আইনের যথাবিহিত পদ্ধতি বলতে কী বোঝো?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট আইনের যথাবিহিত পদ্ধতি অনুসারে বিচার কার্য সম্পাদন করতে পারে। এই পদ্ধতি অনুসারে বিচার কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট শুধু আইন এর পদ্ধতিগত দিক বিচার করে না, সেইসঙ্গে আইনটির যৌক্তিকতাও বিচার করতে পারে। অর্থাৎ কোনো আইন নেই নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তারও বিচার করতে পারে।এই ক্ষমতা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নেই

সমবেত হওয়ার অধিকারের ওপর যে কোন চারটি নিয়ন্ত্রণে উল্লেখ করো।

সমবেত হওয়ার অধিকার এর পর যেসব নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে সেগুলি হলঃ ১। সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্র হওয়া আবশ্যক ২। ভারতের সার্বভৌমিকতা রক্ষা ৩। রাষ্ট্রের সংহতি এবং ৪। জনশৃঙ্খলা।

বাক্ ও মতামত প্রকাশের অপর যে কোন চারটি যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধের উল্লেখ করো।

বাক্ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর রাষ্ট্র যে সমস্ত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে সেগুলি হলঃ ১। ভারতের সার্বভৌমিকতা ও সংহতি, ২। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, ৩। বৈদেশিক রাষ্ট্রের সঙ্গে মৈত্রী বন্ধন এবং ৪। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা।

আইন কর্তৃক সমভাবে সংরক্ষিত হওয়ার অধিকার বলতে কী বোঝো?

আইন কর্তৃক সংরক্ষিত হওয়ার অধিকার বলতে বোঝায় সমপর্যায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আইন সমূহ প্রযুক্ত হবে এবং বৈষম্য মূলক আচরণ করবে না। অন্যভাবে বললে, একই অবস্থার মধ্যে নাগরিকগণ একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। তবে রাষ্ট্র প্রয়োজনবোধে নাগরিকদের মধ্যে যুক্তিসংগত শ্রেণী বিভাজনের ব্যবস্থা করতে পারে।

আইনের দৃষ্টিতে সমতার যেকোনো দুটি ব্যতিক্রম এর উল্লেখ করো।

আইনের দৃষ্টিতে সমতা ব্যতিক্রম – ১। রাষ্ট্রপতি রাজ্যপাল কোন নিজ নিজ পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য যে কাজ করবেন, তার জন্য তারা আদালতের নিকট দায় বদ্ধ নন। ২। বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা ভারতে অবস্থান কালে কোন অপরাধ করলে ভারতীয় আদালত তার বিচার করতে পারবে না।

আইনের দৃষ্টিতে সমতা বলতে কী বোঝো?

আইনের দৃষ্টিতে সমতা বলতে বোঝায় বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধার অনুপস্থিতি। এর অর্থ কোন ব্যক্তি আইনের উর্ধে নয়। ক্ষমতা, পদমর্যাদা ও অবস্থা নির্বিশেষে প্রত্যেক এই সাধারন আইনের অধীন এবং প্রত্যেকেই সাধারণ আইনের দ্বারা সমানভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে।

জরুরি অবস্থার সময়ও সংবিধানের তৃতীয়াংশের কোন ধারায় বর্ণিত মৌলিক অধিকারকে রাষ্ট্রপতি বাতিল করতে পারেন না?

সংবিধানের ২১ নং ধারায় বর্ণিত মৌলিক অধিকার গুলি কে জরুরি অবস্থার সময়ও রাষ্ট্রপতি বাতিল করতে পারেন না।

নির্দেশমূলক নীতির সঙ্গে মৌলিক অধিকারের উদ্দেশ্য গত ক্ষেত্রে কি পার্থক্য রয়েছে?

মৌলিক অধিকার গুলি লক্ষ্য হলো গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন, অপরদিকে নির্দেশমূলক নীতির উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণকর সমাজ গঠন। মৌলিক অধিকার গুলি যেখানে মূলত রাজনৈতিক প্রকৃতি সম্পন্ন, নির্দেশমূলক নীতি গুলি সেখানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সাম্য প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।