘ্য সংকোচন কাকে বলে?

কোনো পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে গতিশীল বস্তুর দৈর্ঘ্য ঐ পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে নিশ্চল অবস্থায় ঐ একই বস্তুর দৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট হয়, এই প্রভাবকে দৈর্ঘ্য সংকোচন বলা হয়।

ভরের আপেক্ষিকতা কাকে বলে?

বস্তুর চলমান বা গতিশীল ভর ও নিশ্চল ভর সমান সমান নয়। বস্তুর বেগ বৃদ্ধির সাথে সাথে এর ভর বৃদ্ধি পায়। পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে কোনা বস্তু যদি v দ্রুতিতে গতিশীল হয় তাহলে এর গতিশীল ভর পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে এর নিশ্চল ভরের 1÷√⟨1-v2/c2) গুণ বেশি হবে।

এক্স-রে কি?

দ্রুতগতিসম্পন্ন ইলেকট্রন কোনো ধাতুকে আঘাত করলে তা থেকে উচ্চ ভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন এক প্রকার বিকিরণ উৎপন্ন হয়। এ বিকিরণকে এক্স-রে বলে। ১৮৯৫ সালে উলহ হেলম্ রন্টজেন এক্স-রে আবিষ্কার করেন।

ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়া বা আলোক তড়িৎ ক্রিয়া কাকে বলে?

যথোপযুক্ত উচ্চ কম্পাঙ্কবিশিষ্ট আলোকরশ্মি কোনো ধাতবপৃষ্ঠে আপতিত হলে তা থেকে ইলেকট্রন নিঃসৃত হয়, এ ঘটনাই ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়া নামে পরিচিত। ধাতবপৃষ্ঠ থেকে নিঃসৃত ইলেকট্রনকে ফটোইলেকট্রন বলা হয়।

দ্য ব্রগলি তরঙ্গ কি?

১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে দ্য ব্রগলি আবিষ্কার করেন যে, কোনো গতিশীল কণার সাথে একটা তরঙ্গ সংশ্লিষ্ট থাকে। এই তরঙ্গকে বলা হয় দ্য ব্রগলি তরঙ্গ। এই তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যকে বলা হয় দ্য ব্রগলি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, 

λ = (h÷p)

=(h÷mv)।

কম্পটন ক্রিয়া কাকে বলে?

একবর্ণী এক্স-রে হালকা মৌল যেমন কার্বন দ্বারা বিক্ষিপ্ত হলে, বিক্ষিপ্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্য আপতিত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে কিছুটা বেশি হয়। এ ঘটনাকে কম্পটন ক্রিয়া বলে।

অনিশ্চয়তা নীতি কি?

কোনো কণার অবস্থান এবং ভরবেগ নিভুলভাবে যুগপৎ পরিমাপ করা যায় না। একমাত্র নিম্নোক্ত সম্পর্ক দ্বারা সীমাবদ্ধ নির্ভুলতাসহ এ রাশিগুলোর মান নির্ণয় করা যেতে পারে।


পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র


অধ্যায় - ১ : তাপগতিবিদ্যা

অধ্যায় - ৭ : ভৌত আলোক বিজ্ঞান

No Comment
Add Comment
comment url