স্থির ব্যয় কাকে বলে?
একটা উৎপাদনধর্মী প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন হোক বা না হোক যে ব্যয় আবশ্যিকভাবে হয়ে থাকে তাকে স্থির ব্যয় বলে।
একটা উৎপাদনধর্মী প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন হোক বা না হোক যে ব্যয় আবশ্যিকভাবে হয়ে থাকে তাকে স্থির ব্যয় বলে।
উৎপাদন মাত্রা বলতে একটা প্রতিষ্ঠান তার সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় কতটা পণ্য বা সেবা উৎপাদন করবে তার মাত্রাকে বুঝায়। এর ওপর একটা উৎপাদনকর্মী প্রতিষ্ঠানের আয়তন নির্ভর করে। উৎপাদনের আকার বা মাত্রা বিবেচনায় প্রতিষ্ঠান ছোট, মাঝারি ও বৃহদায়তন তিন ধরনের হয়ে থাকে। এরূপ মাত্রা আবার ব্যবসায়ীর আর্থিক সামর্থ্য, ব্যবস্থাপনার দক্ষতা, বাজার পরিস্থিতি ও অন্যান্য অবস্থার ওপর নির্ভর করে। সামর্থ্যের … Read more
মূলধন হতে হলে তা অবশ্যই মানুষের শ্রমের দ্বারা সৃষ্ট হতে হবে এবং ভবিষ্যৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হতে হবে। এজন্য মূলধনকে উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান বলা হয়। সুতরাং দেখা যায়, যে সকল দ্রব্যসামগ্রী মানুষের শ্রম দ্বারা উৎপাদিত এবং যা বর্তমানে ভোগের জন্য ব্যবহৃত না হয়ে অধিকতর উৎপাদনের জন্য পুনরায় উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত হয় তাকেই অর্থনীতিতে ‘মূলধন’ বলে।
উৎপাদন করতে হলে উৎপাদনের উপাদানগুলোকে একত্রিত করতে হবে এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য উৎপাদনের উপাদানগুলোকে একত্রিত করে এদের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমন্বয় বিধানপূর্বক কোন প্রতিষ্ঠান গঠন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের কাজই হলো সংগঠন। সংগঠনের কাজটি করে সংগঠক। অর্থাৎ যিনি উৎপাদনের উপকরণগুলোকে একত্রিত করেন এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় করেন, তাকে সংগঠক বলা … Read more
একাধিক ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে চুক্তির ভিত্তিতে যে ব্যবসায় সংগঠন করে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় সংগঠন বলে। চুক্তিবদ্ধ সম্পর্ক, আইনগত সত্তা না থাকা, অংশীদারদের চুক্তি সম্পাদনের যোগ্যতা, চুক্তি অনুযায়ী লাভ-ক্ষতি বণ্টন, পারস্পরিক দায়বদ্ধতা, অংশীদারদের সীমাহীন দায়, সহজেই বিলোপ ইত্যাদি এরূপ সংগঠনের বৈশিষ্ট্য। অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধাগুলো হলো – আইনগত ঝামেলা মুক্ত, একমালিকানা সংগঠনের চেয়ে অধিক মূলধন, ঝুঁকি … Read more
যে যৌথ কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন সাত জন এবং সর্বোচ্চ শেয়ার সংখ্যা সীমাবদ্ধ এবং যার শেয়ার অবাধ্যে হস্তান্তরযোগ্য তাকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে।
উৎপাদনের কাম্য মাত্রার নির্ধারণপূর্বক সেই পর্যায়ে উৎপাদন নিয়ে যেতে পারলে নিঃসন্দেহে তা একটা প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে লাভজনক হয়ে থাকে। এই মাত্রা থেকে যেসকল সুবিধা অর্জন করা যায় তা নিম্নরূপঃ ১) প্রতি একক উৎপাদন ব্যয় সর্বনিম্ন হওয়ায় মুনাফার পরিমাণ সর্বাধিক হয়। ২) এরূপ মাত্রায় ব্যয় সর্বনিম্ন হওয়ায় বাজারে প্রতিযোগিতার সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। ৩) প্রতিষ্ঠানের সকল উপকরণের … Read more
উৎপাদনের কাম্য মাত্রা হলো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন অবস্থার এমন একটা পর্যায় যেখানে গড় ব্যয় সর্বনিম্ন হয়। অর্থাৎ উৎপাদন ব্যয় একক প্রতি সর্বনিম্ন মাত্রায় পৌঁছে। এরূপ গড় ব্যয় নির্ধারণের সাথে উৎপাদনের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সকল ধরনের ব্যয় বিবেচনা করা হয় অর্থাৎ বিভিন্ন স্থায়ী প্রকৃতির ব্যয়; যেমন- বেতন, ভাড়া ইত্যাদির খরচের সাথে অবচয়, সুদ ইত্যাদিও হিসাবে ধরা হয়। … Read more