পত্রকক্ষ কাকে বলে?
কাণ্ডের সাথে পাতা যে কোণ সৃষ্টি করে তাকে পত্রকক্ষ বলে। সাধারণত মুকুল এ পত্রকক্ষ জন্মে। তবে শাখার অগ্রভাগেও মুকুল সৃষ্টি হয়। কাক্ষিক মুকুল পত্রকক্ষকে এবং শীর্ষ মুকুল কাণ্ড বা শাখার অগ্রভাগে জন্মে।
কাণ্ডের সাথে পাতা যে কোণ সৃষ্টি করে তাকে পত্রকক্ষ বলে। সাধারণত মুকুল এ পত্রকক্ষ জন্মে। তবে শাখার অগ্রভাগেও মুকুল সৃষ্টি হয়। কাক্ষিক মুকুল পত্রকক্ষকে এবং শীর্ষ মুকুল কাণ্ড বা শাখার অগ্রভাগে জন্মে।
পাশাপাশি দুটি পর্বের মধ্যবর্তী অংশটি পর্বমধ্য। পর্বমধ্য গাছকে খাড়া রাখতে ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পর্বমধ্য থেকে কোনো ধরনের মূল, পাতা বা শাখা সৃষ্টি হয় না।
কাণ্ডের যে স্থান থেকে পাতা বের হয় তাকে পর্ব বা সন্ধি বলে।
মূল উদ্ভিদকে মাটির সাথে শক্তভাবে আটকে রাখে ঝড় বাতাসে সহজে হেলে পড়ে না। মূল মাটি থেকে পানি ও খনিজ পদার্থ শোষণ করে। আমরা জানি, মূলে মূলরোম অঞ্চল বলে একটি অংশ থাকে। এখানে অসংখ্য সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম রোম উৎপন্ন হয় যার মাধ্যমে উদ্ভিদ পানি ও খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করে।
এসব মূল একত্রে গাদাগাদি করে গুচ্ছাকারে জন্মায় না বরং পরস্পর থেকে আলাদা থাকে। কেয়া গাছের ঠেশমূল, বটের ঝুরিমূল এর ধরনের অগুচ্ছ মূল।
ধান, ঘাস, বাঁশ ইত্যাদি উদ্ভিদের মূল লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, কাণ্ডের নিচের দিকে এক গুচ্ছ সরু মূল সৃষ্টি হয়েছে। এরা গুচ্ছমূল। ভ্রূণমূল নষ্ট হয়ে সে স্থান থেকেও গুচ্ছ মূল উৎপন্ন হতে পারে। যেমন – ধান, নারিকেল, সুপারি ইত্যাদি।
এসব মূল ভ্রূণমূল থেকে উৎপন্ন না হয়ে কাণ্ড ও পাতা থেকে উৎপন্ন হয়। এরা দুই ধরনের। যথা – ক) গুচ্ছ মূল এবং খ) অগুচ্ছ মূল।
এক্ষেত্রে ভ্রুণমূল বৃদ্ধি পেয়ে সরাসরি মাটির ভিতর প্রবেশ করে শাখা – প্রশাখা বিস্তার করে। স্থানিকমূলে প্রধান মূল থাকে। যথা – মূলা, আম, জাম, মরিচ, সরিষা ইত্যাদির উদ্ভিদের মূল।