সমাজ কাকে বলে?
মানুষ যখন একত্রিত হয়, মেলামেশা করে এবং কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংগঠিত
হয় তখন তাকে
সমাজ
বলে।
বলতে সেই সংঘবদ্ধ মানবগোষ্ঠীকে বুঝায় যারা কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য
মিলতি হয়েছে।
মনের ভাব প্রকাশের জন্য এবং আদান – প্রদানের সহজাত প্রবৃত্তির বশে মানুষ একত্রে
বসবাস করতে শিখেছে। গিডিংসের ভাষায় একত্রিত হওয়ার মূল কারণ হলো “সাধারণ
চেতনাবোধ”। মানুষ এই চেতনাবোধ থেকে ঐক্যবদ্ধ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে পরিবার, সংঘ,
সম্প্রদায় প্রভৃতি গঠন করেছে। এরূপ নানাবিধ প্রতিষ্ঠান নিয়ে গড়ে উঠেছে
সমাজ।
ম্যাকাইভার বলেন, “সমাজ মানুষের বহুবিধ সম্পর্কের এক বিচিত্র রূপ।”
সমাজ
একটা অমূর্ত ধারণা। সমাজের কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই। সমাজ ছোট হতে পারে আবার
বড়ও হতে পারে। এমনকি বিশ্বব্যাপীও হতে পারে। যেমন, রেডক্রস সমাজ।
অধ্যাপক লিক্ক বলেন, “সমাজের সঙ্গে ভূখণ্ডের সম্পর্ক নেই”। সমাজ রাজনৈতিক সংগঠন
না হলেও সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে উঠে এবং সমাজ তাকে লালন করে। ম্যাকাইভার
তার সমাজ নামক গ্রন্থে
সমাজের সংজ্ঞা
দিতে গিয়ে বলেন, “সমাজ হচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের একটি জটিল জাল যার মধ্যে আমরা বাস
করি।”
আরো পড়ুনঃ