বিদেশি শব্দ কাকে বলে?

রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সংস্কৃতিগত ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলায় এসে স্থান করে নিয়েছে। এসব শব্দকে বলা হয় বিদেশি শব্দ।  এসব বিদেশি শব্দের মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি – এসব ভাষারও কিছু শব্দ একইভাবে বাংলা ভাষায় এসে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত, মায়ানমার (বার্মা), … Read more

দেশি শব্দ কাকে বলে?

বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের (যেমন: কোল, মুণ্ডা প্রভৃতি) ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত রয়েছে। এসব শব্দকে দেশি শব্দ নামে অভিহিত করা হয়।  অনেক সময় এসব শব্দের মূল নির্ধারণ করা যায় না; কিন্তু কোন ভাষা থেকে এসেছে তার হদিস মেলে। যেমন- কুড়ি (বিশ)- কোলভাষা, পেট (উদর)-তামিল ভাষা, চুলা (উনুন)-মুণ্ডারী ভাষা। এরূপ- কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, … Read more

অর্ধ-তৎসম শব্দ কাকে বলে?

বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলে অর্ধ-তৎসম শব্দ।  তৎসম মানে সংস্কৃত। আর অর্ধ-তৎসম মানে আধা সংস্কৃত। উদাহরণ : জ্যোছনা, ছেরাদ্দ, গিন্নী, বোষ্টম, কুচ্ছিত – এ শব্দগুলো যথাক্রমে সংস্কৃত জ্যোৎস্না, শ্রাদ্ধ, গৃহিনী, বৈষ্ণব, কুৎসিত শব্দ থেকে আগত। 

তৎসম শব্দ কাকে বলে?

তৎসম শব্দ কাকে বলে? যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ।  তৎসম একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ [তৎ (তার) + সম (সমান) ] = তার সমান অর্থাৎ সংস্কৃত। উদাহরণ : চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি। আরো পড়ুনঃ চলিত ভাষা কাকে … Read more

মিশ্র শব্দ কাকে বলে?

কোনো কোনো সময় বেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদ্বৈত সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন – রাজা – বাদশা (তৎসম + ফারসি), হাট – বাজার (বাংলা+ফারসি), হেড – মৌলভি (ইংরেজি + ফারসি), হেড – পণ্ডিত (ইংরেজি + তৎসম) খ্রিস্টাব্দ (ইংরেজি +তৎসম), ডাক্তার – খানা (ইংরেজি + ফারসি), পকেট – মার (ইংরেজি + বাংলা), চৌ – হদ্দি (ফারসি … Read more

স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি কাকে বলে?

সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন- রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্ন>স্বপন, হর্ষ>হরষ ইত্যাদি।

প্রাকৃত শব্দের ভাষাগত অর্থ কি?

প্রাকৃত বা প্রাকৃত ভাষা কথাটির তাৎপর্য হলো প্রকৃতির অর্থাৎ জনগণের কথ্য ও বোধ্য ভাষা। একপর্যায়ে এ প্রাকৃত ভাষাই ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রভাবে, কথ্য ভাষার উচ্চারণ বিভিন্নতা নিয়ে অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করে। এ প্রাকৃত ভাষাই আঞ্চলিক বিভিন্নতা নিয়ে বিভিন্ন নামে চিহ্নিত হয়। যেমন- মাগধি প্রাকৃত, মহারাষ্ট্রি প্রাকৃত, শৌরসনি প্রাকৃত ইত্যাদি। মাগধি প্রাকৃতের অপভ্রংশ থেকেই … Read more