মিশ্র ক্রিয়া কাকে বলে?

মিশ্র ক্রিয়া কাকে বলে? বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বনাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে কর্, হ্, দে, পা, যা, কাট্, গা, ছাড়, ধর্, মার্, প্রভৃতি ধাতুযোগে গঠিত ক্রিয়াপদ বিশেষ বিশেষ অর্থে মিশ্র ক্রিয়া গঠন করে। যেমন –  বিশেষ্যের উত্তর (পরে) : আমরা তাজমহল দর্শন করলাম। এখন গোল্লায় যাও। বিশেষণের উত্তর (পরে) : তোমাকে দেখে বিশেষ প্রীত হলাম। ধ্বনাত্মক অব্যয়ের উত্তর … Read more

যৌগিক ক্রিয়া কাকে বলে?

একটি সমাপিকা ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া যদি একত্রে একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে, তবে তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন- ঘটনাটা শুনে রাখ, তিন বলতে লাগলেন, ছেলেমেয়েরা শুয়ে পড়ল ইত্যাদি। আরো পড়ুনঃ মিশ্র বা জটিল বাক্য কাকে বলে? সরল বাক্য কাকে বলে? নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে? অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে?

প্রযোজক ক্রিয়া কাকে বলে?

যে ক্রিয়া একজনের প্রযোজনা বা চালনায় অন্য কর্তৃক অনুষ্ঠিত হয়, সেই ক্রিয়াকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। (সংস্কৃত ব্যাকরণে একে ণিজন্ত ক্রিয়া বলা হয়) প্রযোজক ক্রিয়া : যে ক্রিয়া প্রযোজনা করে, তাকে প্রযোজক কর্তা বলে। প্রযোজ্য কর্তা : যাকে দিয়ে ক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হয়, তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে।  যেমন – মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। এখানে, মা – প্রযোজক … Read more

সমধাতুজ কর্ম কাকে বলে?

বাক্যের ক্রিয়া ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে ঐ কর্মপদকে সমধাতুজ কর্ম বা ধাত্বর্থক কর্মপদ বলে। যেমন – আর কত খেলা খেলবে। মূল ‘খেল’ ধাতু থেকে ক্রিয়াপদ ‘খেলবে’ এবং কর্মপদ ‘খেলা’ উভয়ই গঠিত হয়েছে। তাই ‘খেলা’ পদটি সমধাতুজ বা ধাত্বর্থক কর্ম। সমধাতুজ কর্মপদ অকর্মক ক্রিয়াকে সকর্মক করে। যেমন – এমন সুখের মরণ কে মরতে … Read more

দ্বিকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে?

যে ক্রিয়ার দুটি কর্মপদ থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্মপদটিকে মুখ্য বা প্রধান কর্ম এবং ব্যক্তিবাচক কর্মপদটিকে গৌণ কর্ম বলে। বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন বাক্যে ‘কলম’ (বস্তু) মুখ্যকর্ম এবং ‘আমাকে’ (ব্যক্তি) গৌণ কর্ম।

অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে?

যে ক্রিয়ার কর্ম নেই তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।  যেমন – মেয়েটি হাসে। কী হাসে বা কাকে হাসে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর হয় না। কাজেই ‘হাসে’ ক্রিয়াটি অকর্মক ক্রিয়া।

নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় কাকে বলে?

নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় কাকে বলে? কতগুলো যুগ্মশব্দ পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল, সেগুলো নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় রূপে পরিচিত।  যেমন : তথা, যত – তত, যখন – তখন, যেমন – তেমন, যেরূপ – সেরূপ ইত্যাদি। উদাহরণ : ধর্ম তথা জয়। যত গর্জে তত বর্ষে না।

অব্যয় বিশেষণ কাকে বলে?

অব্যয় বিশেষণ কাকে বলে? কতগুলো অব্যয় বাক্যে ব্যবহৃত হলে নাম – বিশেষণ, ক্রিয়া-বিশেষণ এবং বিশেষণীয় বিশেষণের অর্থবাচকতা প্রকাশ করে থাকে। এদের অব্যয় বিশ্লেষণ বলা হয়। যথা – নাম বিশেষণ : অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। ভাব-বিশেষণ : আবার যেতে হবে। ক্রিয়া -বিশেষণ : অন্যত্র চলে যায়।