পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

সংঘর্ষে লিপ্ত বস্তুদ্বয়ের গতিবেগ সংঘর্ষের পূর্বে ও পরে একই সরলরেখায় হলে তাকে একমাত্রিক সংঘর্ষ বলে।

যে সংঘর্ষে বস্তুসমূহের মোট গতিশক্তি অপরিবর্তিত থাকে না তবে মোট ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে এবং সংঘর্ষের পরে বস্তুসমূহ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে একই বেগে চলতে থাকলে সেই সংঘর্ষকে অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে। বাস্তবে প্রায় অধিকাংশ সংঘর্ষই অস্থিতিস্থাপক।

সংঘর্ষ কাকে বলে? অতি অল্প সময়ের জন্য কোনো বৃহৎ বল ক্রিয়া করে গতির হঠাৎ ও ব্যাপক পরিবর্তন করাকে সংঘর্ষ বলে। সংঘর্ষের প্রকারভেদ সংঘর্ষ দুই প্রকার। যথাঃ ১) স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ এবং ২) অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ।

কোনো তরলের মধ্যে বিভিন্ন ভর সম্পন্ন কণা যদি ভাসে তাহলে তরলে দ্রুত ঘূর্ণন সৃষ্টি করলে কেন্দ্রবিমুখী বলের দরুন ঘূর্ণাক্ষ থেকে ভারী কণাগুলো দূরে সরে যায়। মাখন সৃষ্টির সময় এ নীতির প্রতিফলন ঘটে। এক্ষেত্রে মাখন হালকা হওয়ায় ঘূর্ণাক্ষের চারদিকে জমা হয় এবং পরে তা আলাদা করে নেওয়া হয়।

যদি কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে ঘুরে তবে যেকোনো মুহূর্তে বৃত্তের কেন্দ্রের দিকে ব্যাসার্ধ বরাবর যে বল অনুভূত হয় তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে। নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুযায়ী এ বলের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ যে বল বৃত্তের কেন্দ্রের উপর ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের বাইরের দিকে ক্রিয়া করে তাকে কেন্দ্রবিমুখী বল বলে।

প্রথম সূত্রঃ স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে এবং ঘূর্ণায়মান বস্তু সমকৌণিক বেগে চিরকাল ঘুরতে থাকবে, যদি তার উপর বাহ্যিক টর্ক ক্রিয়া না করে। দ্বিতীয় সূত্রঃ ঘূর্ণনরত বস্তুর কৌণিক ভরবেগের পরিবর্তনের হার তার উপর প্রযুক্ত টর্কের সমানুপাতিক এবং কৌণিক ভরবেগের পরিবর্তন প্রযুক্ত টর্কের দিকেই ঘটে। তৃতীয় সূত্রঃ কোনো বস্তু অপর কোনো বস্তুর টর্ক প্রয়োগ করলে, দ্বিতীয় বস্তুটিও প্রথম বস্তুর … Read more

কোনো বস্তুকণার ভর ও কোনো নির্দিষ্ট অক্ষ বা সমতল থেকে ঐ কণার লম্ব দূরত্বের গুণফলকে ঐ অক্ষ বা সমতল সাপেক্ষে কণাটির ভর ভ্রামক বলে।

নতি কোণের যে সর্বোচ্চ মানে নত তলের ওপর রাখা কোনো বস্তু নিজের ওজনের ক্রিয়ায় নিচের দিকে গতিশীল হবার উপক্রম হয় তাকে স্থিতি কোণ বা নিশ্চল কোণ বলে। তথ্যঃ ১) স্থিতি কোণ ও ঘর্ষণ কোণ পরস্পর সমান হলেও উভয়ে এক জিনিস নয়। ২) স্থিতি কোণ কেবল মাত্র নত তলের বেলায় প্রযোজ্য। ৩) ঘর্ষণ কোণ নত তল … Read more