বাংলা ২য় পত্র

যে কোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণসমষ্টিকে সেই ভাষার বর্ণমালা বলা হয়।

ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ।  যেমন – ক ইত্যাদি।

স্বরধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ।  যেমন – অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ ইত্যাদি।

যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও না কোথাও কোনো প্রকার বাধা পায় কিংবা ঘর্ষণ লাগে, তাদেরকে বলা হয় ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন – ক, চ, ট, ত প ইত্যাদি।

বাংলা ভাষার মৌলিক ধ্বনিগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –  স্বরধ্বনি ব্যঞ্জনধ্বনি

মানুষের বাক প্রত্যঙ্গ অর্থাৎ কণ্ঠনালি, মুখবিবর, জিহ্বা, আল-জিহ্বা, কোমল তালু, শক্ত তালু, দাঁত, মাড়ি, চোয়াল, ঠোঁট ইত্যাদির সাহায্যে উচ্চারিত আওয়াজকে ‘ধ্বনি’ বলা হয়। বাক প্রত্যঙ্গজাত ধ্বনির সূক্ষ্ম মৌলিক অংশ বা একককে ধ্বনিমূল বলা হয়।

প্রত্যেক ভাষারই চারটি মৌলিক অংশ থাকে। যথা – ধ্বনি (Sound) শব্দ (Word)  বাক্য (Sentence) অর্থ (Meaning)

যে শাস্ত্রে বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠনপ্রকৃতি ও স্বরূপ বিশ্লেষিত হয় এবং এদের সম্পর্ক ও সুষ্ঠু প্রয়োগবিধি আলোচিত হয়, তাই বাংলা ব্যাকরণ।