পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি (Paper Chromatography) কাকে বলে, মূলনীতি ও ব্যবহার

পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি (Paper Chromatography) কাকে বলে?

ফিল্টার পেপারের মধ্য দিয়ে ধাবমান নির্দিষ্ট দ্রাবকের সহায়তায় দ্রবণে একাধিক যৌগের মিশ্রণ থেকে যৌগগুলোকে পৃথক করা ও শনাক্ত করার প্রক্রিয়াকে পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি (Paper Chromatography) বলে।

পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি (PC) উদ্ভাবন করেন করেন Martin (1994)।

পেপার ক্রোমাটোগ্রাফির মূলনীতি (Principle)

পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি এক ধরনের বিভাজন ক্রোমাটোগ্রাফি, যেখানে সচল বাহক হচ্ছে জৈব দ্রাবক এবং স্থির মাধ্যম হচ্ছে পেপারের পৃষ্ঠতলে শোষিত পানি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাগজের উপরিভাগে সিলিকা, অ্যালুমিনা বা আয়ন বিনিময় রেজিন ছড়ানো থাকে। ফিল্টার কাগজে এক ফোঁটা দ্রবণ দেওয়ার পর দ্রাবকের সংস্পর্শে আনলে দু”ধরনের বল কার্যকরী হয়।
১. দ্রাবকের সাথে নিয়ে যাওয়ার বল (propelling force) এবং
২. শ্লোথকারী বল (referding force)।

দ্রাবকের সাথে নিয়ে যাওয়ার বল যৌগসমূহকে দ্রাবকে প্রবাহের দিকে টেনে নিয়ে যায়। শ্লোথকারী বল যৌগসমূহের প্রবাহে বাধা প্রদান করে। অধিশোষণ ও বিভাজনের ফলে এ বলের সৃষ্টি হয়। তবে পেপার ক্রোমাটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিভাজন বলই অধিক কার্যকরী।

পেপার ক্রোমাটোগ্রাফির ব্যবহার

১) জৈব যৌগের পৃথকীকরণ (separation) ও বিশোধন (purification)
২) জানা যৌগের সাথে অন্য কোন যৌগের তুলনা বা শনাক্তকরণ (identification)
৩) কোন নমুনায় (sample) একটি বিশেষ কোন যৌগের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি নির্ণয়
৪) যেকোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া মনিটরিং(monitoring) বা পরীক্ষণ
৫) শিল্পে বিভিন্ন রাসায়নিক বস্তুর গুণগত (qiality) মান নির্ণয়
৬) কোন নমুনায় উপাদানসমূহের পরিমাণ নির্ণয়
৭) পরিবেশ দূষণ (environmental pollution) প্রক্রিয়ায় দূষণ বস্তু শনাক্তকরণ
৮) কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্ভূত সমাণুসমূহের উপস্থিতি বা অনুপাত নির্ণয়
৯) সমগোত্রীয় জৈব যৌগের সদস্যদের পৃথকীকরণ (separaton) ইত্যাদি।