ব্যঞ্জন বিকৃতি কাকে বলে?

শব্দ মধ্যে কোনো কোনো সময় কোনো ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। একে বলে ব্যঞ্জন বিৃকতি।  যেমন – কবাট > কপাট, ধোবা > ধোপা, ধাইমা > দাইমা ইত্যাদি।

উম্মধ্বনি বা শিশধ্বনি কাকে বলে? উম্ম বর্ণ কাকে বলে?

শ, ষ, ষ, হ – এ চারটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি উচ্চারণের সময় আমরা শ্বাস যতক্ষণ খুশি রাখতে পারি। এগুলোকে বলা হয় উম্মধ্বনি বা শিশধ্বনি। এ বর্ণগুলোকে বলা হয় উম্মবর্ণ।

যৌগিক স্বর বা দ্বি-স্বর কাকে বলে?

পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি থাকলে দ্রুত উচ্চারণের সময় তা একটি সংযুক্ত স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হয়। এরূপ একসঙ্গে উচ্চারিত দুটো মিলিত স্বরধ্বনিকে যৌগিক স্বর বা দ্বি-স্বর বলা হয়। যেমন – অ + ই = অই (বই), অ + উ = অউ (বউ), অ + এ = অয়, (বয়, ময়না), অ + ও = অও (হও, লও)।

অনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি এবং অনুনাসিক বা নাসিক্য বর্ণ কাকে বলে?

ঙ ঞ ণ ন ম – এ পাঁচটি বর্ণ এবং ং ও   ঁ যে বর্ণের সঙ্গে লিখিত হয় সে বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস নিঃসৃত বায়ু মুখবিবর ছাড়াও নাসারন্ধ্র দিয়ে বের হয়; অর্থাৎ এগুলোর উচ্চারণে নাসিকার সাহায্য প্রয়োজন হয়। তাই এগুলোকে বলে অনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি। আর এগুলোর বর্ণকে বলা হয় অনুনাসিক বা নাসিক্য বর্ণ।

পরাশ্রয়ী বর্ণ কাকে বলে?

ং ঃ   ঁ – এই তিনটি বর্ণ স্বাধীনভাবে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। এ বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি অন্য ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্রে উচ্চারিত হয়। তাই এ বর্ণগুলোকে বলা হয় পরাশ্রয়ী বর্ণ।