একমালিকানা ব্যবসায় সবচেয়ে জনপ্রিয় কেন?

যে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান একক ব্যক্তির মালিকানায় গঠিত ও পরিচালিত হয়, তাকে একমালিকানা ব্যবসায় বলে। এ ব্যবসায় সহজে গঠন করা যায়। এতে কোনো আইনগত ঝামেলা নেই। স্বল্প পুঁজি নিয়ে যে কেউ স্বাধীনভাবে এ ব্যবসায় গঠন করতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজেই সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে সফলতা পেতে পারেন। মালিক নিজেই এ ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এসব সুবিধার জন্য … Read more

চুক্তিই অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি

কোনো বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির মধ্যে সৃষ্ট মতের ঐক্যকে চুক্তি বলে। অংশীদারি চুক্তি লিখিত এবং মৌখিক কিংবা লিখিত ও নিবন্ধিত হতে পারে। অংশীদারদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ ব্যবসায় সম্পর্কিত যাবতীয় নিয়ম, বিলোপসাধন, বিবাদ মীমাংসাসহ বিভিন্ন বিষয় চুক্তিতে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। চুক্তি থেকেই অংশীদারি ব্যবসায় জন্মলাভ করে এবং অংশীদারি ব্যবসায়ের সব কিছু চুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। … Read more

অংশীদারি চুক্তিপত্র কাকে বলে?

অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তির বিষয়বস্তু যে দলিলে লিপিবদ্ধ করা হয়, তাকে অংশীদারি চুক্তি বলে। চুক্তি অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি। এই চুক্তি হতে পারে মৌখিক, লিখিত এবং লিখিত ও নিবন্ধিত। এর লিখিত রূপকে চুক্তিপত্র বলে। অংশীদারি চুক্তিপত্র এ ধরনের ব্যবসায় পরিচালনার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করে। এর বিষয়বস্তু এমনভাবে ঠিক করা হয়, যাতে যেকোনো সমস্যার সমাধান পাওয়া … Read more

অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে?

দুই থেকে বিশ জন ব্যক্তি (ব্যাংকিং ব্যবসায়ে সর্বোচ্চ দশ জন) স্বেচ্ছায় মূলধন সরবরাহ করে চুক্তির ভিত্তিতে যে ব্যবসায় গড়ে তোলে, তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে। এ ব্যবসায়ের জন্য কোনো বিধিবদ্ধ আইন প্রচলিত নেই। তাই চুক্তি সম্পাদনে যোগ্য একাধিক ব্যক্তি চুক্তির মাধ্যমে যেকোনো পরিমাণ মূলধন নিয়ে সহজে ব্যবসায় গঠন করতে পারে। তবে সরকারি নিয়ম অনুসারে অংশীদারি ব্যবসায় … Read more

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির দুটি সুবিধা

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির দুটি সুবিধা হলো সীমাবদ্ধ দায় ও চিরন্তন অস্তিত্ব। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য বা শেয়ারহোল্ডারদের দায় তাদের বিনিয়োগ করা মূলধন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। এছাড়া এটি কোম্পানি আইনের মাধ্যমে গঠিত হয় ও আইনের মাধ্যমে টিকে থাকে। এজন্য সদস্যদের দেউলিয়াত্ব ও মৃত্যুজনিতকারণে এটি বিলুপ্ত হয় না। ফলে এটি চিরন্তন অস্তিত্বের মর্যাদা লাভ করে।

অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন কাকে বলে?

সরকার কর্তৃক নিয়োজিত নিবন্ধন অফিসে অংশীদারি ব্যবসায়ের নাম তালিকাভুক্ত করা হলো অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন। নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের অফিস থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়। এরপর তা যথাযথভাবে পূরণের পর নির্ধারিত ফি-সহ জমা দিয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হয়। এতে নিবন্ধক কাগজপত্র যাচাই করে সন্তুষ্ট হলে পত্র দিয়ে নিবন্ধনের বিষয় জানিয়ে দেন। এটিই অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন।

সরকার কর্তৃক গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়টি কী?

রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সরকার কর্তৃক গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এ ব্যবসায় রাষ্ট্রপতির বিশেষ অধ্যাদেশ কিংবা জাতীয় সংসদে বিশেষ আইন পাসের মাধ্যমে গঠিত হয়। এ ব্যবসায়ের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ। রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় থেকে অর্জিত মুনাফা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে, ডাক বিভাগ, বাংলাদেশ বিমান প্রভৃতি রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের উদাহরণ।

যৌথমূলধনী কোম্পানিকে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন বলা হয় কেন?

কয়েকজন ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে স্বেচ্ছায় আইনসম্মতভাবে যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করে। কোম্পানি ব্যবসায় করতে আগ্রহী কয়েকজন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সংঘবদ্ধ হয়ে এটি গঠন করে। যেকোনো সদস্য ইচ্ছা করলেই শেয়ার হস্তান্তর করে এ ব্যবসায় থেকে বিদায় নিতে পারে। আবার কেউ ইচ্ছা করলে শেয়ার কেনার মাধ্যমে এ ব্যবসায়ের সদস্য পদ পেতে পারে।  তাই … Read more