সংযোগমূলক ধাতু কাকে বলে?

সংযোগমূলক ধাতু কাকে বলে? বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে, কর্, দে, পা, খা, ছাড় ইত্যাদি মৌলিক ধাতু সংযুক্ত হয়ে যে নতুন ধাতু গঠিত হয়, তা-ই সংযোগমূলক ধাতু। যেমন – যোগ (বিশেষ্য পদ) + কর্ (ধাতু) = ‘যোগ কর’ (সংযোগমূলক ধাতু)। 

কর্মবাচ্যের ধাতু কাকে বলে?

মৌলিক ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয় যোগে কর্মবাচ্যের ধাতু সাধিত হয়। এটি বাক্যমধ্যস্থ কর্মপদের অনুসারী ক্রিয়ার ধাতু। যথা – দেখ্ + আ = দেখা; কাজটি ভালো দেখায় না। হার্ + আ = হারা; যা কিছু হরায় গিন্নী বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর।

প্রযোজক ধাতু কাকে বলে?

মৌলিক ধাতুর পরে প্রেরণার্থ (অপরকে নিয়োজিত করা অর্থে) ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করে প্রযোজক ধাতু বা ণিজন্ত ধাতু গঠিত হয়। যেমন – কর্ + আ = করা (এখানে ‘করা’ একটি ধাতু)।  যেমন – সে নিজে করে না, আর একজনকে দিয়ে করায়। অনুরূপভাবে – পড় + আ = পড়া; তিনি ছেলেকে পড়াচ্ছেন।

নাম ধাতু কাকে বলে?

নাম ধাতু কাকে বলে? বিশেষ্য, বিশেষণ এবং অনুকার অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করে যে নতুন ধাতুটি গঠিত হয় তাই নাম ধাতু। যেমন – সে ঘুমাচ্ছে। ‘ঘুম’ থেকে নাম ধাতু ‘ঘুমা’। ‘ধমক্’ থেকে নাম ধাতু ‘ধমকা’। যেমন – আমাকে ধমকিও না।

সাধিত ধাতু কাকে বলে?

মৌলিক ধাতু কিংবা কোনো কোনো নাম শব্দের সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয় যোগে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে সাধিত ধাতু বলে। যেমন – দেখ্ + আ = দেখা, পড় + আ = পড়া, বল + আ = বলা।

বিদেশাগত ধাতু কাকে বলে?

প্রধানত হিন্দি এবং ক্বচিৎ আরবি-ফারসি ভাষা থেকে যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বিদেশাগত ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলা হয়।  যেমন – ভিক্ষে মেগে খায়।