হাদিস কাকে বলে?

হাদিস বলতে মহানবি (স.)-এর কথা, কাজ ও মৌন সমর্থনকে বোঝায়। হাদিস আরবি শব্দ। এর অর্থ কথা, বাণী ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর বাণী, কর্ম ও মৌন সম্মতিকে হাদিস বলা হয়। এটি ইসলামি জীবনব্যবস্থার দ্বিতীয় উৎস। আল কুরআনের পরই এর স্থান। এটি আল-কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ।

রোযার কাফ্ফারার বর্ণনা।

ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ যদি রোযা পালন না করে বা রোযা রেখে বিনা কারণে ভেঙে ফেলে তাহলে রোযার কাযা এবং কাফ্ফারা উভয়ই তার উপর ফরজ। রোযার কাফ্ফারা হলো- একাধারে দুই মাস রোযা পালন করা। এতে অক্ষম হলে ৬০ জন মিসকিনকে পরিতৃপ্তির সাথে দুইবেলা খাওয়ানো এবং একজন গোলামকে মুক্ত করে দেওয়া। একাধারে দুই মাস রোযা পালনকালে যদি দু’একদিন … Read more

জানাযার সালাতে অংশগ্রহণ করতে হয় কেন?

জানাযার সালাত আমাদের মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেয়। ভোগ-বিলাসে মত্ত মানুষ এবং সহায়-সম্বলহীন দরিদ্র মানুষ সবাইকে একইভাবে সাদা কাপড়ে পরপারের যাত্রী হতে হবে। তাই মুসলমান হিসেবে জানাযার উপস্থিত হওয়া এক জনের ওপর অন্যজনের কর্তব্য।

‘জামাআতে সালাত আদায়ের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়’।

জামাআতের সাথে সালাত আদায় করার সামাজিক গুরুত্ব অনেক। জামাআতে সালাত আদায়ের ফলে মানুষে ভেদাভেদ থাকে না। রাজা-প্রজা, ধনী-গরিব, ছোট-বড়, শিক্ষিত-অশিক্ষিত একই সারিতে দাঁড়ায়। এতে মুসলমানদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন ঘটে। দৈনিক পাঁচবার জামাআতে সালাত আদায় করলে পরস্পরের খোঁজখবর নেওয়া যায়, বিপদাপদে একে অপরের সাহায্য করা সম্ভব হয়। ফলে ভ্রাতৃত্ব দৃঢ় হয়।

মুসাফিরের সালাতের নিয়ম।

কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরবর্তী কোনো স্থানে যাওয়ার নিয়তে কোনো ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হলে শরিয়তের পরিভাষায় তাকে মুসাফির বলে। শরিয়তে মুসাফিরকে সংক্ষিপ্ত আকারে সালাত আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সংক্ষিপ্তকরণকে আরবিতে কসর বলা হয়। মুসাফির অবস্থায় যোহর, আসর ও ইশার ফরজ সালাত কসর পড়তে হয়। চার রাকআত বিশিষ্ট যোহর, আসর ও ইশার ফরজ সালাত মুসাফির … Read more