Md. Saifur Rahman বুদ্ধিকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। ক) মূর্ত বুদ্ধঃ হাতের কলমে কাজ করার ক্ষেত্রে যে বুদ্ধির প্রয়োজন হয় তাকে মূর্ত বুদ্ধ বলে। খ) বিমূর্ত বুদ্ধিঃ ভাষার ব্যবহারে, সংখ্যার ক্ষেত্রে চিন্তা, কল্পনা, যুক্তি নির্ণয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে বুদ্ধির প্রয়োজন হয় তাকে বিমূর্ত বুদ্ধি বলে। গ) সামাজিক বুদ্ধিঃ দৈনন্দিন জীবনের সামাজিক পরিবেশে সার্থক অভিযোজনে যে বুদ্ধির প্রয়োজন তাকে সামাজিক বুদ্ধি … Read more
s-উপাদানের বৈশিষ্ট্যগুলি হলো – ক) ‘s’ হলো অর্জিত। খ) নির্দিষ্ট বুদ্ধিমূলক কাজে ‘s’ সীমাবদ্ধ। গ) একই ব্যক্তির বিভিন্ন কাজে ‘s’ বিভিন্ন।ঘ) s-এর পরিমাণগত মান ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে পৃথক।
g-উপাদানের বৈশিষ্ট্যগুলি হলো-
স্পিয়ারম্যানের মতে, যেকোনো রকমের বৌদ্ধিক কাজ দুটি ভিন্ন জাতীয় ক্ষমতা বা শক্তির সমন্বয়ে সম্পাদিত হয়ে থাকে। এদের মধ্যে একটি সবরকম বৌদ্ধিক কাজের ক্ষেত্রে সর্বজনীনভাবে বর্তমান। এই ক্ষমতাকে স্পিয়ারম্যান বলেছেন সাধারণ উপাদান(General Factor) বা ‘g’ উপাদান (g-factor)। অপর উপাদানটি কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট বুদ্ধিমূলক কাজেই বর্তমান। এই উপাদানটিকে তিনি নাম দিয়েছেন বিশেষ উপাদান (Specific factor) বা ‘s’ … Read more
গল, স্পারঝিম প্রমুখ চিন্তবিদ মাথার খুলির পরিমাপের সঙ্গে বুদ্ধির সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তাঁদের মতে যার মাথার খুলি যত বেশি বড়ো সে তত বেশি বুদ্ধিমান।
থার্স্টোন তার বুদ্ধিতত্ত্বে নিম্নলিখিত ৭টি উপাদানের কথা বলেছেন – ক) স্থান প্রত্যক্ষণের ক্ষমতা খ) সাধারণ প্রত্যক্ষণের ক্ষমতা গ) সংখ্যা নিয়ে কাজ করার ক্ষমতা ঘ) শব্দ ব্যবহারের ক্ষমতা ঙ) স্মৃতি চ) ভাষার দক্ষতা ছ) যুক্তিশক্তি
নিজেকে বুঝতে নিজের অনুভূতি, ভয় এবং প্রেষণাকে সম্মান দিতে যে ক্ষমতার প্রয়োজন তাকে বলে অন্তর্ব্যক্তি বুদ্ধি। গার্ডনার এর মতে, নিজেকে কার্যকরী মডেল হিসেবে বিবেচনা করা এবং তদনুযায়ী নিজের জীবনকে পরিচালিত করা।
অন্যান্য ব্যক্তির ইচ্ছা, প্রেষণা, উদ্দেশ্য বোঝার ক্ষমতাই হলো আন্তর্ব্যক্তি বুদ্ধি। অন্যান্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে এই বুদ্ধি সাহায্য করে। এই বুদ্ধি আমাদের সকলেরই প্রয়োজন – তবে শিক্ষাবিদ, সেলসম্যান, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতা ও পরামর্শদাতাদের বা যাদের অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করতে হয় তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।