পরিসীমা (পরিসীমা, ইংরাজী: ‘perimeter’) মানে হল দুই মাত্রা বা পরিসরের একটি আকৃতির চারপাশের পথের মোট দৈর্ঘ্য।
✔বৃত্তের ক্ষেত্রে এই পরিসীমাকে পরিধি বলা হয়।
সীমা নির্ধারক রেখাংশ বা রেখাংশসমূহের দৈর্ঘ্যের সমষ্টিকে পরিসীমা বলে।
যেমন —
(১) আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা = ২(দৈর্ঘ্য + প্ৰস্থ)
(২) বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা = এক বাহুর দৈর্ঘ্য x ৪(৩) ত্রিভুজের পরিসীমা = তিন বাহুর দৈর্ঘ্যের যোগফল।
Frequently Asked Questions
পরিসীমা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
পরিসীমা জানা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। যেমন, কোনো জায়গা ঘিরে বেড়া দেওয়া, জমির পরিমাপ করা, বাড়ি তৈরি করা ইত্যাদি কাজে পরিসীমা জানা অত্যন্ত জরুরি।
বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারের পরিসীমা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
বিভিন্ন আকারের (বর্গ, আয়ত, ত্রিভুজ, বৃত্ত ইত্যাদি) জন্য পরিসীমা নির্ণয়ের নির্দিষ্ট সূত্র রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বর্গের পরিসীমা = ৪ × বাহুর দৈর্ঘ্য।
বৃত্তের পরিসীমাকে কেন পরিধি বলা হয়?
বৃত্তের কোনো বাহু না থাকায় এর চারপাশের দৈর্ঘ্যকে পরিধি বলা হয়। পরিধি নির্ণয়ের সূত্র হল: পরিধি = ২πr (যেখানে, r হল বৃত্তের ব্যাসার্ধ)।
ত্রিভুজের পরিসীমা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্য যোগ করে এর পরিসীমা নির্ণয় করা হয়।
আয়তের পরিসীমা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
আয়তের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র হল: পরিসীমা = ২ × (দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)।
কোনো জমির পরিসীমা কেন জানা জরুরি?
জমির পরিসীমা জানলে জমির চারপাশে বেড়া দেওয়া, বাড়ি তৈরি করা, ফসল চাষ করা ইত্যাদি কাজের পরিকল্পনা করা সহজ হয়।
পরিসীমা এবং ক্ষেত্রফলের মধ্যে পার্থক্য কি?
পরিসীমা হল কোনো আকারের চারপাশের দৈর্ঘ্য, আর ক্ষেত্রফল হল কোনো আকারের ভিতরের অংশের পরিমাণ।
পরিসীমা নির্ণয়ের একক কি?
পরিসীমা নির্ণয়ের একক দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে মিটার, সেন্টিমিটার, ইঞ্চি ইত্যাদি হতে পারে।
অনিয়মিত আকারের পরিসীমা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
অনিয়মিত আকারের পরিসীমা নির্ণয়ের জন্য সাধারণত গ্রাফ পেপার বা অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।
পরিসীমা নির্ণয়ের জন্য কোন কোন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়?
পরিসীমা নির্ণয়ের জন্য টেপ, শাসক, গ্রাফ পেপার ইত্যাদি সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।