সমযোজী বন্ধনের সীমাবদ্ধতা

বিজ্ঞানী লুইস ও কোজেল এর মতবাদ অনুসারে সমযোজী বন্ধন গঠনকালে পরমাণুতে বহিঃস্থ শক্তিস্তরে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রনীয় কাঠামো তথা আটটি ইলেকট্রন অর্জিত হতে হয়। এ মতবাদকে অষ্টক তত্ত্ব বলে। সাধারণত অষ্টক তত্ত্ব অনুসারে সমযোজী অণুসমূহ গঠিত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অষ্টক সম্প্রসারণ ও অষ্টক সংকোচনের ফলে এ নীতির ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়।

ডাইপোল-আবিষ্ট ডাইপোল আকর্ষণ কাকে বলে?

স্থায়ী ডাইপোল বিশিষ্ট একটি অণুর সঙ্গে একটি অপোলার প্রতিসম অণু বা পরমাণুর পারস্পরিক ক্রিয়া হলে ডাইপোল-আবিষ্ট ডাইপোল আকর্ষণ ঘটে।অণুটি যদি পোলারায়নযোগ্য হয় তবে ডাইপোলার অণুটির ধনাত্মক প্রান্তের প্রভাবে এর ইলেকট্রন মেঘের প্রতিসাম্য নষ্ট হয়ে এটি একটি আবিষ্ট ডাইপোলে পরিণত হয়। এতে স্থায়ী ডাইপোল ও আবিষ্ট ডাইপোলের মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণের ফলে এরা একটি দুর্বল বন্ধনে আবদ্ধ … Read more

ডাইপোল-ডাইপোল আকর্ষণ বল কাকে বলে?

হাইড্রোজেন বন্ধন ডাইপোল-ডাইপোল আকর্ষণের অন্যতম উদারহণ। যে সমস্ত যৌগে স্থায়ী ডাইপোল মোমেন্ট বিদ্যমান তাদের মধ্যে এ প্রকার আকর্ষণের উৎপত্তি হয়। পোলার সমযোজী যৌগ HCl, NH3, H2O প্রভৃতি এ জাতীয় যৌগ। যখন একটি HCl অণু অন্যটির দিকে অগ্রসর হয়, তখন উভয় ডাইপোলের মধ্যে এমনভাবে ক্রিয়া হয় যাতে এক অণুর ধনাত্মক প্রান্ত (δ) অন্য অণুর ঋণাত্মক প্রান্ত (δ) … Read more

পূর্ণ নমনীয় বস্তু কাকে বলে?

কোনো বস্তুর উপর বাহ্যিক বল প্রয়োগ করে তাকে বিকৃত করলে যদি বল অপসারণের পর বস্তুটি ঐ বিৃকত অবস্থা পুরোপুরি বজায় রাখে তাহলে বস্তুটিকে পূর্ণ নমনীয় বস্তু বলে। কোনো বস্তুই সম্পূর্ণ নমনীয় নয়। আটার দলা, মাটির দলা, প্লাস্টিক ইত্যাদিকে নমনীয় বস্তু হিসেবে ধরা হয়। নমনীয় বস্তুকে অস্থিতিস্থাপক বস্তুও বলা হয়।

দৈর্ঘ্য বিকৃতি কাকে বলে?

বাহ্যিক বল প্রয়োগের ফলে কোনো বস্তুর যদি দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন ঘটে তাহলে একক দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনকে দৈর্ঘ্য বিকৃতি বলে।

আংশিক স্থিতিস্থাপক বস্তু কাকে বলে?

বাহ্যিক বলের প্রভাবে কোনো বস্তৃ বিকৃত হবার পর ঐ বল অপসারণ করলে বস্তুটি যদি তার পূর্বের আকার ও আয়তন আংশিকভাবে ফিরে পায় তবে ঐ বস্তুটিকে আংশিক স্থিতিস্থাপক বস্তু বলে। প্রকৃতপক্ষে সব বস্তুকেই আংশিক স্থিতিস্থাপক বস্তু বলা যায়।

বিক্ষিপ্ত প্রবাহ কাকে বলে? বিক্ষিপ্ত প্রবাহ বা শান্ত প্রবাহের বৈশিষ্ট্য

বিক্ষিপ্ত প্রবাহ কাকে বলে?  কোনো নলের ভেতর দিয়ে প্রবাহী চলাচল করার সময় যদি প্রবাহীর গতিশীল বিভিন্ন স্তরগুলো নলের অক্ষের সমান্তরালে না থাকে তবে প্রবাহীর  সেই গতিকে বিক্ষিপ্ত প্রবাহ বলে। যদি প্রবাহীর গতিবেগ একটি নির্দিষ্ট সীমা অর্থাৎ সংকট বেগকে অতিক্রম করে তবে প্রবাহ বিক্ষিপ্ত হয়। বিক্ষিপ্ত প্রবাহ বা শান্ত প্রবাহের বৈশিষ্ট্য ১) অশান্ত প্রবাহীর স্তরগুলো পরস্পর … Read more

শান্ত প্রবাহ বা স্রোতরেখা প্রবাহ কাকে বলে? শান্ত প্রবাহ বা স্রোতরেখা প্রবাহের বৈশিষ্ট্য

কোনো নলের ভেতর দিয়ে প্রবাহী চলাচল করার সময় যদি প্রবাহীর গতিশীল বিভিন্ন স্তরগুলো এর সমান্তরালে থাকে এবং বিভিন্ন অণুগুলো তাদের গতিপথের সাথে সমান্তরালে থাকে তবে প্রবাহীর সেই গতিকে সমরেখ প্রবাহ বা শান্ত প্রবাহ বা স্রোতরেখা প্রবাহ বলে। শান্ত প্রবাহ বা স্রোতরেখা প্রবাহের বৈশিষ্ট্য ১) শান্ত প্রবাহ বা স্রোতরেখা প্রবাহের কণাগুলোর গতিরেখা পরস্পর সমান্তরাল থাকে। অর্থাৎ … Read more