বলের বিরুদ্ধে কাজ কাকে বলে?

পদার্থবিজ্ঞানে কাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন কাজ করি। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় কাজের একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করে যখন আমরা সেই বস্তুটিকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে সরাই, তখন আমরা বলতে পারি যে আমরা কাজ করেছি। কিন্তু সবসময়ই বলের দিকে বস্তুকে সরানো হয় না। অনেক সময় বলের বিপরীত দিকে বস্তুকে সরাতে হয়। যেমন, একটি বাক্সকে ঢালু পথ বেয়ে উপরে তোলার সময় আমাদেরকে মাধ্যাকর্ষণ বলের বিপরীতে কাজ করতে হয়।

যখন কোনো বল প্রয়োগের ফলে বস্তুটি বলের বিপরীত দিকে সরে যায়, তখন আমরা বলতে পারি যে আমরা বলের বিরুদ্ধে কাজ করেছি। আরও সহজ ভাষায়, বলের বিরুদ্ধে কাজ করার মানে হলো কোনো বস্তুকে তার স্বাভাবিক গতির বিপরীতে সরানো। যেমন, একটি গাড়িকে ঢালু পথ বেয়ে উপরে তোলার সময় আমরা গাড়ির ওজনের বিপরীতে কাজ করি। আবার, একটি বস্তুকে ঘর্ষণের বিরুদ্ধে সরানোর জন্যও আমাদেরকে বলের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়।

বলের বিরদ্ধে কাজ করার ফলে বস্তুর শক্তি বৃদ্ধি পায়। যেমন, একটি বস্তুকে উঁচুতে তোলার সময় আমরা মাধ্যাকর্ষণ বলের বিরুদ্ধে কাজ করি। ফলে বস্তুটির স্থিতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার, একটি বস্তুকে গতিশীল করার জন্য আমাদেরকে ঘর্ষণ বলের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়। ফলে বস্তুটির গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। সুতরাং, বলের বিরুদ্ধে কাজ করার ধারণাটি শক্তির সংরক্ষণ নীতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।