ধূমকেতু পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

ধূমকেতু পত্রিকার সম্পাদক – কাজী নজরুল ইসলাম। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ – ১৯৭৬) দৈনিক নবযুগ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ধূমকেতু (১৯২২) ও লাঙল (১৯২৫) পত্রিকা। তার অর্ধ-সাপ্তাহিক ধূমকেতু পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদ বাণী হলো -‘ আয় চলে আয় রে ধূমকেতু, আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে … Read more

বাংলা গদ্যের জনক বলা হয় কাকে?

বাংলা গদ্যের জনক কে? বাংলা গদ্যের জনক বলা হয় – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে। শিল্পসম্মত বাংলা গদ্যরীতির জনক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে অভিহিত করা হয়। তিনি বাংলা গদ্যের অবয়ব নির্মাণে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেন। বিদ্যাসাগর গদ্যের অনুশীলন পর্যায়ে সুশৃঙ্খলতা, পরিমিতিবোধ ও ধ্বনিপ্রবাহে অবিচ্ছিন্নতা সঞ্চার করে বাংলা গদ্যরীতিকে উৎকর্ষের এক উচ্চতর পরিসীমায় উন্নীত করেন।

চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?

চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় ১৯০৭ সালে। ১৯০৭ সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদম, কৃষ্ণপাদের দোহা এবং ডাকার্নব এ চারটি পুঁথি একত্রে হাজার বছরের পুরান বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা নামে ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাপদই বাংলা ভাষায় রচিত। অন্য তিনটি অপভ্রংশ ভাষায় রচিত। … Read more

বাংলা সাহিত্যে চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তক কে?

বাংলা সাহিত্যে চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তক কে? বাংলা সাহিত্যে চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তক – মাইকেল মধুসূদন দত্ত। চৌদ্দ পঙক্তির চৌদ্দ অক্ষর বা মাত্রায় রচিত কবিতাকে সনেট বলে। সনেটের চৌদ্দ পঙক্তি দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব অষ্টক ৮ পঙক্তি আর দ্বিতীয় পর্ব, ষষ্ঠক ৬ পঙক্তি নামে পরিচিত। কবি পেত্রার্ক রচনার মাধ্যমে সর্বপ্রথম সনেটের উদ্ভব … Read more

বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ গ্রন্থের রচয়িতার নাম কি?

বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ গ্রন্থের রচয়িতার নাম – ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ গ্রন্থের প্রকৃত নাম The Origin and Development of the Bengali Language (১৯২৬)। বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কিত এ গ্রন্থের রচয়িতা ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তার আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: Bengali Phonetic Reader, বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা, জাতি সংস্কৃতি সাহিত্য, … Read more

সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে কি ব্যবহৃত হয়?

সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে কি ব্যবহৃত হয়? সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয় – অব্যয় পদ। যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভা বর্ধন করে, কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ সম্বন্ধ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে। সাধু ও চালিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয় অব্যয় পদ।

টপ্পা কি?

টপ্পা এক ধরনের গান। কলকাতা ও শহরতলীতে রাগ-রাগিণী সংযুক্ত এক ধরনের গান টপ্পা। বাংলা টপ্পা গানের জনক রামনিধি গুপ্ত। তার রচিত একটি বিখ্যাত টপ্পা- নানান দেশের নানা ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা পুরে কি আশা?

ব্রজবুলিতে কোন কবি পদাবলি রচনা করেন?

ব্রজবুলিতে পদাবলি রচনা করেন – বিদ্যাপতি। ব্রজবুলি বাংলা ও মৈথিলী ভাষার মিশ্রণে গঠিত এক প্রকার কৃত্রিম কবিভাষা। এ ভাষার স্রষ্টা বিদ্যাপতি। এভাষায় রচিত বিদ্যাপতির শ্রেষ্ঠ পদ- এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর। এ ভরা বাদর   মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর।