ত্রিপদ নামকরণ কাকে বলে?

যখন কোনো প্রাণী প্রজাতির উপ-প্রজাতি বা ভ্যারাইটি থাকে, তখন গণ, প্রজাতি ও উপ-প্রজাতি এ তিনটি অংশ নিয়ে নামকরণ করা হয়। এ পদ্ধতিকে ত্রিপদ নামকরণ বলে।  যেমন – Naja naja naja (গোখরা), Pediculus humanus humanus (মানুসের মাথার উকুন) ইত্যাদি।ত্রিপদী নাম তিনটি নাম দ্বারা গঠিত হয়।  প্রথম দুই নাম দ্বারা দ্বিপদী নাম গঠিত হয়। তিনটি নামই ইটালিক অক্ষরে এবং শুধু গণবাচক নামের প্রথম বর্ণ বড় … Read more

অন্তঃকোষীয় পরিপাক কাকে বলে?

কোষের অভ্যন্তরে খাদ্যবস্তুর পরিপাককে অন্তঃকোষীয় পরিপাক বলে। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য শক্তি দরকার। প্রাণী মাত্রই তার গৃহীত খাদ্য থেকে এই শক্তি অর্জন করে। আমাদের দেহকে অবশ্য গৃহীত জটিল অণুর খাদ্র সামগ্রিকে সরল অণুতে অর্থাৎ দেহের উপযোগী শোষণযোগ্য উপাদানে পরিণত করে নিতে হয়। জটিল অণুর খাবারকে সরল করার কাজটিই হলো পরিপাক আর এর সাথে সংশ্লিষ্ট তন্ত্রটি … Read more

দ্বি-নেত্র দৃষ্টি কাকে বলে?

মানুষের চোখের বৈশিষ্ট্য হলো – যখন সে দেখে একই সাথে দু’চোখেই এককভাবে দেখে। বস্তু থেকে প্রতিফলিত আরোকরশ্মি চোখের রেটিনায় পতিত হলে স্নায়ু উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ উদ্দীপনা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মস্তিষ্কের দৃষ্টিকেন্দ্রের প্রতিবিম্বে একভূত হয়। ফলশ্রুতিতে দু’চোখ এককভাবে বস্তুটিকে দেখতে পায়। এ কারণে মানুষের দৃষ্টিকে দ্বি-নেত্র দৃষ্টি বলে।

দেহকোষ ও জনন কোষের মধ্যে পার্থক্য

দেহকোষ ও জনন কোষের মধ্যে পার্থক্য হলো- ১। দেহ গঠনে দেহকোষ অংশ গ্রহণ করে।অপরদিকে, জনন কাজে জনন কোষ অংশ গ্রহণ করে। ২। মাইটোসিস পদ্ধতিতে দেহকোষ বিভাজিত হয়।অপরদিকে, মিয়োসিস পদ্ধতিতে জননকোষের উৎপত্তি হয়। ৩। দেহকোষের মধ্যে মিলন ঘটে না।অপরদিকে, পুং ও স্ত্রী জনন কোষ মিলিত হয়ে জাইগোট তৈরি করে।

লসিকা কাকে বলে? লসিকা নালি কাকে বলে? লসিকার কাজ

লসিকা কাকে বলে? বিভিন্ন টিস্যুর মধ্যবর্তী স্থানে যে জলীয় পদাথ জমা হয় তা কতকগুলো ছোট নালীর মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। ছোট নালীগুলো মিলিত হয়ে আবার বৃহত্তম নালীতে পরিণত হয়। এই নালীগুলোকে লসিকানালী এবং সংগৃহীত রসকে লসিকা বলে। লসিকার মধ্যে কিছু লসিকা কোষ বিদ্যমান। লসিকা ঈষৎ ক্ষারীয়, স্বচ্ছ ও হলুদ বর্ণের তরল। লসিকা এক ধরনের পরিবর্তিত ঈষৎ … Read more

ইন্টারফেজ কাকে বলে? ইন্টারফেজ এর গুরুত্ব

ইন্টারফেজ কাকে বলে? মাইটোসিস কোষ বিভাজন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই বিভাজনে প্রথম ক্যারিওকাইনেসিস অর্থাৎ সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে। বিভাজন শুরুর আগে কোষের নিউক্লিয়াসে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ হয়। এ পর্যায়ই হলো ইন্টারফেজ। মাইটোসিস কোষ বিভাজনে ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস শুরু হওয়ার পূর্বে কোষিটির নিউক্লিয়াসকে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হয়। কোষটির এ অবস্থাকে ইন্টারফেজ বলে। ইন্টারফেজ এর গুরুত্ব

রাফেজ কাকে বলে?

ফল, শাকসবজি, শস্যদানা ইত্যাদিতে উপস্থিত সেলুলোজ নির্মিত আঁশ বা তন্তুর ন্যায় অপাচ্য অংশই হলো রাফেজ। মূলত রাফেজ হলো কোষপ্রচীরের সেলুলোজ ও লিগনিন। রাফেজ পানি শোষণ করে অপাচ্য অংশের পরিমাণ বাড়িয়ে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রাফেজযুক্ত খাবার স্থূলতা, ক্ষুধা প্রবণতা ও চর্বি জমার প্রবণতা হ্রাস করে।

BMR কাকে বলে?

BMR এর পূর্ণরূপ হলো Basal Metabolic Rate বা বেসাল মেটাবলিক রেট। BMR বলতে পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ নির্দেশক বুঝায়। BMR হলো বিশ্রামে এন্ডোথেরামিক প্রাণী দ্বারা প্রতি ইউনিট সময়ে ব্যয়িত শক্তির পরিমাণ। বিএমআর সাধারণত বয়সের সাথে হ্রাস পায়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ক্যালরিম্যাট্রির মাধ্যমে বিএমআর গ্যাস বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরিমাপ করা যেতে পারে, যদিও … Read more