শক্তির সংরক্ষণ নীতি বা নিত্যতা সূত্র বিবৃত কর।

শক্তি অবিনশ্বর, শক্তিকে সৃষ্টি করা যায় না বা শক্তিকে ধ্বংসও করা যায় না। এ বিশ্বব্রহ্মান্ডে মোট শক্তির পরিমাণ ধ্রুব। সৃষ্টির আদিতে যে পরিমাণ শক্তি ছিল আজও সে পরিমাণ শক্তি বর্তমান। শক্তিকে কেবলমাত্র একরূপ থেকে অন্যরূপে রূপান্তরিত করা যায়। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকবাদ আবিষ্কারের পর শক্তির নিত্যতা সূত্রের সংশোধিত রূপ হলো – এ মহাবিশ্বের ভর ও শক্তির যোগফল … Read more

শক্তি কাকে বলে? শক্তির প্রকারভেদ

শক্তি কাকে বলে? কোনো সিস্টেমের (উৎস, বস্তু বা ব্যক্তি) কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। যার কাজ করার সামর্থ্য যত বেশি তার শক্তিও তত বেশি। কাজের বিনিময়ে যেমন শক্তি পাওয়া যায়, তেমনি শক্তির বিনিময়েও কাজ সম্পাদিত হয়। সম্পাদিত কাজের পরিমাণ দ্বারা শক্তি পরিমাপ করা হয়। শক্তির এককঃ শক্তির একক জুল (Joule)। শক্তির মাত্রাঃ শক্তির মাত্রা ML2T-2 শক্তির প্রকারভেদ … Read more

একমাত্রিক সংঘর্ষ কাকে বলে?

সংঘর্ষে লিপ্ত বস্তুদ্বয়ের গতিবেগ সংঘর্ষের পূর্বে ও পরে একই সরলরেখায় হলে তাকে একমাত্রিক সংঘর্ষ বলে।

অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ কাকে বলে?

যে সংঘর্ষে বস্তুসমূহের মোট গতিশক্তি অপরিবর্তিত থাকে না তবে মোট ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে এবং সংঘর্ষের পরে বস্তুসমূহ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে একই বেগে চলতে থাকলে সেই সংঘর্ষকে অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে। বাস্তবে প্রায় অধিকাংশ সংঘর্ষই অস্থিতিস্থাপক।

সংঘর্ষ কাকে বলে? সংঘর্ষের প্রকারভেদ

সংঘর্ষ কাকে বলে? অতি অল্প সময়ের জন্য কোনো বৃহৎ বল ক্রিয়া করে গতির হঠাৎ ও ব্যাপক পরিবর্তন করাকে সংঘর্ষ বলে। সংঘর্ষের প্রকারভেদ সংঘর্ষ দুই প্রকার। যথাঃ ১) স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ এবং ২) অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ।

দইয়ের মধ্যে একটি দণ্ডের সাহায্যে ঘূর্ণন সৃষ্টি করলে মাখন পাওয়া যায় কেন?

কোনো তরলের মধ্যে বিভিন্ন ভর সম্পন্ন কণা যদি ভাসে তাহলে তরলে দ্রুত ঘূর্ণন সৃষ্টি করলে কেন্দ্রবিমুখী বলের দরুন ঘূর্ণাক্ষ থেকে ভারী কণাগুলো দূরে সরে যায়। মাখন সৃষ্টির সময় এ নীতির প্রতিফলন ঘটে। এক্ষেত্রে মাখন হালকা হওয়ায় ঘূর্ণাক্ষের চারদিকে জমা হয় এবং পরে তা আলাদা করে নেওয়া হয়।

কেন্দ্রবিমুখী বল কাকে বলে?

যদি কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে ঘুরে তবে যেকোনো মুহূর্তে বৃত্তের কেন্দ্রের দিকে ব্যাসার্ধ বরাবর যে বল অনুভূত হয় তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে। নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুযায়ী এ বলের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ যে বল বৃত্তের কেন্দ্রের উপর ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের বাইরের দিকে ক্রিয়া করে তাকে কেন্দ্রবিমুখী বল বলে।