একজন নেতার ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতা বলতে কী বোঝায়?

নেতার ঝুঁকি বহনের সামর্থ্যকে ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতা বলে। ব্যবসায়ের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সবসময় অনিশ্চিত থাকে। ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতার মাধ্যমে একজন নেতা ব্যবসায় সফলতার জন্য ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত ঝুঁকি নেন। এজন্য অধীনস্থদের ব্যর্থতার দায়ভারও তাকেই নিতে হয়। যে নেতা যত বেশি ঝুঁকি নিতে পারেন তিনি তত বেশি সফল হন।

পর্যায়িতকরণ কী?

মানের ভিত্তিতে পণ্যকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করাকে পর্যায়িতকরণ (Grading) বলে। সাধারণত ওজন, আকার ও গুণাগুণের ভিত্তিতে পণ্যকে পর্যায়িতকরণ করা হয়। পর্যায়িতকরণ করার ফলে ক্রেতা সহজেই তার পছন্দের পণ্য খুঁজে নিতে পারেন। এতে পণ্য বিক্রি করা সহজ হয়। ফলে ক্রেতা সন্তুষ্টি অর্জন হয়।

ব্যবস্থাপনার দ্বিতীয় কাজটি কি?

ব্যবস্থাপনার দ্বিতীয় কাজটি হলো সংগঠিতকরণ। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ এবং সম্পদকে যথাযথভাবে ব্যবহার করার জন্য কর্মীদের মাঝে দায়িত্ব ও ক্ষমতা বণ্টন এবং আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করা হয়। সংগঠন কাজকে প্রকৃতি অনুযায়ী সাজিয়ে দেয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করা সহজ জয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতসহ কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা সহজ হয়।

ব্যবস্থাপনাকে চলমান প্রক্রিয়া বলা হয় কেন?

ব্যবস্থাপনার পারস্পরিক নির্ভরশীল ও ধারাবাহিক কাজের সমষ্টিকে ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া বলে। ব্যবস্থাপনার কাজ পরিকল্পনা দিয়ে শুরু হয়ে সংগঠিতকরণ, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শেষ হয়। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আবার নতুন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। এভাবে ব্যবস্থাপনার কাজগুলো চলমান ধারায় আবর্তিত হয়। তাই একে একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পরিকল্পনা কীভাবে ব্যবসায়ের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে?

ব্যবসায়ের সম্ভাবনা ও লাভজনকতা মূল্যায়নের মাধ্যমে পরিকল্পনা ব্যবসায়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।এর আওতায় ব্যবসায়ী প্রতিযোগী সম্পর্কে ধারণা দেয়। এছাড়া আগামী দিনে ব্যবসায়কে কোন দিকে এগিয়ে নেওয়া উচিত তা জানতে পারেন।আবার, ব্যবসায়ে কীভাবে লাভজনকতা অর্জন করা যায় এবং ভবিষ্যতে পণ্যটি কীভাবে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো উচিত তা জানতে পারা যায়। ফলে পরিকল্পনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়।

সংগঠিতকরণ কাকে বলে?

পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মীদের মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা বণ্টন করা হলো সংগঠিতকরণ। কর্মীদের মধ্যে বিভাগ ও উপবিভাগ অনুযায়ী কাজ বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এ ব্যবস্থা কর্মীদের দক্ষভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। এতে ব্যবসায়ের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক ও বস্তুগত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। আর দক্ষ সংগঠন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানকে ফলপ্রসূ করে।

প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনা করা কেন প্রয়োজন?

পরিকল্পনা হলো ভবিষ্যৎ কাজের দিকনির্দেশনা। একটি প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে কীভাবে সাফল্য অর্জন করবে, কীভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকে পরিকল্পনায়। এটি অনুযায়ী কাজ করে সহজে সফলতা পাওয়া যায়। এজন্য প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনা করা হয়।

ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ কী?

ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ হলো পরিকল্পনা করা। পরিকল্পনা হলো ভবিষ্যৎ কাজের দিকনির্দেশনা। এতে কোনো ব্যবসায় সংগঠনের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভবিষ্যতে কী কাজ, কে, কীভাবে, কখন করতে তা নির্ধারণ করা হয়। তাই পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবস্থাপকীয় কাজ শুরু হয়।