ভ্রূণ আবরণী কাকে বলে?

ভ্রূণ আবরণী কাকে বলে?

প্রত্যেক প্রজাতিতে ভ্রূণের জন্য মাতৃদেহের ভিতর সহজ, স্বাভাবিক ও নিরাপদ
পরিবর্ধনের ব্যবস্থা হিসেবে ভ্রূণের চারদিকে যে আবরণগুলো থাকে সেগুলোকে বলা হয়
ভ্রূণ আবরণী। এগুলো ভ্রূণের পুষ্টি, গ্যাসীয় আদান-প্রদান, বর্জ্য নিষ্কাশন
ইত্যাদি কাজে সহায়তা করে থাকে।

ভ্রূণ আবরণীর তিনটি স্তর

  • এক্টোডার্ম: এটি ভ্রূণের বাইরের স্তর। এটি ত্বক, চুল, নখ, দাঁত, নার্ভ
    এবং মস্তিষ্ক তৈরি করে।
  • মেডোডার্ম: এটি ভ্রূণের মধ্যবর্তী স্তর। এটি হাড়, পেশী, রক্ত,
    রক্তনালী, লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম, মূত্রনালী এবং অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি তৈরি করে।
  • এন্ডোডার্ম: এটি ভ্রূণের অভ্যন্তরীণ স্তর। এটি অন্ত্র, ফুসফুস, লিভার,
    অগ্ন্যাশয় এবং ত্বকের অভ্যন্তরীণ স্তর তৈরি করে।

ভ্রূণ আবরণী বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে বিভাজিত হয়। প্রথম পর্যায়ে,
এক্টোডার্ম এবং মেডোডার্ম একসাথে একক স্তর তৈরি করে। এই স্তরটিকে বলা হয়
ব্লাস্টোডার্ম। ব্লাস্টোডার্ম বিভাজিত হয়ে ট্রোফোব্লাস্ট এবং ইমপ্লান্টেশন
ব্লাস্টোব্লাস্ট নামে দুটি স্তর তৈরি করে। ট্রোফোব্লাস্ট ভ্রূণকে মায়ের দেহের
সাথে সংযুক্ত করে এবং ইমপ্লান্টেশন ব্লাস্টোব্লাস্ট ভ্রূণের ভিতরে বিকাশ লাভ করে।

ইমপ্লান্টেশন ব্লাস্টোব্লাস্টের ভিতরে, এক্টোডার্ম, মেডোডার্ম এবং এন্ডোডার্ম
তিনটি স্তরে বিভাজিত হয়। এক্টোডার্ম ভ্রূণের বাইরের স্তর হয়ে ওঠে, মেডোডার্ম
মধ্যবর্তী স্তর হয়ে ওঠে এবং এন্ডোডার্ম অভ্যন্তরীণ স্তর হয়ে ওঠে।

ভ্রূণ আবরণী ভ্রূণের বিকাশ এবং বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি
ভ্রূণের বিভিন্ন অঙ্গ এবং টিস্যু তৈরি করে।

আরও পড়ুনঃ