অস্থি ও তরুণাস্থির মধ্যে পার্থক্য

অস্থিঃ অস্থি দেহের সর্বাপেক্ষা দৃঢ় কলা। অস্থির কোষকে স্টিওব্লাস্ট বলে। তরুণাস্থিঃ তরুণাস্থি অস্থির চেয়ে নরম ও স্থিতিস্থাপক। তরুণাস্থির কোষকে কন্ড্রিওব্লাস্ট বলে।

বহিঃকঙ্কাল কাকে বলে? বহিঃকঙ্কালের কাজ এবং বহিঃকঙ্কালের গুরুত্ব

বহিঃকঙ্কাল কাকে বলে? বহিঃকঙ্কাল বলতে কঙ্কালের বাইরের অংশগুলোকে বোঝায়। অর্থাৎ কঙ্কালের যে অংশগুলো বাইরে অবস্থান করে তাকে বলা হয় বহিঃকঙ্কাল। এদের মধ্যে রয়েছে নখ, চুল, লোম ইত্যাদি। বহিঃকঙ্কাল হল প্রাণীর দেহের বাইরে অবস্থিত কঙ্কাল। এটি প্রাণীর দেহকে সুরক্ষা, সংহতি, আকার, চলাচল এবং পরিপাকতন্ত্রের কাজে সহায়তা করে। বহিঃকঙ্কাল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে … Read more

গেঁটেবাত কাকে বলে? গেঁটেবাতের লক্ষণ

গেঁটেবাত  গেঁটেবাত এক ধরনের বাত রোগ। অনেকদিন যাবৎ বাতজ্বরে ভুগলে এবং এর যথাযথ চিকিৎসা না করা হলে এ রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত বয়স্করা এ রোগে আক্রান্ত হয়। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রেও গিঁটে ব্যথা হতে পারে। গেঁটেবাতের লক্ষণ অস্থিসন্ধি বা গিঁটে ব্যথা হওয়া। অস্থিসন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া। অস্থিসন্ধি নাড়তে কষ্ট হওয়া। গিঁট ফুলে যাওয়া।

টিস্যু ম্যাচ কাকে বলে?

দু’জন মানুষের মধ্যে HLA নামক বিশেষ অ্যান্টিজেনের মিল থাকাকে টিস্যু ম্যাচ বলে। দু’জন মানুষের HLA এর মধ্যে মিল থাকলে তাদের একজনের কিডনি অন্যজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়। অন্যথায় কিডনি সংযোজন সফল হয় না।

স্যালাইন পানের সতর্কতা কি কি?

ডায়রিয়া বা বমি হওয়া ছাড়াই গরমে ঘেমে গেলে, ক্লান্ত অবস্থায় কিংবা তেমন কোনো কারণ ছাড়াই খাবার স্যালাইন পান করা একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা বমি ছাড়া অন্যক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্যালাইন বিপদ ডেকে আনতে পারে। এমনকি ডায়রিয়া বা বমির ক্ষেত্রে ও চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সঠিক পরিমাণে স্যালাইন পান করতে হবে।

কিডনি সংযোজন কি?

কিডনি সংযোজন বলতে কিডনি প্রতিস্থাপন বুঝায়। যখন কোনো ব্যক্তির কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে, তখন সুস্থ ব্যক্তির কিডনি অথবা মরণোত্তর কিডনি দানের মাধ্যমে প্রাপ্ত কিডনি রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। একেই কিডনি সংযোজন বলে।

মানুষ কিডনি ছাড়া বাঁচতে পারে না কেন?

কিডনি মানবদেহের অঙ্গ। রেচন মানবদেহের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেহে বিপাক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থগুলো নিষ্কাশিত হয়। দেহের এ সকল বর্জ্য পদার্থগুলো শরীরে কোনো কারণে জমে থাকলে নানা রকম অসুখ দেখা দেবে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু ঘটবে। কিডনি যেহেতু এই রেচন কাজ পরিচালনা করে তাই কিডনি ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না।