সমীভবন কাকে বলে? সমীভবন কত প্রকার ও কি কি?

সমীভবন কাকে বলে?

শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এ ব্যাপারকে বলা হয় সমীভবন। যেমন – জন্ম > জম্ম, কাঁদনা > কান্না ইত্যাদি।

অথবা,

শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি পৃথক ব্যঞ্জনধ্বনি যখন একে অপরের প্রভাবে বা উভয় উভয়ের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে দুটি একই ব্যঞ্জনে পরিণত হয় অথবা উচ্চারণগত সমতা লাভ করে, তবে সেই ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বলে সমীভবন বা সমীকরণ।

সমীভবন কত প্রকার ও কি কি?

সমীভবনকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১) প্রগত সমীভবন

২) পরাগত সমীভবন

৩) অন্যান্য বা পারস্পরিক সমীভবন

প্রগত সমীভবন কাকে বলে?

পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে যখন একই রকম বা কাছাকাছি একই রকম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়। তখন তাকে বলা হয় প্রগত সমীভবন। যেমনঃ পদ্ম > পদ, চন্দন > চমন, গলদা > গলা, সূত্র > সুপ্ত, বাক্য >বাক প্রভৃতি।

পরাগত সমীভবন কাকে বলে?

পরবর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে একই রকম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পরাগত সমীভবন বলে।

যেমন – তৎ + জন্য > তজ্জন্য, তৎ + হিত > তদ্ধিত, উৎ + মুখ > উন্মুখ ইত্যাদি।

অন্যান্য বা পারস্পরিক সমীভবন কাকে বলে?

পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয় ব্যঞ্জন ধ্বনির প্রভাবে পারস্পরিক পরিবর্তন ঘটে তখন সেই প্রক্রিয়াকে বলে অন্যান্য বা পারস্পরিক সমীভবন।

যেমন – সংস্কৃত সত্য > প্রাকৃত সচ্চ। 
সংস্কৃত বিদ্যা > প্রাকৃত বিজ্জা ইত্যাদি।