ধাতু বিভক্তি কাকে বলে?

ক্রিয়া পদের মূল অংশকেই ধাতু বলে। অর্থাৎ ক্রিয়ার মূল অংশ যার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় তাকেই ধাতু বলে। যেমন – কর্ , চল, পড়, এগুলো ধাতুর উদাহরণ। এই ধাতুগুলোই পদে ব্যবহৃত হবার সময় প্রত্যয় বা বিভক্তি যুক্ত করা হয়।যেমন – পড়ে, করে, ধরে, চলা, বলা। অন্যভাবে, বলা যায় ক্রিয়াপদের বিভক্তি বাদ দিলে যা থাকে সেই … Read more

পরিভাষা কাকে বলে? পরিভাষার গুণ বা বৈশিষ্ট্য

পরিভাষা কাকে বলে? এক ভাষার বিশেষ শব্দের অন্য ভাষায় ব্যবহারের জন্য অনুবাদকে পরিভাষা বলা হয়। এটি যে কোনো অনুবাদ নয়, এটি বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিদ্যা – প্রভৃতি জ্ঞানচর্চার সমভূমি প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যেই প্রযুক্ত হয়। সাধারণভাবে পরিভাষা একটি বিষয়ের সংজ্ঞাও নির্দেশ করতে পারে। এমনও হতে পারে, প্রচলিত অর্থে একটি শব্দ যে অর্থ বহন করে নির্দিষ্ট … Read more

পদাশ্রিতি নির্দেশক কাকে বলে? পদাশ্রিত নির্দেশকের প্রয়োগ

পদাশ্রিতি নির্দেশক কাকে বলে? পদাশ্রিত নির্দেশকের অপর নাম হলো পদাশ্রিত অব্যয়। পদাশ্রিত নির্দেশক বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কতগুলো নির্দেশকবাচক চিহ্ন বা পদ। এটি বাংলা ব্যাকরণের রূপতত্ত্ব অংশে পড়ে। পদাশ্রিত নির্দেশকগুলো বচনভেদে বিভিন্ন রূপে পরিবর্তিত হয়। তাই ব্যাকরণে পদাশ্রিত নির্দেশক সম্পর্কে না জানলে অনেক সময় বাক্যে শব্দ ব্যবহার পরিপূর্ণ সঠিক হয় না। পদাশ্রিত নির্দেশকের গুরুত্ব তাই বাংলা … Read more

সাধু ভাষা কাকে বলে?

যে ভাষা রীতিতে ক্রিয়া পদ ও সর্বনাম পদ পূর্ণরূপে বিদ্যমান থাকে, তাকে সাধু ভাষা বলে। যেমন, জন্মিলে মরিতে হয়, আকাশে প্রস্তর নিক্ষেপ করিলে তাকে ভূমিতে পরিতে হয়, খুন করিলে ফাঁসিতে যাইতে হয়, চুরি করিলে কারাগারে যাইতে হয়, তেমনি ভালবাসিলেই কাঁদিতে হয়। অপরাপরের মতো ইহাও জগতের একটি নিয়ম। সাধু ভাষা বা সাধুরীতির জন্ম হয় ১৮০০ থ্রিষ্টাব্দের সময়। সে সময় লিখিতভাবে সাধু ভাষা ছিল আরষ্ট ও কৃত্রিম। কিন্তু … Read more

ব্যঞ্জন সন্ধি কাকে বলে?

স্বর ও ব্যঞ্জন অথবা ব্যঞ্জন অথবা স্বর মিলিত হয়ে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে।১. প্রথম ধ্বনি অঘোষ এবং পরের ধ্বনি ঘোষ হলে, দুয়ে মিলে ঘোষ ধ্বনির দ্বিত্ব হয়। যেমন : তত + দিন = তদ্দিন ইত্যাদি। ২. র ধ্বনির পরে অন্য ব্যঞ্জন ধ্বনি থাকলে র্ লুপ্ত হয়ে পরবর্তী ধ্বনির দ্বিত্ব হয়।যেমন : চার + … Read more

চলিত ভাষা কাকে বলে?

চলিত ভাষা হলো বাংলা ভাষার একটি রূপ যা শিক্ষিত ও শিষ্টজনের কথ্যভাষার ধারা অনুসরণ করে গড়ে উঠেছে। এটি বাংলার লেখ্য গদ্যরীতির দুটি রূপের একটি, অপরটি সাধু ভাষা। যে ভাষারীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ সংক্ষিপ্ত আকারে বিদ্যমান থাকে, তাকে চলিত ভাষা বলে। যেমন : তারা কাজ করছে। চলিত বাংলা গদ্যরীতির প্রথম উদ্যোক্তা হিসেবে যার নাম উল্লেখ করা … Read more

গীতিকবিতা কাকে বলে?

যে শ্রেণির কবিতায় কবি ব্যক্তিগত বা আপন হৃদয়ের অনুভূতি নিজের একান্ত কামনা, বাসনা ও আনন্দ বেদনা প্রাণের অন্তঃস্থল থেকে আবেগ কম্পিত সুরে অখণ্ড ভাব মূর্তিতে প্রকাশ করে সেই শ্রেণির কবিতাকে গীতিকবিতা বলে। Author’s recommendation

কবিতা কাকে বলে

পদ্যে, যা লিখিত হয় তাকেই আমরা ‘কবিতা’ বলে থাকি। কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ হলো- মহাকাব্য ও গীতিকবিতা। বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদ-বধ’ কাব্যে। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধবিগ্রহের কোনো কাহিনী অবলম্বন করে। ভারতবর্ষ উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন দুটি কাহিনীর একটি হলো ‘রামায়ণ’ আর অন্যটি ‘মহাভারত’। ছন্দোবদ্ধ ভাষায় যে সকল পদ্য লেখা … Read more