রাউটার কাকে বলে? রাউটারের সুবিধা ও অসুবিধা

রাউটার কাকে বলে?

একটি বুদ্ধিমান নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি ডিভাইস যা বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে পারে তাকে রাউটার বলে।

রাউটার এমন একটি কানেকটিং ডিভাইস যা একই প্রটোকলভুক্ত (নেটওয়ার্কের নিয়মকানুনসমূহ) দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের সংযোগ করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে পারে। এর মাধ্যমে একই ধরনের ছোট আকারের ভিন্ন ভিন্ন গঠনের একাধিক LAN সংযুক্ত করে বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যায়। WAN-এর সাথে একটি LAN যুক্ত করতে রাউটার ব্যবহৃত হয়। রাউটার NAT (Network Address Translation) ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে থাকে। 

একটি নেটওয়ার্ক থেকে পাওয়া ডেটা সংকেত রাউটার সবচেয়ে কম দূরত্বের পথ ব্যবহার করে অন্য নেটওয়ার্কের নির্দিষ্ট ডিভাইসে পাঠাতে পারে। কোনো একটি ডেটা প্যাকেটকে কোন পথ দিয়ে পাঠানো সবচেয়ে সুবিধাজনক রাউটার সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। রাউটার ডেটা ফিল্টারিং করতে পারে। নেটওয়ার্কে ডেটার আধিক্য এবং ব্যস্ততা দেখতে পেলে রাউটার সেই রুট (পথ) পরিহার করে অন্য রুট (পথ) দিয়ে ডেটা পাঠাতে সক্ষম হয়। তবে এর কনিফিগারেশন অপেক্ষাকৃতভাবে একটু জটিল। একই প্রটোকলবিশিষ্ট নেটওয়ার্কের মাঝে সংযোগ স্থাপন করলেও রাউটার ভিন্ন প্রটোকলবিশিষ্ট একাধিক নেটওয়ার্কের মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে পারে না।

রাউটারের সুবিধা

  • ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা কমায়। ডেটা ফিল্টারিং করা যায়।
  • বিক্ষিপ্ত ধরনের নেটওয়ার্ক যেমন- ইথারনেট, টোকেন, রিং কে সংযুক্ত করতে পারে।
  • একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে সম্প্রসারিত করা যায়।

রাউটারের অসুবিধা

  • রাউটার একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক ছাড়া সংযুক্ত করতে পারে না।
  • রাউটারের কনফিগারেশন তুলনামূলকভাবে জটিল। এর গতি তুলনামূলক কম।
  • রাউটারের মূল্য বেশি।