জ্বালানি সম্পদের টেকসই সংরক্ষণ কাকে বলে?

গ্যাসসহ অন্যান্য জ্বালানী হচ্ছে গচ্ছিত সম্পদ। এ সম্পদ একবার নিঃশেষ হলে নূতন করে আর জন্ম নেবেনা। সুতরাং জ্বালানি খনিজ সম্পদের অপচয় রোধ ও সংরক্ষণের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। টেকসই সংরক্ষণ হচ্ছে যা অপ্রতুল প্রয়োজনের তুলনায় যে জিনিসের যোগান স্বল্প, ভবিষ্যতের জন্য তার কিছুটা সঞ্চয় করে রাখা। এজন্য প্রয়োজন তার সুপরিকল্পিত, বিচক্ষণ, দক্ষ ব্যবহার। এক্ষেত্রে অপচয় … Read more

শক্তি সম্পদ কাকে বলে?

বিভিন্ন প্রকার খনিজ সম্পদের মাঝে শক্তি সম্পদ মাত্র একটি বিষয়।শক্তি সম্পদ বলতে বুঝায় প্রাকৃতিক বা মানুষের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে যে পদার্থকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যেমন: শক্তি সম্পদ বলতে বুঝায় কয়লা, খনিজ তেল, এবং জলবিদ্যুৎকে। এ শক্তি সম্পদগুলো যন্ত্রাদি, আলোক সজ্জা, যানবাহন চলাচল, সর্বোপরি শিল্প কারখানার মেশিন চালাতে সাহায্য করে। উল্লেখিত তিনটি বস্তু ছাড়াও কাঠ, … Read more

উৎপ্রেষণ বলতে কি বোঝায়?

উৎপ্রেষণ কথাটির অর্থ হলো বিশেষভাবে জ্ঞাত হওয়া। নিম্নতন কোনো আদালত যদি তারা আইনগত সীমা অতিক্রম করে তাহলে সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্ট উৎপ্রেষণ লেখটি জারি করে মামলাটি নিজের কাছে তুলে নিয়ে আসতে পারে।

অধিকার পৃচ্ছা কী? কে এই লেখ জারি করতে পারে?

অধিকার পৃচ্ছা -এই লেখটির অর্থ হলো কোন্ অধিকারে। এই লেখ বা নির্দেশের সাহায্যে আদালত অনুসন্ধান করে দেখে যে, কোনো ব্যক্তিকে যে পদে নিযুক্ত করা হয়েছে সে সেই পদের উপযুক্ত কিনা। উপযুক্ত না হলে আদালত সংশ্লিষ্ট নিয়োগকে বাতিল করে দিতে পারে। সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট যথাক্রমে ৩২ এবং ২২৬নং ধারা বলে এই লেখ জারি করতে পারে।

বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ কাকে বলে? কে এই লেখ জারি করতে পারে?

বন্দি প্রত্যক্ষীকরণের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Heaveas Corpus’ একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ হলো সশরীরে  হাজির করা। কোনো ব্যক্তিকে এবং আটককারী কর্তৃপক্ষকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয় এবং আটক বেআইনি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মুক্তির আদেশ দেয়। সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট যথাক্রমে ৩২ এবং ২২৬ নং ধারা বলে এই লেখ জারি করতে পারে।

মৌলিক অধিকার বলবৎ করার উদ্দেশ্যে কী কী লেখ বা রিট জারি করা যেতে পারে?

মৌলিক অধিকার বলবৎ করার উদ্দে্শ্যে ভারতীয় সংবিধানে ৫ প্রকার লেখ (Writ) জারি করার কথা উল্লেখ আছে, যথা –  ১। বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ, ২। পরমাদেশ, ৩। প্রতিষেধ, ৪। অধিকার পৃচ্ছা এবং  ৫। উৎপ্রেষণ।

সংবিধানের ২১নং ধারায় উল্লিখিত জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারের বিশেষ তাৎপর্য কি?

১৯৭৮ সালে প্রণীত সংবিধানের ৪৪তম সংশোধনী আইনে বলা হয়, জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতি একটি বিশেষ ঘোষণাবলে অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে পারলেও ২১নং ধারায় বর্ণিত জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারকে কখনই স্থগিত রাখা যাবে না।

বর্তমানে সম্পত্তির অধিকার সাংবিধানিক মর্যাদা আলোচনা কর।

১৯৭৮ সালে সংবিধানের ৪৪তম সংশোধনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং ৩০০(ক) নামে একটি অনুচ্ছেদ সংবিধানে যোগ করে তাতে বলা হয়েছে যে, আইনসঙ্গত পদ্ধতি ব্যতীত কাউকে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই সংশোধনের ফলে সম্পত্তির অধিকারটি বর্তমানে মৌলিক অধিকারের কৌলীন্য হারিয়ে সাধারণ বিধিবদ্ধ আইনের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।