যৌথ মূলধনী কোম্পানিকে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন বলা হয় কেন?

কয়েকজন ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে স্বেচ্ছায় আইনসম্মতভাবে যে ব্যবসায় গঠন করে, তাকে যৌথ মূলধনী কোম্পানী বলে। এ ধরনের ব্যবসায় করতে আগ্রহী কয়েকজন ব্যক্তি একান্ত ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় সংঘবদ্ধ হয়ে কোম্পানি গঠন করে। যেকোনো সদস্য ইচ্ছা করলে শেয়ার হস্তান্তর করে সহজে এ ব্যবসায় ছেড়ে যেতে পারে।  আবার, কেউ ইচ্ছা করলে শেয়ার কেনার মাধ্যমে … Read more

কোম্পানির চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে কী বোঝ?

সহজে বিলুপ্ত হয় না এমন অস্তিত্ব হলো চিরন্তন অস্তিত্ব। কোম্পানি সংগঠন অন্যান্য ব্যবসায়ের (একমালিকানা ব্যবসায়, অংশীদারি) মতো সহজে বিলুপ্ত হয় না। তাই আইন অনুযায়ী এ ব্যবসায় চিরন্তন অস্তিত্বের মর্যাদা লাভ করে। পৃথক ও স্বাধীন সত্তার কারণে শেয়ারহোল্ডারদের মৃত্যু, দেউলিয়াত্ব, শেয়ার হস্তান্তর প্রভৃতি এ ব্যবসায়ের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে না। আইনগত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই এ ধরনের ব্যবসায়ের বিলোপ … Read more

জীবনীশক্তি ও ATP-এর ভূমিকা

জীবনীশক্তি বা জৈবশক্তি (bioenergy) বলতে আমরা ভিন্ন বা বিশেষ কোনাে শক্তিকে বুঝাই না। পদার্থবিজ্ঞানে শক্তির যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা থেকে, এটি আলাদা কিছু নয়, শুধু জীবদেহ বা জৈব অণুর রাসায়নিক বন্ধন ছিন্ন করার মাধ্যমে প্রাপ্ত শক্তিকে এই নামে ডাকা হয় মাত্র। জীব প্রতিনিয়ত পরিবেশ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে, সংগৃহীত শক্তিকে একরূপ থেকে অন্যরূপে পরিবর্তিত … Read more

সাইনোভিয়াল তরল কি?

দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। প্রতিটি সন্ধির অস্থি প্রান্তগুলো একপ্রকার সরু দড়ির ন‍্যায় বন্ধনী অর্থাৎ লিগামেন্ট দ্বারা দৃঢ় ভাবে সংলগ্ন থাকে যাতে অস্থিগুলি সন্ধিস্থল হতে বিচ‍্যুত না হয়।  আবার প্রতিটি সন্ধি একটি মসৃণ বহিরাবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। ওই বহিরাবরণের ভিতর দিক সাইনোভিয়াল মেনব্রেন দ্বারা আবৃত থাকে। ওই সাইনোভিয়াল মেনব্রেন থেকে এক প্রকার তরল ক্ষরিত … Read more

প্রকরণ চলন কাকে বলে?

রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য উদ্ভিদ অঙ্গে যে স্বতঃস্ফূর্ত বক্র চলন দেখা যায় তাকে প্রকরণ চলন বলে।  বনচাঁড়াল এর পাতার পার্শ্বীয় পত্রক দুটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পর্যায়ক্রমে উপর নিচে ওঠা-নামা করে। এটি এক প্রকারের রসস্ফীতি জনিত চলন যা কেবলমাত্র দিনের বেলাতেই ঘটে।

মুকুলোদগম কাকে বলে?

যে প্রক্রিয়ায় অসম বিভাজনের মাধ্যমে মাতৃদেহ হতে এক বা একাধিক মুকুল সৃষ্টি হয়, যা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পরবর্তীকালে মাতৃদেহ হতে বিচ্ছিন্ন হয় এবং স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করে তাকে মুকুলোদম বলে। যেমনঃ Hydra vulgaris (হাইড্রা)।

অণ্ড-জরায়ুজ প্রাণী কাকে বলে?

যে সকল প্রাণী ডিম দেয় কিন্তু নিষিক্ত হওয়ার পর ঐ ডিম মাতৃগর্ভেই পরিস্ফুটিত হয়, তাদেরকে অণ্ড-জরায়ুজ প্রাণী বলে। যেমনঃ হাঙ্গর, কিছু উভচর।

জরায়ুজ প্রাণী কাকে বলে?

যে সকল প্রাণীর ডিম মাতৃদেহের ভিতরে নিষিক্ত হয় এবং ভ্রূণ অমরার মাধ্যমে মাতৃদেহে যুক্ত থেকে পুষ্টি লাভ করে বর্ধিত হয়, পরে পরিপূর্ণ শিশু প্রাণী ভূমিষ্ঠ হয়, তাদের জরায়ুজ প্রাণী বলে। ব্যতিক্রম ছাড়া উল্লেখযোগ্য সকল স্তন্যপায়ী প্রাণী জরায়ুজ প্রকৃতির।