বীটের ক্ষেত্রে উৎসদ্বয়ের কম্পাঙ্কের পার্থক্য 10 Hz এর সমান ও এর চেয়ে বেশি সম্ভব নয় কেন?

বীটের ক্ষেত্রে উৎসদ্বয়ের কম্পাঙ্কের পার্থক্য 10 Hz এর বেশি হলে প্রতি সেকেন্ড 10 টির বেশি তীব্র শব্দ মানবকর্ণে পৌছাবে। মানবকর্ণ প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ 10 টির তীব্র শব্দ অনুধাবন করতে পারে।  সুতরাং শব্দ উৎসদ্বয়ের কম্পাংকের পার্থক্য 10 Hz এর বেশি হলে উৎপন্ন তীব্র শব্দ বা বীটগুলো মানবকর্ম আলাদাভাবে অনুধাবন করতে পারবে না, বরং একটানা একটি শব্দ শুনতে পারে।

একটি স্প্রিংকে টেনে ছেড়ে দিলে যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তার বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

একটি স্প্রিংকে টেনে ছেড়ে দিলে এতে সরল ছন্দিত স্পন্দন গতি সৃষ্টি হয়। এরূপ গতির বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ- ১) এটি একটি পর্যাবৃত্ত গতি। ২) এটি একটি স্পন্দন গতি। ৩) এটি একটি সরলরৈখিক গতি। ৪) ত্বরণ সর্বদা সাম্যাবস্থান অভিমুখী।

তরঙ্গ সৃষ্টিতে দায়ী মাধ্যমের কম্পন কি নিউটনের গতি সূত্র মনে চলে?

তরঙ্গ সৃষ্টিতে দায়ী মাধ্যমের কণাসমূহের কম্পন নিউটনের গতিসূত্র মেনে চলে কণাসমূহে প্রত্যয়নী বল এবং ত্বরণ এর অস্তিত্ব থাকায় এরা গতির দ্বিতীয় সূত্র মেনে চলে। গতি জড়তার দরুন কণাগুলো সাম্যাবস্থানে না থেমে আরও দূরত্ব অতিক্রম করে। সুতরাং এরা গতির প্রথম সূত্রও মেনে চলে।

অগ্রগামী তরঙ্গ কাকে বলে? অগ্রগামী তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য

অগ্রগামী তরঙ্গ কাকে বলে? যখন কোনো বিস্তৃত মাধ্যমে তরঙ্গ সৃষ্টি করা হয় তখন তা ক্রমাগত সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। একে চলমান বা অগ্রগামী তরঙ্গ বলে। অগ্রগামী তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য ১) মাধ্যমের প্রতিটি কণা পর্যাবৃত্ত গতি লাভ করে। ২) মাধ্যমের ভিতর দিয়ে তরঙ্গ নির্দিষ্ট বেগে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। ৩) কণাগুলোর দশা এক কণা থেকে অপর … Read more

অগ্রগামী তরঙ্গ কখন আড় তরঙ্গ এবং লম্বিক তরঙ্গ হিসেবে কাজ করে?

অগ্রগামী তরঙ্গ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে, মাধ্যমের কণাসমূহ যখন তরঙ্গবেগের লম্ব দিকে কম্পনশীল থাকে তখন তা আড় তরঙ্গ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু যে অগ্রগামী তরঙ্গের ক্ষেত্রে, মাধ্যমের কণাসমূহ তরঙ্গবেগের দিকের সমান্তরালে কম্পনশীল হয়, সেটি লম্বিক তরঙ্গ হিসেবে কাজ করে।

বুদবুদ পানিতে ভেসে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।

মনে করি, ক্ষুদ্র পরিসর পানি বিন্দুর ব্যাসার্ধ প্রায় 0.001 cm এবং বায়ুর সান্দ্রতাঙ্ক 1.8×10-4 poise ধরলে পানি বিন্দুর প্রান্তবেগ হয় 1.2 cms-1।যদি বস্তুর ঘনত্ব মাধ্যমের ঘনত্ব অপেক্ষা কম হয় তখন প্রান্তবেগ ঋণাত্মক হবে। অর্থাৎ বস্তুর বেগ ঊর্ধ্বমুখী হয়। তাই বুদবুদ পানির নিচ থেকে ভেসে ওঠে।

প্রান্তিক বেগ কী?

কোনো সান্দ্র প্রবাহী দিয়ে যদি কোনো গোলক ধ্রুব বেগ নিয়ে পতিত হতে থাকে তবে ঐ বেগই হবে প্রান্তিক বেগ বা অন্ত্যবেগ।

পানির মধ্যে কাচনল ডুবালে অপেক্ষাকৃত সরু নলের অভ্যন্তরে পানি বেশি উপরে ওঠে কেন?

পানির মধ্যে কাচনল ডুবালে নলের ভিতর কিছু পানি পানির মুক্ত তল থেকে উপরে উঠে যায়। নলের ভিতরকার পানির উচ্চতা বা গভীরতা নলের ব্যাসার্ধের উপর নির্ভর করে। ব্যাসার্ধ কম হলে নলের অভ্যন্তরে পানির অধিক্ষেপ বেশি ঘটে। এ কারণে পানির মধ্যে কাচনল ডুবালে অপেক্ষাকৃত সরু নলের অভ্যন্তরে পানি বেশি উপরে উঠে।