জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ কাকে বলে? জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ কাকে বলে? যে পদ্ধতিতে কোনো শারীরবৃত্তীয় বা অর্থনৈতিক গুণমানযুক্ত জীবের প্রোটোপ্লাজমযুক্ত উন্নত কোশকে নির্দিষ্ট সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণ করা হয়, তাকে জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ বলে। এই জার্মপ্লাজম থেকে একই বৈশিষ্ট্য বা ভিন্ন গুণসম্পন্ন প্রজাতি সৃষ্টি করা হয়। প্রকৃতপক্ষে উদ্ভিদ বা প্রাণীর জিনগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সীড্ ব্যাংক ও জার্মপ্লাজম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। মূলত বিরল ও বিপন্ন … Read more

নিষ্ক্রিয় শোষণ কাকে বলে?

উদ্ভিদের খনিজ লবণ শোষণ ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বলে অনেক বিজ্ঞানী ধারণা পোষণ করেছেন। মাটির দ্রবণ এবং মূলরোমের কোষের দ্রবণের ঘনত্বের অসমতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ উদ্ভিদ কোষে প্রবেশ করে। দ্রবণ দুটির ঘনত্ব যতক্ষণ পর্যন্ত সমান না হয় ততক্ষণ এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এ শোষণ প্রক্রিয়ায় কোন বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন হয় না … Read more

নিউক্লিয়ার ঝিল্লি কাকে বলে?

নিউক্লিয়ার ঝিল্লি কাকে বলে? নিউক্লিয়াস সজীব দুটি ঝিল্লি দিয়ে আবৃত থাকে- বহিঃঝিল্লি ও অন্তঃঝিল্লি। ঝিল্লি দুটিকে একসাথে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন বা নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বলে। প্রতিটি মেমব্রেন দ্বিস্তরী ফসফোলিপিড বাইলেয়ার দ্বারা গঠিত। নিউক্লিয়ার মেমব্রেন এর রাসায়নিক উপাদান বিশুদ্ধ প্রোটিন। নিউক্লিয়ার ঝিল্লির কাজ নিউক্লিয়াসের রক্ষণাবেক্ষণ করাই নিউক্লিয়ার ঝিল্লির প্রধান কাজ। তা ছাড়া এটি নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমোজোমকে সাইটোপ্লাজম থেকে … Read more

মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য, কাজ

মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? যে সমস্ত গ্রন্থি অন্তঃক্ষরা (হরমোন ক্ষরণকারী অংশ) এবং বহিঃক্ষরা (উৎসেচক ক্ষরণকারী অংশ) উভয় গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত, তাদের মিশ্র গ্রন্থি বলে। মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য ১) অনাল বা বহিঃক্ষরা গ্রন্থি এবং অনাল বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যুক্ত হয়। ২) বহিঃক্ষরা অংশের ক্ষয় নালির মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে এবং অন্তঃক্ষরা অংশের ক্ষরণ রক্তের মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে পৌঁছায়। মিশ্র … Read more

মিয়োসিস কাকে বলে? মিয়োসিস কোথায় ঘটে?

মিয়োসিস কাকে বলে? মিয়োসিস হলো একটি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া যাতে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি পরপর দুবার বিভাজিত হলেও ক্রোমোজোমের বিভাজন ঘটে মাত্র একবার, ফলে অপত্য কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। মিয়োসিস এর পর্যায় মিয়োসিস দুটি পর্যায় নিয়ে গঠিত মিয়োসিস-১: এই পর্যায়ে ক্রোমোজোমের দুটি মাতৃ ক্রোমাটিড বিভক্ত হয়, কিন্তু ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক হয় না। মিয়োসিস-২: এই পর্যায়ে মাতৃ ক্রোমাটিডগুলি আবার বিভক্ত হয়ে চারটি … Read more

প্রকৃত কোষ কাকে বলে? সুকেন্দ্রিক কোষ কাকে বলে?

এসব কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ঝিল্লি (nuclear membrane) দিয়ে নিউক্লিও বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত। এসব কোষে রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। ক্রোমোজোমে DNA, প্রোটিন, হিস্টোন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে। অধিকাংশ জীবকোষ এ ধরনের হয়।

কোষ গহ্বর কাকে বলে?

সাইটোপ্লাজমে কোষের মধ্যে যে আপাত ফাঁকা স্থান দেখা যায়, সেগুলোই হচ্ছে কোষগহ্বর।  বৃহৎ কোষগহ্বর উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য। এর প্রধান কাজ কোষরস ধারণ করা। বিভিন্ন ধরনের অজৈব লবণ, আমিষ, শর্করা, চর্বিজাতীয় পদার্থ, জৈব এসিড, রঞ্জক পদার্থ, পানি ইত্যাদি এই কোষরসে থাকে। প্রাণিকোষে কোষগহ্বর সাধারণত অনুপস্থিত থাকে, তবে যদি কখনো থাকে, তবে সেগুলো আকারে ছোট হয়।

ক্লিনোট্যাক্সিস কাকে বলে?

পর পর কয়েকটি উদ্দীপকের তীব্রতা তুলনা করে প্রাণীর অবস্থান পরিবর্তনের যে ধারা নির্ধারিত হয় তাকে ক্লিনোট্যাক্সিস বলে। এক্ষেত্রে প্রাণী তার গ্রাহক অঙ্গ দ্বারা সব দিক থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ না করে গ্রাহক অঙ্গ বা অঙ্গসমূহকে এদিকে ওদিকে ঘুরিয়ে দেহের দুই পাশে উদ্দীপনার তুলনা করে থাকে। এ তুলনার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে প্রাণী দিক পরিবর্তনে সমর্থ হয়।