সবাত শ্বসন কাকে বলে?

যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু (শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড) সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে  CO2, H2O ও বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে সবাত শ্বসন বলে। সবাত শ্বসনই হলো উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্বাভাবিক শ্বসন প্রক্রিয়া।

NADPH2 বলতে কী বোঝায়?

বিজারিত Nicotinamide Adenine Dinucleotide Phosphate কে সংক্ষেপে NADPH2 বলা হয়। সালোক সংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে NADP বিজারিত হয়ে NADPH2  তৈরি হয়। একে আত্তীকরণ শক্তিও বলা হয়ে থাকে। কারণ CO2 আত্তীকরণের মাধ্যমে শর্করা তৈরির সময় এর শক্তি ব্যবহৃত হয়।

শর্করা উৎপাদনের প্রাকৃতিক কারখানা বলতে কি বোঝায়?

সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াতে শর্করা উৎপাদন করে। এ প্রক্রিয়ার বেশির ভাগই সবুজ পাতার ক্লোরোফিলে সংঘটিত হয়ে থাকে। সবুজ পাতার সংখ্যা যত কমে, শর্করা উৎপাদনও কম হয়। এ কারণেই পাতাকে শর্করা উৎপাদনের প্রাকৃতিক কারখানা বলা হয়।

সালোকসংশ্লেষণে ক্লোরিনের ভূমিকা

পাতার ক্লোরোফিলের পরিমাণের সাথে সালোকসংশ্লেষণের হারের সরাসরি সম্পর্ক বিদ্যমান। কারণ একমাত্র ক্লোরোফিলই আলোকশক্তি গ্রহণ করতে সক্ষম। সালোকসংশ্লেষণ ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য ক্লোরোপ্লাস্টের বিভিন্ন উপাদান দ্রুত ও প্রচুর পরিমাণে পুর্নগঠন হওয়া প্রয়োজন। তবে কোষে খুব বেশি পরিমাণ ক্লোরোফিল থাকলে এনজাইমের অভাব দেখা দেয় এবং সালোকসংশ্লেষণ হ্রাস পায়।

সালোক সংশ্লেষণ একটি জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া

সালোকসংশ্লেষণ একটি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া। এ বিক্রিয়ায় পানি জারিত হয়ে অক্সিজেন উৎপন্ন করে এবং কার্বনডাই-অক্সাইড বিজারিত হয়ে গ্লুকোজ উৎপন্ন করে। এ কারণে সালোকসংশ্লেষণকে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া বলে।

ATP কে মুক্ত শক্তির বাহক বলা হয় কেন?

ATP এর ফসফেট বন্ধনীর মধ্যে শক্তি আবদ্ধ থাকে। জৈব সংশ্লেষণ, পরিবহন ও অন্যান্য বিপাকীয় কাজে শক্তির প্রয়োজন হলে ATP (Adenosine triphosphate) ভেঙ্গে ADP (Adenosine diphosphate) ও অজৈব ফসফেট তৈরি হয় এবং শক্তি নির্গত হয়। এজন্য ATP কে মুক্ত শক্তির বাহক বলা হয়।

এনজাইম কাকে বলে?

যে প্রোটিন জাতীয় পদার্থ জীবদেহে অল্পমাত্রায় বিদ্যমান থেকে বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করে কিন্তু বিক্রিয়ার পর নিজেরা অপরিবর্তিত থাকে, তাকে এনজাইম বলে।