ব্যস্ত অনুপাত কাকে বলে?

যে সব অনুপাতে পূর্ব রাশিকে উত্তর আর উত্তর রাশিকে পূর্ব ধরা হয় তাকে ব্যস্ত অনুপাত বলে।অর্থাৎ আগের রাশি পরে ও পরের রাশি আগে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে।অন্যভাবে, সরল অনুপাতের পূর্ব রাশিকে উত্তর রাশি এবং উত্তর রাশিকে পূর্ব রাশি করে প্রাপ্ত অনুপাতকে পূর্বের অনুপাতের ব্যস্ত অনুপাত বলে।যেমন : ৩ঃ৭ এর ব্যস্ত অনুপাত হলো ৭ঃ৩ এবং৪ঃ৯ এর ব্যস্ত … Read more

পর্যায়বৃত্ত গতি কাকে বলে? প্রকারভেদ, কালিক ও স্থানিক পর্যাক্রম

পর্যায়বৃত্ত গতি কাকে বলে? কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতিপথে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই গতিকে পর্যায়বৃত্ত গতি বলে। নির্দিষ্ট সময় পর পর কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি বা নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর কোনো কিছুর পুনরাবৃত্তিকে বলা হয় Periodicity বা পর্যায়বৃত্ততা। পর্যায়বৃত্ততার প্রকারভেদ পর্যায়বৃত্ততাকে দুই ভাগে … Read more

উৎপ্রেষণ বলতে কি বোঝায়?

উৎপ্রেষণ কথাটির অর্থ হলো বিশেষভাবে জ্ঞাত হওয়া। নিম্নতন কোনো আদালত যদি তারা আইনগত সীমা অতিক্রম করে তাহলে সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্ট উৎপ্রেষণ লেখটি জারি করে মামলাটি নিজের কাছে তুলে নিয়ে আসতে পারে।

অধিকার পৃচ্ছা কী? কে এই লেখ জারি করতে পারে?

অধিকার পৃচ্ছা -এই লেখটির অর্থ হলো কোন্ অধিকারে। এই লেখ বা নির্দেশের সাহায্যে আদালত অনুসন্ধান করে দেখে যে, কোনো ব্যক্তিকে যে পদে নিযুক্ত করা হয়েছে সে সেই পদের উপযুক্ত কিনা। উপযুক্ত না হলে আদালত সংশ্লিষ্ট নিয়োগকে বাতিল করে দিতে পারে। সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট যথাক্রমে ৩২ এবং ২২৬নং ধারা বলে এই লেখ জারি করতে পারে।

বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ কাকে বলে? কে এই লেখ জারি করতে পারে?

বন্দি প্রত্যক্ষীকরণের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Heaveas Corpus’ একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ হলো সশরীরে  হাজির করা। কোনো ব্যক্তিকে এবং আটককারী কর্তৃপক্ষকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয় এবং আটক বেআইনি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মুক্তির আদেশ দেয়। সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট যথাক্রমে ৩২ এবং ২২৬ নং ধারা বলে এই লেখ জারি করতে পারে।

মৌলিক অধিকার বলবৎ করার উদ্দেশ্যে কী কী লেখ বা রিট জারি করা যেতে পারে?

মৌলিক অধিকার বলবৎ করার উদ্দে্শ্যে ভারতীয় সংবিধানে ৫ প্রকার লেখ (Writ) জারি করার কথা উল্লেখ আছে, যথা –  ১। বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ, ২। পরমাদেশ, ৩। প্রতিষেধ, ৪। অধিকার পৃচ্ছা এবং  ৫। উৎপ্রেষণ।

সংবিধানের ২১নং ধারায় উল্লিখিত জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারের বিশেষ তাৎপর্য কি?

১৯৭৮ সালে প্রণীত সংবিধানের ৪৪তম সংশোধনী আইনে বলা হয়, জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতি একটি বিশেষ ঘোষণাবলে অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে পারলেও ২১নং ধারায় বর্ণিত জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারকে কখনই স্থগিত রাখা যাবে না।

বর্তমানে সম্পত্তির অধিকার সাংবিধানিক মর্যাদা আলোচনা কর।

১৯৭৮ সালে সংবিধানের ৪৪তম সংশোধনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং ৩০০(ক) নামে একটি অনুচ্ছেদ সংবিধানে যোগ করে তাতে বলা হয়েছে যে, আইনসঙ্গত পদ্ধতি ব্যতীত কাউকে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই সংশোধনের ফলে সম্পত্তির অধিকারটি বর্তমানে মৌলিক অধিকারের কৌলীন্য হারিয়ে সাধারণ বিধিবদ্ধ আইনের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।