অলুক বহুব্রীহি কাকে বলে?

যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে। অলুক বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষণ হয়। যথা : মাথায় পাগড়ি যার = মাথায়পাগড়ি, গলায় গামছা যার = গলায়গামছা (লোকটি)।  এরূপ – হাতে-খড়ি, কানে-কলম, গায়ে-পড়া, হাতে-বেড়ি, মাথায়-ছাতা, মুখে-ভাত, কানে-খাটো ইত্যাদি। আরো পড়ুনঃ নিত্য সমাস কাকে বলে? প্রাদি সমাস কাকে বলে? অব্যয়ীভাব … Read more

প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি কাকে বলে?

যে বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদ আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে বলা হয় প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি।  যথা – এক দিকে চোখ (দৃষ্টি) যার = একচোখা (চোখ + আ), ঘরের দিকে মুখ যার = ঘরমুখো (মুখ+ও), নিঃ (নেই) খরচ যার = নি-খরচে (খরচ+এ)। এরকম – দোটানা, দোমনা, একগুঁয়ে, অকেজো, একঘরে, দোনলা, দোতলা, ঊনপাঁজুরে ইত্যাদি। আরো পড়ুনঃ … Read more

মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি কাকে বলে?

বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ যদি সমস্তপদে লোপ পায়, তবে তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে। যেমন – বিড়ালের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী, হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি। এমনি ভাবে – গায়ে হলুদ, মেনিমুখো ইত্যাদি। আরো পড়ুনঃ নিত্য সমাস কাকে বলে? প্রাদি সমাস কাকে বলে? অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে? দ্বিগু … Read more

নঞ্ বহৃব্রীহি কাকে বলে?

নঞ্ বহৃব্রীহি কাকে বলে? বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ্ (না অর্থবোধক) অব্যয় যোগ করে বহুব্রীহি সমাস করা হলে তাকে নঞ্ বহুব্রীহি বলে। নঞ্ বহুব্রীহি সমাসে সাধিত পদটি বিশেষণ হয়।  যেমন ; ন (নাই) জ্ঞান যার = অজ্ঞান. বে (নাই) হেড যার = বেহেড, না (নাই) চারা (উপায়) যার = নাচার। নি (নাই) ভুল যার = নির্ভুল, … Read more

ব্যতিহার বহুব্রীহি কাকে বলে?

ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়। এ সমাসে পূর্বপদ ‘আ’ এবং উত্তরপদে ‘ই’ যুক্ত হয়।  যথা : হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা = কানাকানি।  এমনি ভাবে – চুলাচুলি, কাড়াকাড়ি, গালাগালি, দেখাদেখি, কোলাকুলি, লাঠালাঠি, হাসাহাসি, গুঁতাগুঁতি, ঘুষাঘুষি ইত্যাদি। আরো পড়ুনঃ নিত্য সমাস কাকে বলে? প্রাদি সমাস কাকে বলে? অব্যয়ীভাব সমাস কাকে … Read more

ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি কাকে বলে?

বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনোটিই যদি বিশেষণ না হয়, তবে তাকে বলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি।  যথাঃ আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ, কথা সর্বস্ব যার = কথাসর্বস্ব। পরপর কৃদন্ত বিশেষণ হলেও ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়। যেমন : দুই কান কাটা যার = দু কানকাটা, বোঁটা খসেছে যার = বোঁটাখসা।  অনুরূপভাবে – ছা-পোষা, পা-চাটা, পাতা-চাটা, পাতাছেঁড়া, … Read more

সমানাধিকরণ বহুব্রীহি কাকে বলে?

পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য হলে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়। যেমন : হত হয়েছে শ্রী যার = হতশ্রী, খোশ মেজাজ যার = খোশমেজাজ। এরকম : হৃতসর্বস্ব, উচ্চশির, পীতাম্বর, নীলকণ্ঠ, জবরদস্তি, সুশীল, সুশ্রী, বদবখ্ত, কমবখৃত ইত্যাদি। আরো পড়ুনঃ নিত্য সমাস কাকে বলে? প্রাদি সমাস কাকে বলে? অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে? দ্বিগু সমাস কাকে বলে? বহুব্রীহি সমাস … Read more

বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে?

যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যথা – মহান আত্মা যার = মহাত্মা, স্বচ্ছ সলির যার = স্বচ্ছসলিলা, নীল বসন যার = নীলবসনা, স্থির প্রতিজ্ঞা যার = স্থিরপ্রতিজ্ঞ, ধীর বুদ্ধি যার = ধীরবুদ্ধি। আরো পড়ুনঃ নিত্য সমাস কাকে বলে? প্রাদি সমাস কাকে বলে? অব্যয়ীভাব সমাস … Read more