জাতি ও জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য

জাতি বলতে বোঝায় এমন এক রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন জনসমাজ যারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকারী। অন্যদিকে কোনো জনসমাজের মধ্যে যখন রাজনৈতিক চেতনার সঞ্চার হয় তখন তাকে জাতীয়তা বলে।  অর্থাৎ জাতি গঠনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সংগঠন থাকা অপরিহার্য, কিন্তু জাতীয়তার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই।  জাতি গঠনের পূর্বশর্ত হলো জাতীয়তাবোধ ও স্বাধীনতা। কিন্তু জাতীয়তা গঠনে স্বাধীনতা প্রয়োজন নেই। বরং মানসিক … Read more

সুনাগরিকতার গুণাবলি সম্পর্কে আলোচনা কর।

সুনাগরিকতার গুণ প্রধানত তিনটি – বুদ্ধি, বিবেক ও আত্মসংযম। আমাদের মাঝে যে বুদ্ধিমান, যে সকল সমস্যা অতি সহজে সমাধান করে, যার বিবেক আছে এবং এর সাহায্যে সে ন্যায় – অন্যায়, সৎ-অসৎ বুঝতে পেরে অসৎ ও অন্যায় থেকে বিরত থাকে এবং যিনি বৃহৎ স্বার্থে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে পারে তিনিই সুনাগরিক।

আইনের উৎসসমূহের বর্ণনা দাও।

আইনের উৎস বিবিধ। জন অস্টিনের মতে, আইনের উৎস হলো কেবলই সার্বভৌমের আদেশ। ওপেনহেইম জনমতকেও আইনের উৎস হিসেবে মনে করেছেন। সাধারণভাবে যেসব উৎস হতে আইনের উৎপত্তি ঘটে থাকে সেসব হলো- প্রথা, ধর্ম, সংবিধান, আইনসভা, বিচার বিভাগীয় রায়, ন্যায়পরায়ণতা আইনবিদদের আলোচনা ও লিখিত বই, নির্বাহী ঘোষণা, বৈদেশিক চুক্তি ইত্যাদি।

আইন মেনে চলা হয় কেন?

শাস্তির ভয়ে মানুষ আইন মেনে চলে। বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদানের বিধান রয়েছে। আইন ভঙ্গের পরিণতি সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা মানুষকে আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করে। আইন সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করে বিধায় মানুষ আইন মেনে চলে। এছাড়াও ধর্মীয় বোধ, সামাজিক কল্যাণ ও শাস্তি প্রয়োগের কারণে মানুষ আইন মেনে চলে।

রাজনৈতিক অংশগ্রহণ কাকে বলে?

রাজনৈতিক অংশগ্রহণ হলো রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ। রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো ভোটদান। ভোটদান হবে রাষ্ট্রের সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত। রাজনৈতিক অংশগ্রহণ সুশাসনকে গতিশীলতা দান করে। রাজনৈতিক অংশগ্রহণের বিভিন্ন মাত্রা রয়েছে। এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হতে পারে। প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ বলতে নাগরিকদের রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় সরাসরি অংশগ্রহণকে বোঝায়, … Read more