সংকট বেগ কাকে বলে?

প্রবাহীর বেগ একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম না করলে এর সমরেখ প্রবাহ বজায় থাকে। গতিবেগ ঐ সীমা অতিক্রম করলে প্রবাহ আর সমরেখ থাকবে না। গতিবেগের এ নির্দিষ্ট সীমাকে সংকট বেগ বলে।

সান্দ্রতার ব্যবহার

১) গতিশীল নৌকা, স্টীমার, লঞ্চ, জাহাজের পানির সান্দ্রতাঙ্কজনিত বাধা লক্ষ করে এদের যন্ত্রের ডিজাইন তৈরি করা হয়। ২) গতিশীল বাস, ট্রাক, বিভিন্ন মোটর গাড়ি ও বিমানের উপর বায়ুর সান্দ্রতাজনিত বাধা লক্ষ করে এসব যন্ত্রের নক্সা তৈরি করা হয়। ৩) মানবদেহে শিরা-উপশিরায় এবং ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্তের চলাচলের ক্ষেত্রে রক্তের সান্দ্রতা ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। … Read more

পয়েজ কাকে বলে?

এক বর্গ সে.মি ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট দুটি প্রবাহী স্তর পরস্পর হতে যদি এক সে.মি. দূরত্বে অবস্থান করে এবং এদের মধ্যে এক সে.মি./সে. আপেক্ষিক বেগ বজায় রাখতে যদি এক ডাইন (dyne) বল প্রয়োজন হয়, তবে ঐ প্রবাহীর সান্দ্রতা গুণাঙ্ক হবে এক পয়েজ।

স্টোকস এর সূত্র

বিজ্ঞানী স্টেকস দেখান যে, η সান্দ্রতা গুণাঙ্কের কোনো তরলের (প্রবাহীর) ভেতর দিয়ে পড়ার সময় r ব্যাসার্ধের কোনো ক্ষুদ্রাকার গোলক v প্রান্তিক বেগ প্রাপ্ত হলে বস্তুর উপর সান্দ্রতাজনিত ঊর্ধ্বমুখী বল F ক্রিয়া করে। এই বল গোলকের ব্যাসার্ধের সমানুপাতিক, প্রান্তিকবেগের সমানুপাতিক এবং সান্দ্রতা গুণাঙ্কের সমানুপাতিক। এই সূত্রটিকে স্টোকসের সূত্র বলে।

বায়ুতে পানির ফোঁটা গোলাকার হয় কেন?

পৃষ্ঠটানের জন্য তরলের পৃষ্ঠ সঙ্কুচিত হয়ে ন্যূনতম ক্ষেত্রফল ধারণ করতে চায়। বায়ুতে অল্প আয়তনের পানি বিন্দু গোলক আকার ধারণ করে কারণ সমান আয়তনের বিভিন্ন আকৃতির বস্তুর মধ্যে গোলকের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল ন্যূনতম হয়।

প্রভাব গোলক কাকে বলে?

দুটি অণুর পারস্পরিক সর্বাধিক যে দূরত্ব পর্যন্ত এদের মধ্যে আন্তঃআণবিক বল অনুভূত হয় তাকে আনবিক পাল্লা বলে। কোনো অণুকে কেন্দ্র করে এর আণবিক পাল্লার সমান (প্রায় 10-10 m) ব্যাসার্ধ নিয়ে গোলক কল্পনা করলে যে গোলক পাওয়া যায় তাকে ঐ অণুর প্রভাব গোলক বলে।

কচু পাতার গায়ে পানি লেগে থাকে না, তবে কাচের গায়ে লেগে থাকে কেন?

কোনো তরল ও কঠিন পদার্থের মধ্যকার স্পর্শকোণ সূক্ষকোণ অর্থাৎ 90° এর কম হলে ঐ তরল পদার্থ কঠিন পদার্থকে ভিজাবে। আবার, তরল ও কঠিন পদার্থের মধ্যকার স্পর্শকোণ স্থূলকোণ অর্থাৎ 90° এর চেয়ে বেশি হলে ঐ তরল পদার্থ কঠিন পদার্থটিকে ভিজাবে না। কচু পাতার সাথে পানির স্পর্শ কোণ 90° এর চেয়ে বেশি হয়।  তাই পানি কচু পাতাকে ভিজাতে পারে না … Read more

সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্যসূচক ধর্মাবলি

১) পোলারিটিঃ ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন গঠিত হয় বলে অণুতে কোনো পোল সৃষ্টি হয় না। এজন্য সমযোজী যৌগসমূহ সাধারণত অপোলার। ২) বিদ্যুৎ পরিবাহিতাঃ সমযোজী যৌগে কোনা আয়ন সৃষ্টি হয় না। তাই অপোলার সমযোজী যৌগসমূহ বিদ্যুৎ পরিবহনে সক্ষম নয়। ৩) দ্রাব্যতাঃ সমযোজী যৌগ অপোলার বলে এরা সাধারণত অপোলার জৈব দ্রাবক বেনজিন, ইথার, ক্লোরোফরম ইত্যাদিতে বেশি দ্রবণীয় এবং পানিতে … Read more