গৌড়ীয় বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছেন কে?
গৌড়ীয় বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছেন – রাজা রামমোহন রায়। রাজা রামমোহন রায় রচিত বাংলা ভাষার প্রথম বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ (১৮৩৩)। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’।
গৌড়ীয় বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছেন – রাজা রামমোহন রায়। রাজা রামমোহন রায় রচিত বাংলা ভাষার প্রথম বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ (১৮৩৩)। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’।
প্রাকৃত শব্দের ভাষাগত অর্থ – জনগণের ভাষা। প্রাকৃত বা প্রাকৃত ভাষা কথাটির তাৎপর্য হলো প্রকৃতির অর্থাৎ জনগণের কথ্য ও বোধ্য ভাষা। একপর্যায়ে এ প্রাকৃত ভাষাই ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রভাবে, কথ্য ভাষার উচ্চারণের বিভিন্নতা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করে। এ প্রাকৃত ভাষাই আঞ্চলিক বিভিন্নতা নিয়ে বিভিন্ন নামে চিহ্নিত হয়। যেমন- মাগধি প্রাকৃত, মহারাষ্ট্র প্রাকৃত, শৌরসেনি … Read more
বাংলা ভাষায় যে শব্দ সম্ভাবের সমাবেশ হয়েছে, সেগুলোকে পণ্ডিতগণ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন। যেমন- তৎসম শব্দ তদ্ভব শব্দ অর্ধ-তৎসম শব্দ দেশি শব্দ বিদেশি শব্দ ১. তৎসম শব্দঃ যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। তৎসম একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ [তৎ (তার) + … Read more
১. সাধু রীতি বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল। সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী। এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াশীল এ বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে। ২. চলিত রীতি চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি … Read more
বাগযন্ত্রের সাহায্যে তৈরিকৃত অর্থবোধক ধ্বনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকেই ভাষা বলে। এখানে বাগযন্ত্র হলো গলনালি, মুখবিবর, কণ্ঠ জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদির সমাবেশ। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “মনুষ্যজাতি যে ধ্বনি বা ধ্বনিসকল দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করে, তার নাম ভাষা।” ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “মনের ভাব প্রকাশের জন্য, বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি … Read more
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপাদিক বলে। যেমন- হাত, বই, কলম।
অপিনিহিতি কাকে বলে? শব্দের মধ্যে ‘ই’ বা ‘উ’ থাকলে সেই ‘ই’ বা ‘উ’ কে আগেই উচ্চারণ করে ফেলার রীতিকে অপিনিহিতি বলা হয়। শব্দ মধ্যস্থ বা উ-কে তার স্বাভাবিক স্থানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী স্থানে উচ্চারণ করার রীতিকে অপিনিহিতি বলে। তবে শব্দের যেকোনো স্থানে অবস্থিত ই বা উ-তে অপিনিহিতি ঘটে না। ই বা উ যখন ব্যঞ্জনের পরে থাকে, … Read more
সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন- রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্ন>স্বপন, হর্ষ>হরষ ইত্যাদি।