কৌণিক গতির জন্য নিউটনের সূত্রাবলি

প্রথম সূত্রঃ স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে এবং ঘূর্ণায়মান বস্তু সমকৌণিক বেগে চিরকাল ঘুরতে থাকবে, যদি তার উপর বাহ্যিক টর্ক ক্রিয়া না করে। দ্বিতীয় সূত্রঃ ঘূর্ণনরত বস্তুর কৌণিক ভরবেগের পরিবর্তনের হার তার উপর প্রযুক্ত টর্কের সমানুপাতিক এবং কৌণিক ভরবেগের পরিবর্তন প্রযুক্ত টর্কের দিকেই ঘটে। তৃতীয় সূত্রঃ কোনো বস্তু অপর কোনো বস্তুর টর্ক প্রয়োগ করলে, দ্বিতীয় বস্তুটিও প্রথম বস্তুর … Read more

ভর ভ্রামক কাকে বলে?

কোনো বস্তুকণার ভর ও কোনো নির্দিষ্ট অক্ষ বা সমতল থেকে ঐ কণার লম্ব দূরত্বের গুণফলকে ঐ অক্ষ বা সমতল সাপেক্ষে কণাটির ভর ভ্রামক বলে।

স্থিতি কোণ বা নিশ্চল কোণ কাকে বলে?

নতি কোণের যে সর্বোচ্চ মানে নত তলের ওপর রাখা কোনো বস্তু নিজের ওজনের ক্রিয়ায় নিচের দিকে গতিশীল হবার উপক্রম হয় তাকে স্থিতি কোণ বা নিশ্চল কোণ বলে। তথ্যঃ ১) স্থিতি কোণ ও ঘর্ষণ কোণ পরস্পর সমান হলেও উভয়ে এক জিনিস নয়। ২) স্থিতি কোণ কেবল মাত্র নত তলের বেলায় প্রযোজ্য। ৩) ঘর্ষণ কোণ নত তল … Read more

স্থিতি ঘর্ষণ গুণাঙ্ক কাকে বলে?

দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থাকলে স্থিতি ঘর্ষণের সীমাস্থ মান এবং অভিলম্বিক প্রতিক্রয়ার অনুপাতকে স্থিতি ঘর্ষণ গুণাঙ্ক বলে।স্থিতি ঘর্ষণের সীমাস্থ মান fs এবং অভিলম্বিক প্রতিক্রিয়া R হলে, স্থিতি ঘর্ষণ গুণাঙ্ক, μs = fs∕R fs এর মান সর্বদা 1 এর চেয়ে কম হয়। স্থিতি ঘর্ষণ গুণাঙ্কের এককঃ দুটি বলের অনুপাত হওয়ার এর কোনো একক নেই। স্থিতি ঘর্ষণ গুণাঙ্কের মাত্রাঃ দুটি বলের অনুপাত হওয়ার … Read more

মুক্তিবেগ কাকে বলে?

ভূপৃষ্ঠ হতে ন্যূনতম যে বেগে কোনো বস্তুকে খাড়া উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না, সেই বেগকে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে বস্তুর মুক্তিবেগ বলে। মুক্তিবেগ ইংরেজি হলো Escape Velocity।

ভারকেন্দ্র এবং ভরকেন্দ্রের মধ্যে পার্থক্য

ভারকেন্দ্র এবং ভরকেন্দ্রের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ – নং ভারকেন্দ্র ভরকেন্দ্র  ১ ভারকেন্দ্র এমন একটি বিন্দুকে বোঝায় যে বিন্দুর ভেতর দিয়ে বস্তুর সমগ্র ওজন খাড়া নিচের দিকে ক্রিয়া করে। ভরকেন্দ্র এমন একটি বিন্দুকে বোঝায় যে বিন্দুতে বল প্রয়োগ করলে বস্তুর শুধু রৈখিক গতি হয়, কোনো বৃত্তীয় গতি হয় না।  ২ অভিকর্ষ বল না থাকলে ভারকেন্দ্র থাকে … Read more

মহাকর্ষীয় ধ্রুবক কাকে বলে?

মহাকর্ষীয় ধ্রুবকের মান বস্তুদ্বয়ের প্রকৃতি বা বস্তুদ্বয়ের মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে না। বস্তুর প্রকৃতি বলতে বুঝায় ভর, আয়তন, ঘনত্ব, উপাদান, ভৌত অবস্থা, তাপমাত্রা ইত্যাদি। মাধ্যমের প্রকৃতি বলতে বুঝায় প্রবেশ্যতা, প্রবণতা, দিকদর্শিতা ইত্যাদি। এজন্য G কে সর্বজনীন ধ্রুবক বলা হয়।

গ্রহের গতি সম্পর্কিত কেপলারের সূত্র

টাইকো ব্রাহে পৃথিবীর নিজ অক্ষের সাপেক্ষে আবর্তনরত এবং সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে গ্রহগুলোর গতি সম্পর্কিত যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেন। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের পরে 1618 খ্রিস্টাব্দে কেপলার গ্রহগুলোর গতি সম্পর্কিত তিনটি সূত্র প্রদান করেন। তাঁর নামানুসারে সূত্রগুলোকে কেপলারের সূত্র বলে। গ্রহের গতি সম্পর্কিত কেপলারের সূত্রগুলো হচ্ছে – প্রথম সূত্র (কক্ষের সূত্র): সূর্যকে একটি ফোকাসে রেখে প্রত্যেক গ্রহই উপবৃত্তাকার পথে … Read more