ব্লুটুথ(Bluetooth) কাকে বলে?

এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে কোনো তথ্য কপি করে নেওয়ার জন্য যে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকেই ব্লুটুথ(Bluetooth) বলে।

ব্লুটুথ নামটি ডেনমার্কের রাজা হ্যারেল্ড ব্লুটুথ (Harold Bluetooth AD 940-985) এর নামানুসারে করা হয়েছে। 

অল্প দূরত্বের মাঝে দুটো ব্লুটুথ ডিভাইস অন করলে, নিজে থেকে তাদের মাঝে যোগাযোগ করতে পারে।

বর্তমানে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ডিভাইসে বিল্ট-ইন ভাবে ব্লুটুথ ডিভাইস যুক্ত করা থাকে। ডেস্কটপ কম্পিউটারে ইউএসবি ব্লুটুথ অ্যাডাপ্টারের সাহায্যেও একই সুবিধা পাওয়া যায়।

ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট্য

  • ব্লুটুথ 2.45 GHz ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে।
  • 10 মিটারের মধ্যে এটি কাজ করতে পারে।
  • অতি ধীর গতিতে ডেটা স্থানান্তরিত হয়।
  • ব্লুটুথ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগার করতে পারে।

সুবিধাসমূহ

  • স্বল্প দূরত্বে Data ও Voice ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে এটি একটি লাভজনক তারবিহীন মাধ্যম।
  • কোনো প্রকার setup এর প্রয়োজন পড়ে না।

অসুবিধাসমূহ

  • খুব সহজেই অন্য কেউ অনুমতি ছাড়াই নেটওয়ার্কের অ্যাকসেস নিতে পারে।
  • দুই এর অধিক ডিভাইস একই সাথে সংযোগ সাধন করা যায় না।
  • মোবইল ফোনে Bluetooth অন করা থাকলে ফোনের ডেটা চুরির আশঙ্খা থাকে।