যিনা কাকে বলে?

যিনাʾ (زِنَاء) বা জিনা (زِنًى বা زِنًا) হল অবিবাহিত দুইজন মানুষের মধ্যে যৌনক্রিয়া। ব্যুৎপত্তিগতভাবে: যিনা হল ইসলামি বৈবাহিক নিয়ম অনুযায়ী পরস্পর অবিবাহিত একাধিক মুসলিমের মাঝে অবৈধ যৌন সম্পর্ক বিষয়ক একটি ইসলামি নিষেধাজ্ঞা।

যিনা হারাম

আল্লাহ তায়ালা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেন,“তোমরা যিনার ধারে কাছেও যাবেনা।
কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ।”
(সুরা বনী-ইসরাঈল আয়াতঃ ৩২)

যিনা বহু প্রকারে বিভক্ত

১। কোন বেগানা নারী অথবা পুরুষেরপ্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা।

২। যৌনতা সম্পর্কিত অশ্লীল কথাবার্তাবলা জিহ্বার যিনা।

৩। বিবাহ সম্পর্ক ছাড়া অবৈধ ভাবে কাউকে স্পর্শকরা হাতের যিনা।

৪। ব্যাভি চারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা।

৫। সে সম্পর্কিত খারাপ কথা শোনা কানের যিনা।

৬। যিনার কল্পনা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা।৭। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয় (বুখারী,,,মুসলিম,,,সুনানে আবু দাউদ,,,সুনানে আন-নাসাঈ)

যিনার শাস্তি

রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন,

“আমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম যার উপরের অংশ ছিল চাপা আর নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল,ভিতরে নারী পুরুষরা চিল্লা চিল্লি করছিলো আগুনের শিখা উপরে আসলে তারা উপরে উঠছে,আবার আগুন স্তিমিত হলে তারা নিচে যাচ্ছিলো,সর্বদা তাদের এঅবস্থা চলছিলো।

আমি জিবরাঈল (আঃ) কে জিজ্ঞেস করলামঃ এরা কারাজিবরাঈল (আঃ) বললেন, তারা হলো অবৈধ যৌনচারকারী নারী ও পুরুষ।(বুখারী).যিনা কারীর লজ্জা স্থানের দূর্গন্ধে জাহান্নাম বাসী অস্থির হয়ে উঠবে।

সেদিন যিনা কারীকে পিপাসা মেটানোর জন্য এই পঁচা পানি দেওয়া হবে।

(সুরা ফুরকান:আয়াত ২৭)

“যদি কেও না জেনে এই অপরাধ করে থাকে!এবং খাস দিলে আল্লাহর কাছে তাওবা করে তবে আল্লাহ পাক তাকে ক্ষমা করে দিবেন!(ইনশাআল্লাহ)

(সুরা ফুরকান আয়াতঃ ৬৮-৭০)