স্বাভাবিক সংখ্যা (Natural Number) কাকে বলে?
-
শূন্য অপেক্ষা বড় যেকোনো পূর্ণ সংখ্যাকে স্বাভাবিক সংখ্যা বলা হয়। যেমন-
২, ৩, ৫ ইত্যাদি।
-
সাধারণভাবে আমরা যেসব সংখ্যা সচরাচর গণনার জন্য ব্যবহার করি, তাদের
স্বাভাবিক সংখ্যা বলে।
-
ইতালীয় গণিতবিদ পিয়ানো ১৮৯৯ সালে স্বীকার্যের মাধ্যমে স্বাভাবিক সংখ্যার সংজ্ঞা
দিয়েছেন।
স্বাভাবিক সংখ্যার স্বীকার্য
স্বাভাবিক সংখ্যার স্বীকার্য হলো –
(ক) ১ একটি স্বাভাবিক সংখ্যা।
(খ) যেকোনো স্বাভাবিক সংখ্যার সাথে ১ যোগ করলে তার উত্তরাধিকারী সংখ্যা অর্থাৎ
পরবর্তী সংখ্যা পাওয়া যায়।
(গ) দুটি সংখ্যার উত্তরাধীকারী সমান হলে সংখ্যাদ্বয়ও একে অন্যের সমান হবে।
(ঘ) ১ ব্যতিত সকল স্বাভাবিক সংখ্যাই কারও না কারও উত্তরাধিকারী।
স্বাভাবিক সংখ্যার সেটকে N দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
স্বাভাবিক সংখ্যার সেট, N = 1, 2, 3, 4, 5, 6, ………………..ইত্যাদি।
স্বাভাবিক সংখ্যার বৈশিষ্ট্য
- সীমাহীন: স্বাভাবিক সংখ্যার সেট অসীম।
- ক্রমবিন্যাস: স্বাভাবিক সংখ্যাকে ক্রম অনুসারে সাজানো যায়।
- যোগ: দুটি স্বাভাবিক সংখ্যার যোগফল সবসময় একটি স্বাভাবিক সংখ্যা হবে।
- গুণ: দুটি স্বাভাবিক সংখ্যার গুণফল সবসময় একটি স্বাভাবিক সংখ্যা হবে।
- বিয়োগ: দুটি স্বাভাবিক সংখ্যার বিয়োগফল সবসময় একটি স্বাভাবিক সংখ্যা হবে না।
- ভাগ: দুটি স্বাভাবিক সংখ্যার ভাগফল সবসময় একটি স্বাভাবিক সংখ্যা হবে না।
স্বাভাবিক সংখ্যার ব্যবহার
- গণনা
- ক্রম নির্দেশ
- গণিতের অন্যান্য ধারণার ভিত্তি (যেমন, পূর্ণসংখ্যা, মূলদ সংখ্যা, বাস্তব সংখ্যা)
আরো পড়ুনঃ