সামাজিক সম্পদ কাকে বলে?

সামাজিক সম্পদ হলো এমন সম্পদ যা সমাজের জন্য উপকারী। এগুলির মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, যোগাযোগ, আইন-শৃঙ্খলা, পরিবেশ ইত্যাদি। সামাজিক সম্পদগুলি ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করে এবং সমাজের উন্নয়নে সহায়তা করে। সামাজিক সম্পদগুলির কিছু উদাহরণ হলো: শিক্ষা: শিক্ষা হলো একটি সামাজিক সম্পদ যা ব্যক্তিদেরকে তাদের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ করতে এবং সমাজে অবদান রাখতে সক্ষম করে। স্বাস্থ্যসেবা: স্বাস্থ্যসেবা হলো … Read more

তপশিলি জাতির ধারণা

মানবসমাজের ক্রমবিন্যাসের সর্বনিম্ন স্তরে দলিত বা তপশিলি জাতি / উপজাতির অবস্থান। এই জাতি সাধারণত অস্পৃশ্য বা ‘Untouchables’ নামে অভিহিত। ব্রিটিশ ভারতে এদের ‘Exterior Castes’ বলা হত। 1935 খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় আইনের ধারায় অস্পৃশ্যদের তপশিলভুক্ত করা হয়। ভারতীয় সংবিধানে এদের ‘তপশিলি জাতি’ বা Scheduled Caste’ (SC) বলে অভিহিত করা হয়। মাহাত্মা গান্ধি এদের ‘হরিজন’ বলতেন যার অর্থ … Read more

প্রকরণ চলন কাকে বলে?

রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য উদ্ভিদ অঙ্গে যে স্বতঃস্ফূর্ত বক্র চলন দেখা যায় তাকে প্রকরণ চলন বলে।  বনচাঁড়াল এর পাতার পার্শ্বীয় পত্রক দুটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পর্যায়ক্রমে উপর নিচে ওঠা-নামা করে। এটি এক প্রকারের রসস্ফীতি জনিত চলন যা কেবলমাত্র দিনের বেলাতেই ঘটে।

শীতল স্রোত কাকে বলে?

মেরু অঞ্চলের শীতল ও ভারী জলরাশি জলের নিচের অংশ দিয়ে অন্তঃপ্রবাহ রূপে নিরক্ষীয় উষ্ণ মন্ডলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে শীতল স্রোত বলে। মেরু অঞ্চলের সমুদ্র থেকে শীতল জলরাশির যে স্রোত প্রবাহিত হয় তাকে শীতল স্রোত বলে।

উষ্ণ স্রোত কাকে বলে?

উষ্ণ মন্ডলের উষ্ণ ও হালকা জলরাশি জলের উপরিভাগ দিয়ে পৃষ্ঠ প্রবাহ রূপে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে উষ্ণ স্রোত বলে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় জলরাশি হালকা হয় ও হালকা জলরাশি সমুদ্রের উপরিভাগ দিয়ে পৃষ্ঠ প্রবাহ রূপে শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে উষ্ণ স্রোত বলে।

এল নিলো কাকে বলে?

পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু ইকুয়েডর উপকূল বরাবর কোনো কোনো বছর ডিসেম্বর মাসে যে এক প্রকার দক্ষিণ মুখী উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়, তাকে এল নিলো বলা হয়ে থাকে। এল নিনো একটি স্পানীস শব্দ যার অর্থ ছোট্ট বালক বা যীশুর সন্তান। এটি প্রতি ২ থেকে ১০ বছর অন্তর এবং গড়ে প্রায় ৪ বছর অন্তর … Read more

ভাইকম সত্যাগ্রহ কাকে বলে?

ভাইকম সত্যাগ্রহ কাকে বলে? জাতপাত ও অস্পৃশ্যতার সংস্কারই ভারতের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রধান বাধা। অনেক আগেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই ১৯২৪ সালে কেরলে শুরু হয় ভাইকম সত্যাগ্রহ। সেই সময় ব্রাহ্মণ না হলে মন্দিরে প্রবেশ করা যেত না। এমনকি তার আশেপাশের রাস্তা দিয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু জাতের মানুষরা চলতেও পারতেন না। তার … Read more

পুঞ্জিত ক্ষয় কাকে বলে?

ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো পুঞ্জিত ক্ষয়। বড় পুঞ্জরূপে আবহবিকারপ্রাপ্ত শিলাখণ্ড প্রধানত মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ভূমির ঢাল বরাবর তার মূল স্থান থেকে যখন অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়, তখন সেই প্রক্রিয়াকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে।  সরাসরি অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে ভূমির ঢাল বেয়ে অবস্কার ও মৃত্তিকার স্থানান্তরকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে।