সর্বজনীন রক্ত দাতা কাকে বলে?

যে গ্রুপের রক্ত অন্য সকল গ্রুপে দেওয়া যায় তাকে সর্বজনীন রক্ত দাতা বলে। ‘O’ গ্রুপকে সর্বজনীন রক্ত দাতা বলা হয়। এ গ্রুপধারী ব্যক্তির রক্তকণিকায় A ও B উভয় ধরনের অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত। তাই অ্যান্টিবডির সাথে এ গ্রুপের রক্ত কোনো প্রকার বিক্রিয়া করে না। ফলে সহজেই সব গ্রুপে এ রক্ত দেওয়া যায়।

রক্ত সংযোজন কাকে বলে?

কোনো ব্যক্তির শিরার মধ্য দিয়ে বাইরে থেকে অন্যের রক্ত প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়াকে বলে রক্ত সংযোজন। দুর্ঘটনাজনিত বা চিকিৎসাজনিত কারণে তাৎক্ষণিক রক্ত প্রয়োজন পড়লে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এটি একটি চমৎকার ফলপ্রদ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে রোগীর প্রাণ রক্ষা করা যায়। তবে রক্ত সংযোজনের পূর্বে অবশ্যই রক্তের গ্রুপ ম্যাচ করিয়ে নিতে হবে। আরো পড়ুনঃ রক্ত কি? … Read more

রক্তশূন্যতা কাকে বলে?

রক্তশূন্যতা হচ্ছে দেহের এমন একটা অবস্থা যখন বয়স ও লিঙ্গভেদে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। খাদ্যের মুখ্য উপাদান ভিটামিন বি১২ এর অভাব ঘটলে এ রোগ দেখা যায়। বাংলাদেশে সাধারণত লৌহঘটিত আমিষের অভাবে এই রোগ হয়। শিশুদের ও গর্ভধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মহিলাদের এই রোগ বেশি হয়। রক্তশূন্যতা হলে বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- দুর্বলতা অনুভব করা, মাথাব্যথা, মনমরা … Read more

উচ্চ রক্তচাপকে কেন নীরব ঘাতক বলা হয়?

রক্তচাপের সিস্টোলিক মান ১২০ এর উপরে পৌঁছালে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে। ওজন বেশি বেড়ে গেলে কিংবা খাদ্যে লবণ চর্বিযুক্ত উপাদান বেশি খেলে, অথবা পরিবারে অন্য সদস্যদের পূর্বে থেকে থাকলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে স্ট্রোকও করোনারি ধমনির রোগের মত মারাত্মক রোগ হয় এবং প্রতিবছর বহু মানুষ এসব কারণে মৃত্যুবরণ করে। এ কারণেই উচ্চ … Read more

মানবদেহে মূত্রের রং হলুদ হয় কেন?

মানবদেহের রেচন পদার্থসমূহ মূত্রের সাহায্যে শরীর হতে বের হয়ে আসে। মূত্রে এক ধরনের ইউরোক্রোম নামক রঞ্জক পদার্থ উপস্থিত থাকে। এই ইউরোক্রোমের কারণে মূত্রের রং হলুদ হয়।

পালমোনারী শিরা ও পালমোনারী ধমনী কাকে বলে?

যেসব রক্তবাহিকার মাধ্যমে O2 সমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুস থেকে হৃৎপিন্ডে বাহিত হয় তাকে পালমোনারী শিরা বলে। যেসব রক্তবাহিকার মাধ্য CO2 সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিন্ড থেকে ফুসফুসে বাহিত হয় তাকে পালমোনারী ধমনী বলে।

সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক চাপ কাকে বলে?

হৃৎপিন্ডের  সংকোচন বা সিস্টোল অবস্থায় ধমনিগাত্রে রক্তচাপের মাত্রা সর্বাধিক থাকে। একে সিস্টোলিক চাপ বলে। হৃৎপিন্ডের প্রসারণ বা ডায়াস্টোল অবস্থায় রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে। একে ডায়াস্টোলিক চাপ বলে। স্ফিগমোম্যানোমিটার যন্ত্র দ্বারা ডায়াস্টোলিক চাপ ও সিস্টোলিক চাপ দেখে রক্ত চাপ নির্ণয় করা যায়।

স্ট্রোক কাকে বলে?

মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণকে স্ট্রোক বলা হয়। ধমনিগাত্র শক্ত হয়ে যাওয়াও উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। নির্গত রক্ত মস্তিষ্কে জমাট বাঁধে ও মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধন করে। রক্ত মস্তিষ্কের গহ্বর ও মাথার খুলিতে ঢুকলে রোগীর মৃত্যু ঘটে। আরো পড়ুনঃ  স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ কি কি?